শিরোনাম
সংবাদদাতা, আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) : | ০৬:৫৫ পিএম, ২০২০-০৯-০৬
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বৈরি আবহাওয়ার কারনে পুকুর জলাশয়ের পানিতে গ্যাসের সৃষ্টি হয়ে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়ায় মাছ মরে যাওয়ার ফলে মৎসচাষীদের কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
যার ফলে উপজেলার হাটবাজার গুলোতে এখন দেশী মাছে সয়লাব। কেউ মাছ কিনতে আবার কেউবা তা দেখতে ভীর করছেন। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে হাটে মাছ কেনার জন্য মাইকিংও করা হয়েছে । তবুও এসব মাছের তেমন একটা ক্রেতা মেলছেনা। অনেক মাছ ব্যবসায়ী ও চাষিদের মাছ বিক্রি না হওয়ায় বাজারেই পঁচে গেছে।
বাজারে রুই-কাতলাসহ বিভিন্ন মাছে বাজার সয়লাব। সাধারণত বড় আকৃতির মাছ কেজিপ্রতি ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকার নিচে মেলে না। সেখানে এদিন এমন মাছের দর চাওয়া হচ্ছিল মাত্র ২৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা। আর ছোট আকৃতির মাছের ক্রেতাই তেমন মেলেনি।
মাছ চাষি ও মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুকুর ও বিলের পানিতে হঠাৎকরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে। এতে ব্যাপক হারে মাছ মরে গেছে। ফলে প্রচুর পরিমান মাছ বাজারে চলে আসায় তা অল্প দামে বিক্রয় হচ্ছে। সব মিলিয়ে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছেন মাছ চাষিরা।
সরেজমিনে আক্কেলপুর পৌরসদরের কলেজ বাজার হাটে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে অল্প দামে বিভিন্ন মাছ বিক্রি করতে দেখা যায়। বড় রুই-কাতলা মিলছিল ৮০ টাকা থেকে ১৮০ কেজি দরে, যা একদিন আগেই ছিল ২০০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বিভিন্ন যাতের খুচরা মাছ একদিন আগে (গত মঙ্গলবার) প্রতি কেজি ছিল ৩০০-৪০০ টাকা সেই মাছ (গত বুধবার) ২০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারে অন্য দিনের তুলনায় লোকসমাগমও ছিল চোঁখে পড়ার মতো।
আওয়ালগাড়ি গ্রামের সাগর হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, সকালে বাজার করতে হাটে এসেছিলাম। দেখি বাজারে প্রচুর মাছ উঠেছে। আমি ৮০ টাকা কেজি দরে বড় রুই, জাপানি, বড় বাটার পাঁচ কেজি মাছ কিনেছি। এর আগে কখনও এতো অল্প দামে মাছ কিনতে পারিনি।
নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার গয়েসপুর গ্রামের মৎস্যচাষি শাহিন হোসেন বলেন, সকালে জানতে পারেন তার পুকুরের মরা মাছ ভাসছে। বিষয়টি জেনে পুকুরে গেলে ততক্ষণে অনেক মাছ মরে ভেসে ধারে লাগে। পরে মাছ গুলো কিছু অংশ তুলে বাজারে নেয় বাকি মাছ পুকুরে মরে পচে গেছে।
মাছ চাষি নুরুল হোসেন ও ইসরাফিল বলেন, বাজারে যে মাস ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায় বিক্রি হতো সেই মাছ ৮০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে এমন বড় লোকসানের মুখে এর আগে কখন পরিনি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম বলেন, দুর্যোগ পরবর্তি সময়ে পুকুর গুলোতে অক্সিজেনের সল্পতা দেখা দেয়। আবার অনেক সময় এসিড বৃষ্টি অর্থাৎ বায়ুমন্ডলে যদি কোন কারণে এসিটিক বাতাস প্রবাহিত হয় আর ঠিক ঐ সময়ে যদি বৃষ্টি হয়। তাহলে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের এসিডটা মিশ্রিত হয়ে পানিতে পড়ে। আর তখন পানিতে অক্সিজেন সল্পতা দেখা দেয় এবং পানির চঐ কমে যায় যার ফলে পানি এসিটিক হয় এবং মাছ মরে ভেসে ওঠে। তিনি আরো বলেন ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষিদের তালিকাও প্রস্তুত করা হচ্ছে।
শহিদুল করিম শহিদ ,কক্সবাজার : : কক্সবাজার জেলার নবম থানা হিসাবে ‘ঈদগাঁও থানা’ উদ্বোধন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদু...বিস্তারিত
সংবাদদাতা, সাতক্ষীরা : : সাতক্ষীরার আশাশুনিতে সহ¯্রাধিক হতদরিদ্র দুঃস্থ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরন করা হয়েছে। শুক...বিস্তারিত
সংবাদদাতা, পঞ্চগড় : : পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নে ভাতিজির বিয়েতে সাউন্ডবক্স ঠিক করতে গিয়ে বিদ্যু...বিস্তারিত
বিহারী চাকমা, রাঙ্গামাটি : : বরকল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২০২১ সালের জানয়ারি মাসের আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধব...বিস্তারিত
সংবাদদাতা, পঞ্চগড় : : পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।...বিস্তারিত
এস এম মাসুদ রানা, সীতাকুণ্ড : : গত কয়েকদিন উপর্যুপরি ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত আতঙ্কের মধ্যে এবার এক শিক্ষকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited