শিরোনাম
সংবাদদাতা,খুলনা : | ০৬:২৫ পিএম, ২০২১-০৫-২৩
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’র ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে ও জান-মালের অপূরণীয় ক্ষতি প্রতিরোধে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে খুলনা জেলা প্রশাসন। উপকূলীয় অঞ্চলের মধ্যে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা উপজেলা এর অন্তর্গত। জলোচ্ছ্বাস থেকে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীকে বাঁচাতে প্রস্তুত করা হচ্ছে গতবারের ৮১৪টির অধিক আশ্রয়কেন্দ্র। প্রস্তুত রয়েছে ১১৪টি মেডিকেল টীম।
খুলনা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্য, এনজিও, সিপিপি, ফায়ার সার্ভিস সকলকে যার যার মতো প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জুম প্রযুক্তির মাধ্যমে সভায় তারাও যুক্ত হয়েছিলেন-তাদেরও নির্দেশনা দেয়া হয়। পরে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেনের সাথে সভা করেছে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। শনিবার পর্যন্ত ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে বলে রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি স্কুলগুলোকেও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। মহামারী কোভিড-১৯ এর কারণে বেশি সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতের সর্বাত্মক চেষ্টা করছে জেলা প্রশাসন।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার বলেন, শুক্রবার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছিল। গত বছর ৮১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছিল; এবার আরও বেশি সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হবে। কোভিড-১৯ এর কারণে সংক্রমন রোধে আশ্রয়কেন্দ্রের সক্ষমতার অর্ধেক মানুষকে একটি কেন্দ্রে রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি উপজেলায় পাঁচটি ও প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে মোট ১১৪টি মেডিকেল টীম প্রস্তুত করা হয়েছে। যারা চিকিৎসা সেবা দেবেন। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে শুষ্ক খাবার, অর্থ, চাল-ডাল প্রস্তত রয়েছে-সরকারি নিদের্শনা মোতাবেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। আতঙ্ক নয়, উপকূলবাসীকে সজাগ ও সতর্কতার মাধ্যমে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার ডুমুরিয়ার জিলেরডাঙ্গার চার শতাধিক মানুষ : মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার ডুমুরিয়া উপজেলার জিলেরডাঙ্গার মানুষ। উপজেলার ১৩নং গুটুদিয়া ইউনিয়নের জিলেরডাঙ্গা গ্রামের ৫০ পরিবারের প্রায় চার শতাধিক মানুষ পানিবন্দি থাকেন বছরে পাঁচ থেকে ছয় মাস। এ সময় তারা মানবেতর জীবন-যাপন করেন। বর্ষা মওসুমে পানির ঢলে প্লাবিত হওয়ার ফলে অত্র এলাকা বসতবাড়ি, ফলন গাছপালা, পুকুর, ক্ষেত-খামার ও গবাদি পশু মারাত্মকভাবে ক্ষতির মধ্যে পড়ে। এছাড়া এলাকার শিশু-কিশোররা নানা ধরনের পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি তাদের শিক্ষা ব্যবস্থাও হুমকির মুখে দাঁড়িয়েছে। অবিলম্বে এর প্রতিকার ও স্থায়ী সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসবেন বলে প্রত্যাশা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, অতীতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলেও বর্তমানে খাল নির্বিচারে ভরাট, অপরিকল্পিত মাছের ঘেরসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের কারণে ধীরে-ধীরে এই জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফলে আজ জিলেরডাঙ্গার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী ফাগুয়া উৎসব উপলক্ষে ২৭/০৩/২০২৪ খ্রিঃ রোজ বুধবার সকা...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : সেনবাগ সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সেনবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। &...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং মালিক, শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের বার্ষিক সাধার...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : # দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও জনবল সংকটে বকেয়া থাকছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব # রিটার্ন না দেওয়ার জন্য অনেকে ব্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবিসহ দলে স্বেচ্ছাচারিতার অফিযোগে দলটির চেয়ারম্যান জি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিরোধী দলে ছিলেন এবং বিরোধী দলেই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর সদর-৩ আস...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited