শিরোনাম
এস এম মাসুদ রানা, সীতাকুণ্ড : | ০৩:১৪ পিএম, ২০২০-০৮-১১
আমি লেয়ার মুরগী। খুব করে খাইয়ে বিশাল খোলা ঘরে আমাকে একদিন থেকে রাখা হয়। আমাকে সুস্থ সবল রাখার কত ব্যবস্থা! সঙ্গীদের সঙ্গে হেসে খেলে দৌঁড়ঝাপ করে আমি বড় হই। একশ বিশ দিন বয়সে পূর্ণ যৌবনা হই। আমার ভিতর পরিবর্তন আসে। শারীরিক ও মানসিক। তখন আমার মালিক আমায় অন্যত্র নিয়ে যায়। আমাকে দেড়ফুট একটা জেলে বন্দী করে। হঠাৎ এ বন্দী জীবনে আমি দিশেহারা হই। বের হওয়ার জন্য ছটফট করি। এর মধ্যেই আমার নারী জীবনের অপূর্ণতার মধ্য দিয়েই ডিম পাড়া শুরু করি। কিন্তু হায়! আমার নাড়ি ছেড়া ডিম গড়িয়ে জেলের বাহিরে চলে যায়। আমি একটু ছুঁয়েও দেখতে পারলাম। একেতো ছোট্ট জেলে নড়তে চড়তে পারছি না তার উপর আমার আরো দুজন সাথীকে আমার জেলে বন্দী করলো মালিক। যাক, কথা বলার তো একজন পেলাম। না, ওরা আসায় জীবন আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠে। গরমে হাপিয়ে উঠি। গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বসাও যায় না। দেখলাম খাবারেও পরিবর্তন। আগের মত খাবার দেয় না। টাইম মেপে দেয়। এভাবে দিন মাস বছর যায়। আমাদের বন্দী জীবনে অনেক মানুষ আসে আমাদের পাশে। তাদের কথা শুনে অভিজ্ঞতা বাড়ে। আমাদের ডিম বিক্রি করে মালিক তার জন্য প্রশস্ত বাড়ি বানায়, লন বানায়। সে নাকি সম্পদশালী হয়। আর আমাদের ডিম খেয়ে মনুষ্য জাতির পুষ্টি হয়। সে স্বাস্থ্যবান হয়। তাদের স্বাস্থ্যবান বানাতে তারা আমাদের মেশিনের মত ব্যবহার করে। টানা সতেরো আটারো মাস আমাদের দিয়ে ডিম পাড়িয়ে নেয়। অথচ কত স্বপ্ন ছিল স্বামী সংসার ছেলে মেয়ে নিয়ে দিন কাটাবো। শুনেছি কোথায় যেন কি আইন আছে। আমাদের মত অবলা প্রাণীদের সাথে কেমন আচরণ করতে হবে তা লেখা আছে। ওখানে নাকি লেখা আছে আমরাও প্রাণী। মহান আল্লাহর সৃষ্টি। আমরা শুধু ডিমপাড়া মেশিন নই, আমাদেরও হাত পা পাখনা ছড়িয়ে হাঁটার দৌঁড়ঝাপের অধিকার আছে। আস্তে আস্তে বয়স বাড়ে। আগের মত আর ডিম দিতে পারি না। শরীর আর আগের মত ভালোও নেই। যৌবনে মালিক ডাক্তার দেখাত। নিয়মিত ওষুধ খাওয়াত। একটু ঠান্ডাও লাগতে দিত না। অথচ মালিকের জন্য সবটুকু নিংড়ে দেওয়ার পর জীবনের এ বেলায় মালিক সামান্য ওষুধ দাওয়াই ও আর দেয় না। আমরা নাকি আনপ্রোডাক্টিভ হয়ে গেছি। ইদানীং খুব ছেলে বেলার কথা মনে পড়ে। মুক্ত বাতাসের কথা মনে পড়ে। আচ্ছা ওখানে নি আমরা মালিকের জন্য ডিম দিতাম না? নাহয় আমাদের পায়ের চাপে দু একটা ডিম ভাঙতো। তাই বলে খাঁচায় বন্দী করতে হবে? ওটা আরেকটু বড় হলে কি হতো? আচ্ছা এটা বানিয়েছে কে? তার বুঝি আমাদের এতই নিগৃহীত মনে হয়? আমরা কি মনুষ্য জাতির জন্য কিছুই করিনি? ভাবনার বেড়াজালে ছেদ পড়ে। মালিক আরেকটা বড় জেলে সবাইকে গাদাগাদি করে কোথায় যেন নিয়ে যায়। ওখানে তারা আমাদের জবাই করে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : চট্টগ্রামে কাজির দেউড়ীতে দৈনিক আমাদের বাংলা ও আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক আমাদের চট্টগ্রামের সম্পা...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : বেঞ্জামিন রফিক : রাজধানীর কাকরাইল দৈনিক ব্যাংক বীমা ও অর্থনীতি’র কার্যালয়ে বাংলাদেশের পত্রিক...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : নোয়াখালী সেনবাগ প্রতিনিধি : নোয়াখালী সেনবাগের মাদক সম্রাট মোঃ বেলাল হোসেন ওরফে লাল বেলাল(৪৮) কে ...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : শহিদুল ইসলাম, প্রতিনিধি: আমেরিকা বাফেলো শহরে বাংলাদেশি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী মহলে...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী ফাগুয়া উৎসব উপলক্ষে ২৭/০৩/২০২৪ খ্রিঃ রোজ বুধবার সকা...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : সেনবাগ সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সেনবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। &...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited