শিরোনাম
খুলনা প্রতিনিধি : | ০৬:৫১ পিএম, ২০২১-০৬-০২
খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় চিংড়ি ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণ ৩৬ কোটি টাকা। এ তিনটি জেলায় ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে বেড়িবাধ ভেঙে ভেসে গেছে ২৫৬.০৯ মেট্রিক টন সাদা মাছ, ৫৯৯.৩ মেট্রিক টন চিংড়ি মাছ, সাদা মাছের পোনা ২৬.৩৭ লাখ, চিংড়ির পোনা (পিএল) ৪০৫.১ লাখ। খুলনা বিভাগীয় মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে খুলনা বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার ১৭টি উপজেলার ৯২টি ইউনিয়নের ২ হাজার ১৩টি পুকুর-দিঘি-খামার, ১৮ হাজার ৪৬৬টি মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুরের আয়তন ২৭০ হেক্টর ও ক্ষতিগ্রস্ত ঘেরের আয়তন ১৩ হাজার ১৩২.৯ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে ফিন ফিশ ২৫৬.০৯ মে টন, চিংড়ি মাছ ৫৯৯.৩ মে টন, সাদা মাছের পোনা ২৬.৩৭ লাখ, চিংড়ির পোনা (পিএল) ৪০৫.১ লাখ। ক্ষতিগ্রস্ত মাছের মূল্য সাদা মাছ ৫ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, চিংড়ি ২৪ কোটি ৬৪ লাখ ৭ হাজার টাকা, সাদা মাছের পোনা এক কোটি ৫ লাখ এক হাজার টাকা ও চিংড়ি মাছের পোনা দুই কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ঝড়ের আঘাতে খুলনায় জেলেদের ১০টি নৌযান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খুলনা বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় মৎস্য খাতে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৬ হাজার অবকাঠামো ক্ষয় ক্ষতি হয়। এ অঞ্চলে সার্বিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩৬ কোটি ৭ লাখ ২৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে রয়েছে খুলনা জেলার পাঁচটি উপজেলার ২৪টি ইউনিয়ন এলাকায় ১১ কোটি ৫২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা, বাগেরহাট জেলার আট উপজেলার ৪১টি ইউনিয়ন এলাকায় ৮ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও সাতক্ষীরা জেলার চার উপজেলার ২৭টি ইউনিয়ন এলাকায় ১৬ কোটি ৪১ লাখ ১৬৫ হাজার টাকা। দক্ষিণ বঙ্গের প্রতিষ্ঠিত চিংড়ি ব্যবসায়ী আসিয়ার রহমানের ছেলে পাইকগাছার চিংড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক রহমান শুভ বলেন, ‘৬০০ বিঘা জমিতে কয়েক দফায় ৫০ লাখ বাগদা চিংড়ি পোনা দেওয়া ছিল। ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে জোয়ারের চাপে বাঁধ ভেঙে এক নিমিষেই ঘেরটি লোনা পানিতে তলিয়ে যায়। পোনাগুলোও ভেসে যায়। বছর শেষ জমির মালিককে দিতে হবে ৬০ লাখ টাকা। পোনা গেলো। ব্যবসাও অচল। ইয়াসে বাঁধ ভেসে যাওয়ায় ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন নিজে বাঁচাই কষ্টকর। তার ওপর মালিকের টাকা পরিশোধ করতে হবে।’ শুধু শুভই নয়, পাইকগাছা উপজেলার দেড় হাজার ঘের ব্যবসায়ী ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতি— হয়েছেন। খুলনা বিভাগীয় পোনা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পাইকগাছা উপজেলার পুরস্কারপ্রাপ্ত ঘের ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া রিপন বলেন, ‘ইয়াসের আঘাতে তার পাঁচ লাখ টাকার মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ তার মতো পাইকগাছার দেড় হাজার চিংড়ি চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত, বিভাগীয় দফতর) মো. আবু সাঈদ জানান, ইয়াসের আঘাতে বৃহত্তর খুলনায় ৩৬ কোটি টাকার মৎস্যসম্পদের ক্ষতি হয়েছে। প্রান্তিক চাষিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : চট্টগ্রামে কাজির দেউড়ীতে দৈনিক আমাদের বাংলা ও আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক আমাদের চট্টগ্রামের সম্পা...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : বেঞ্জামিন রফিক : রাজধানীর কাকরাইল দৈনিক ব্যাংক বীমা ও অর্থনীতি’র কার্যালয়ে বাংলাদেশের পত্রিক...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : নোয়াখালী সেনবাগ প্রতিনিধি : নোয়াখালী সেনবাগের মাদক সম্রাট মোঃ বেলাল হোসেন ওরফে লাল বেলাল(৪৮) কে ...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : শহিদুল ইসলাম, প্রতিনিধি: আমেরিকা বাফেলো শহরে বাংলাদেশি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী মহলে...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী ফাগুয়া উৎসব উপলক্ষে ২৭/০৩/২০২৪ খ্রিঃ রোজ বুধবার সকা...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : সেনবাগ সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সেনবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। &...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited