শিরোনাম
খুলনা প্রতিনিধি : | ০৪:৩২ পিএম, ২০২১-০৭-২৭
‘ভাই চা খাবেন, ভাই চা খাবেন’- এভাবেই প্রতিদিনের সকালের শুরুটা হয় শিশু মেহেদী হাসান শান্ত’র। বয়সটা চলে ১১ বছর। নিজ বাড়ি না থাকলেও বর্তমান বসবাস খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন আলমনগর পোড়া মসজিদের পাশে ১নং কম্পের জনার্জীণ কুঠিরে। ছোট্ট একটি মাত্র ভাই জয় আর মা চম্পা বেগমকে নিয়ে তার বসবাস। তবে শিক্ষিত সমাজে নিরক্ষর হওয়াটা তার মোটেও ইচ্ছা নয়। লেখাপড়া করছে খালিশপুরে বঙ্গবন্ধু আনন্দ স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে। করোনার ভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ থাকায়, মায়ের অভাবী সংসারের কিছুটা দুঃখ লাঘব করার জন্য তাই আজ সে স্কুল ব্যাগ ছেড়ে হাতে তুলে নিয়েছে চায়ের কেটলী। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আর বাবার পাষবিক আচারণের কারণে উড়ন্ত বয়সে দুরন্তের সময় শিশু শান্তকে হতে হয়েছে ভ্রাম্যমান চা বিক্রেতা হিসাবে।
সময়ের ঘড়িতে সকাল সাড়ে ৮টা। দৌলতপুরের কাঁচা সবজির দোকানগুলোতে কেবলমাত্র সবজি সাজাতে শুরু করে দোকানীরা। ঠিক সেই সময়ে বাতাসের সাথে ভেসে আসছে শিশু শান্তর চিৎকার, চা লাগবে ভাই। তবে সবাই যেন শুনেও শুনছেনা তার কথা। দীর্ঘক্ষন কথা হলো শিশু শান্তর সাথে। দু’চোখ বেয়ে কান্নারত কন্ঠে শিশু শান্ত তার ছোট্ট এই জীবনের একটা করুন গল্প শোনালো। তার মা চম্পা কাজ করে আলমনগরের একটি দর্জির দোকানে। তবে সেটা কোন ধার্য বেতনে নয়। যতটুকু কাজ করবে সেনুসারে পয়সা পাবে। ঈদের আগে মায়ের দোকানে ভালো কাজ হয়নি। দোকানের মালিক তেমন টাকাও দেয়নি, যা দিয়ে তাদের ঈদ কাটবে। যে কারণে সমাজের আর দশটা বাসা বাড়ীর মতো কোরমা, পোলাও, ফিরনি বা পায়েস খেয়ে আর নতুন জামা পরে ঈদ করতে পারেনি তার পরিবার। ঈদ কেটেছে নানী বাড়ীর রান্না করা সবজির তরকারী দিয়ে খেয়ে। বাবা থেকেও যেন নেই।
কারণ, দ্বিতীয় বিবাহ করে নতুন মাকে নিয়ে বর্তমানে ঢাকায় মুদি দোকানে কাজ করে। ঢাকায় জ্বলা লাল-নীল বাতির আলোতে সে যেন সম্পূর্ণ ভূলে গেছে খুলনা রেখে আসা দুইটি সন্তান আর স্ত্রীর কথা আর তাদের ভরণ-পোষনের কথা। শান্ত জানায়, বাবা কখনো আমাদের খোঁজ খবর নেয়না। বেঁচে আছি না মরে গেছি। এমনকি আমার দেড় বছরের ছোট্ট ভাইটিরও খরব নেয়নি বাবা। করোনা মধ্যে মায়ের কাজ নেয়, কোথাও হতে ত্রাণও পায়নি, বর্তমানে খেয়ে না খেয়ে আমাদের দিন কাটছে। মায়ের এমন পরিশ্রম আর সংসারের অভাবের কথা ভেবে তাই প্রতিদিনই দৌলতপুর এলাকায় কেটলীতে করে চা নিয়ে আসি। ৩৫ হতে ৪০ কাপ চা বিক্রি করে টাকা মায়ের হাতে গিয়ে তুলে দেয়। সেই টাকা দিয়ে মা সংসার খরচ আর ঘর ভাড়া দেয়। খরচ চালায় ছোট্ট ভাইটির। সুশীল সমাজের প্রতি জিজ্ঞাসা বাবা ফেলা যাওয়া এই অভাবী পরিবারটির ভরণপোষনের দায়িত্ব নেবে কে? বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো এখন করোনা ভাইরাসে সচেতন করতে জনসম্মুখে মাস্ক বিতরণ নিয়ে ব্যস্ত। তারা কি জানা না, ছোট্ট এই উপশহরটিতে কত শত পরিবারে শিশুরা খাবারের অভাবে কাঁদছে?
এ ব্যাপারে খুলনার বিভাগীয় সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আইনাল হক জানান, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের জন্য এই করোনাকালীন দূর্যোগময় মূর্হুতে (সিটিএসবি) প্রকল্পের আওয়াই এই সকল শিশুদের ঘরে রেখে আর্থিক সহয়তাসহ ভরণপোষনের ব্যবস্থা করা হবে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের পক্ষ হতে।
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী ফাগুয়া উৎসব উপলক্ষে ২৭/০৩/২০২৪ খ্রিঃ রোজ বুধবার সকা...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : সেনবাগ সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সেনবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। &...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং মালিক, শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের বার্ষিক সাধার...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : # দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও জনবল সংকটে বকেয়া থাকছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব # রিটার্ন না দেওয়ার জন্য অনেকে ব্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবিসহ দলে স্বেচ্ছাচারিতার অফিযোগে দলটির চেয়ারম্যান জি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিরোধী দলে ছিলেন এবং বিরোধী দলেই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর সদর-৩ আস...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited