শিরোনাম
মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি : | ০৬:৫৩ পিএম, ২০২১-০৮-০৪
দুই-তিন দিনের টানা ভারি বর্ষণে তলিয়ে গেছে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন বিলের দুই হাজার বিঘা রোপা আমন ক্ষেত। ঘের-বেড়ির কারণে এবং হরিহরনদীতে নাব্যতা না থাকায় বৃষ্টির পানি বেরুতে না পেরে এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি চাষিদের। দ্রুত পানি সরাতে না পারলে আমন ক্ষেত নষ্ট হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা তাদের। উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রমতে, মণিরামপুরে এবার তিন হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দিনের ভারি বর্ষায় রোহিতা, কাশিমনগর ও মশ্মিমনগর ইউনিয়নের কয়েকটি বিলের ৫০ হেক্টর (৩৭৫ বিঘা) জমির আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। দুই-তিন দিন বৃষ্টি না হলে কৃষকের তেমন ক্ষতি হবে না। তবে সরেজমিন দেখা গেছে, ওই তিন ইউনিয়ন বাদেও খেদাপাড়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর বিলের ৫০-৬০ বিঘা আম ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এছাড়া শ্যামকুড় ইউনিয়নের হাসাডাঙা, নাগোরঘোপ, জামলা, দক্ষিণ শ্যামকুড়, আগরহাটি ও আমিনপুর এলাকার প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমির রোপা আমন পানির নিচে। উপজেলার সরসকাঠি গ্রামের চাষি বিলাল হোসেন বলেন, পানি সরতে না পেরে মুড়াগাছা, সালামতপুর ও সরসকাঠি বড় বিলের ৩০০-৪০০ বিঘা জমির আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। বিলের অধিকাংশ ক্ষেতে হাটু পানি। কিছু জমির ধান পানির তলে। কিছু জমির ধান কিি ত জেগে আছে। আবার কিছু জমি আছে যেখানে চাষি ধান রোপন করতে চাষ দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু পানির কারণে ধান লাগাতে পারেননি। এই কৃষক বলেন, আমাদের ৭-৮ বিঘা আমন ক্ষেত পানিতে তলানো। পানি সরার ব্যবস্থা না থাকায় ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে অবস্থা তাতে ধান টিকবে বলে মনে হচ্ছে না। রঘুনাথপুর বিলের চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির আগে দুই বিঘা জমিতে আমন লাগিয়েছি। এখন সেখানে কোমর পানি। পানি সরতে না পারায় বিলের ৫০-৬০ বিঘা জমির আমন ক্ষেত তলানো। শ্যামকুড় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি বলেন, মঙ্গলবার সকালের বৃষ্টিতে ্অত্র ইউনিয়নের ছয়টি বিলের দেড় হাজার বিঘা রোপা আমন তলিয়ে গেছে। হরিহরনদীতে স্রোত নেই। মাঠের চেয়ে নদীতে পানি বেশি। এই জন্য পানি সরছে না। কৃষকরা বলছেন, আর বৃষ্টি না হয়ে রোদ পড়লে পানি গরম হয়ে ধান গাছ পচে যাবে। এক্ষণি পানি সরাতে না পারলে আমাদের বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যাবে। মণিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, সব ইউনিয়নের তথ্য পাইনি। রোহিতা,কাশিমনগর ও মশ্মিমনগর ইউনিয়নের ৫০ হেক্টর জমির রোপা আমন বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। দুই-তিনদিন বৃষ্টি না হলে ধান বেঁচে যাবে। আবুল হাসান বলেন, আমি সরেজমিন মাঠে যাচ্ছি। জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় ৩০ জনের তালিকা ধরে তদন্ত শুরু করেছে ঢাকা মেট্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তবে তাপপ্রবাহও অব্যাহত থাকবে। মঙ্গলবার (২৩ ...বিস্তারিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : কাপড়ে পেস্টিং করে কম্বলের ভেতরে মুড়িয়ে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টা রুখে দিয়েছে শাহ আমানত বিমানবন্দরের ...বিস্তারিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে হাসান (২৬) নামে এক বাংল...বিস্তারিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : চট্টগ্রামে কাজির দেউড়ীতে দৈনিক আমাদের বাংলা ও আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক আমাদের চট্টগ্রামের সম্পা...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : বেঞ্জামিন রফিক : রাজধানীর কাকরাইল দৈনিক ব্যাংক বীমা ও অর্থনীতি’র কার্যালয়ে বাংলাদেশের পত্রিক...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited