শিরোনাম
জবি প্রতিনিধি | ০৯:৪৯ এএম, ২০২১-১১-১৮
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবির) ১৫ তম ব্যাচের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল ফাহিমকে আটক করার প্রতিবাদে গাড়ি ভাংচুর করে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। (বুধবার) রাত সাড়ে সাতটায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভিক্টোরিয়া পার্ক সংলগ্ন লক্ষ্মীবাজার ও শাখারী বাজার মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে। ঘটনার সূত্রপাতে জানা যায়, বুধবার দুপুরে ১৫ তম ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের একজন ছাত্রী ক্যাম্পাসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সদরঘাট গামী বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে ওঠে গুলিস্তান থেকে। তখন ওই শিক্ষার্থী বাসের সুপারভাইজারকে হাফ ভাড়া দিতে চাইলে সেই অপারগতা প্রকাশ করে এবং তাকে বাসের মধ্যে লাঞ্ছিত করে। পরে ওই শিক্ষার্থী বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় সহপাঠীদের জানালে তারা সন্ধায় বিহঙ্গ পরিবহনের সেই বাসের সুপারভাইজার ও চালকের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সাথে তারা হাতাহাতিতে জড়ালে শিক্ষার্থীরা আত্মরক্ষা করতে গেলে তাদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আমরা বাসের স্টাফদের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে এসআই নাহিদুল ইসলাম আমাদের সাথে কোনো কারণ ছাড়াই উত্তেজিত হয়ে যায়। তখন আমরা পুলিশের সাথে কথা বলতে গেলে পুলিশ আমাদের ধাওয়া দিয়ে অকাট্য ভাষায় গালাগাল করে। এই সময় পুলিশ ফাহিম নামের এক শিক্ষার্থীকে ব্যাপক মারধর করে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফি আহমেদ বলেন, পুলিশ এবং বাসের স্টাফরা আমাদের উপর চওড়া হলে কিছু শিক্ষার্থী তখন বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাস ভাংচুর করে। আমাদের কয়েকজন সহপাঠী এ-সময় আহত হয়েছে। আমরা সবাই কোতোয়ালি থানার এসআই নাহিদুল ইসলামের প্রত্যাহার সহ বাসের স্টাফদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি। এই সময় শিক্ষার্থীরা সদরঘাট যাওয়া - আসা সকল ধরনের যানবাহন বন্ধ করে ভিক্টোরিয়া পার্ক, শাখারী বাজার মোড় অবরোধ করেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা সড়কের উপরে বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে এসআই নাহিদুলের অপসরণ চাই। সেই সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করে সহপাঠীর মুক্তির জন্য স্লোগান দিয়ে এসআই নাহিদুল সহ পুলিশের বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। তবে, এই বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই নাহিদুল ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি নয়। আটককৃত শিক্ষার্থী ফাহিমকে মুক্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি কোতোয়ালি থানায় যায় এবং লালবাগ জোনের এডিসির সাথে দীর্ঘ সময় বৈঠক করে তাকে থানা থেকে নিয়ে আসেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা পুলিশকে সাবধান করে দিয়েছে ভবিষ্যতে যাতে আমাদের কোনো শিক্ষার্থীদের সাথে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। তিনি আরও বলেন, পুলিশ আমাদের কথা দিয়েছে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর কখনো ঘটবে না। এছাড়াও, আমরা আগামী রবিবার সদরঘাটগামী সকল পরিবহনের মালিক সমিতির সাথে হাফ ভাড়া সহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে কথা বলবো। এসময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সাথে কথা বলে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দেয় এবং দীর্ঘ চার ঘন্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : চট্টগ্রামে কাজির দেউড়ীতে দৈনিক আমাদের বাংলা ও আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক আমাদের চট্টগ্রামের সম্পা...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : বেঞ্জামিন রফিক : রাজধানীর কাকরাইল দৈনিক ব্যাংক বীমা ও অর্থনীতি’র কার্যালয়ে বাংলাদেশের পত্রিক...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : নোয়াখালী সেনবাগ প্রতিনিধি : নোয়াখালী সেনবাগের মাদক সম্রাট মোঃ বেলাল হোসেন ওরফে লাল বেলাল(৪৮) কে ...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : শহিদুল ইসলাম, প্রতিনিধি: আমেরিকা বাফেলো শহরে বাংলাদেশি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী মহলে...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী ফাগুয়া উৎসব উপলক্ষে ২৭/০৩/২০২৪ খ্রিঃ রোজ বুধবার সকা...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : সেনবাগ সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সেনবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। &...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited