শিরোনাম
সংবাদদাতা,খুলনা : | ০৪:৩০ পিএম, ২০২১-০৫-০৪
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকায় লাগা আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দ্বিতীয় দিনের মতো ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট সুন্দরবনের আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বন বিভাগের শতাধিক বনরক্ষী ও কর্মকর্তারাও আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন। এর আগে সোমবার (৩ মে) দুপুরে দাসের ভারানি এলাকায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পরে দিনের আলো ফুরিয়ে গেলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাজ বন্ধ রাখা হয়। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত অন্তত ৫ একর বনজুড়ে আগুন জ্বলছিল বলে জানায় এলাকাবাসী। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স শরণখোলা স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা আবদুস সাত্তার জানান, সোমবার দুপুরে সুন্দরবনে আগুন লাগার খবর আসে। খবর পেয়ে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ স্টেশনের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ওই এলাকায় মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক তেমন ভালো না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পারস্পারিক যোগাযোগ করতে পারছেন না। বাগেরহাট থেকে আরও একটি ইউনিট আসে। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘সুন্দরবনের দাসের ভারানি এলাকায় অল্প কিছু জায়গায় আগুন ধরেছে। যে এলাকায় আগুন ধরেছে ওই এলাকায় সুন্দরী গাছের পরিমাণ কম। ফায়ার সার্ভিস ও বনকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। আগুন যাতে বনে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য ফায়ার লাইন কেটে তাতে পানি ভরে দেওয়া হচ্ছে।’ সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক জয়নাল আবেদিন বলেন, দ্বিতীয় দিনে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের শতাধিক স্টাফ ও কর্মকর্তা। ফায়ার সার্ভিসও চেষ্টা করছে। আশা করছি আজকের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন বাগেরহাটের উপ-সহকারী পরিচালক মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, সকালে তিনটি ইউনিট সুন্দরবনে এসেছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে পানি দেওয়ার জন্য ৪ কিলোমিটার পাইপ বসানো হয়েছে। পানি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে। আশা করছি, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। অপরদিকে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের তথ্য মতে, গত ২০ বছরে সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগে ২৫ বার অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব অগ্নিকান্ডে সুন্দরবনের প্রায় ৭৫ একর বনভূমির গাছ, বিভিন্ন ধরনের ঘাস, লতাপাতা পুড়ে যায়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। সুন্দরবনে ২০০২ সালে শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য এলাকায়, ২০০৪ সালে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলী ক্যাম্প এলাকায় ও আড়ুয়াবের খালে এবং ২০০৫ সালে চাঁদপাই রেঞ্জের আড়ুয়াবের খালের পশ্চিমে তুলাতলা ও খুটাবাড়ি এলাকায় আগুন লাগে। এরপরের বছর ২০০৬ সালে তেরাবেকা খালের পাড়ে, আমুরবুনিয়া, কলমতেজিয়া, পচাকুড়ালিয়া বিল ও ধানসাগর স্টেশন এলাকায় মোট পাঁচটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ২০০৭ সালে বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী নলবন, পচাকুড়ালিয়া বিলে অগ্নিকান্ডের ঘটে। ২০১০ সালে ধানসাগর স্টেশনের গুলিশাখালী, ২০১১ সালে ধানসাগর স্টেশনের নাংলী, ২০১৪ সালে আবারও ধানসাগর স্টেশন সংলগ্ন বনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ২০১৬ সালেও ধানসাগর স্টেশনের নাংলী, পচাকুড়ালিয়া, তুলাতলী এবং ২০১৭ সালে একই স্টেশনের মাদরাসার ছিলা এলাকায় আগুন লাগে। সর্বশেষ ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ধানসাগার স্টেশন এলাকায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী ফাগুয়া উৎসব উপলক্ষে ২৭/০৩/২০২৪ খ্রিঃ রোজ বুধবার সকা...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : বান্দরবান পার্বত্য জেলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে জে...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নৌ পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ বলেছেন, এবারে ঈদের আগে ও পরে মোট ১১ দিন সব ধ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি ছুটির চেয়ে শ্রমিকদের ছুটি কোনোভাবেই কম হওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রত...বিস্তারিত
ষ্টাফ রিপোর্টার : : ২৬ মার্চ- ৫৪ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের দিন , পরাধীনতার শৃঙ্খল ভে...বিস্তারিত
বেঞ্জামিন রফিক : : আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। হাজার বছরের সংগ্রামমুখর বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited