শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৩:৪৩ পিএম, ২০২২-১০-০৮
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে কাজ না করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সিইসি বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন বিষয়ে আপনাদের কঠোরভাবে দায়িত্ব-সচেতন হতে হবে। কোনো অবস্থায়ই নির্বাচন বিষয়ে আপনাদের কর্ম ও আচরণে এমন কিছুর প্রতিফলন হবে না যাতে জনগণ ভাবতে পারেন যে আপনারা কোনো একটি দলের পক্ষে কাজ করছেন। জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগের সহায়ক অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে। নিরপেক্ষ থেকে আপনারা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। শনিবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশের ৬১ জেলার ডিসি ও পুলিশ সুপারদের সাথে সভায় তিনি এমন পরামর্শ দেন। সংবিধান, আইন ও বিধি-বিধানের আলোকে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দিয়ে তিনি ডিসি-এসপিদের উদ্দেশে বলেন, প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। যে কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখবেন। জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগের সহায়ক অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে। নিরপেক্ষ থেকে আপনারা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে প্রজাতন্ত্রের কর্মের কাঙ্ক্ষিত মান ও আদর্শ সমুন্নত রাখবেন। গণতন্ত্রের প্রয়োগ, চর্চা ও বিকাশে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে আপনাদের। দায়িত্ব পালনে ন্যূনতম শৈথিল্য প্রদর্শন করা যাবে না উল্লেখ করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশন তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রয়োগে কঠোর অবস্থানে থাকবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএম প্রশ্নেও বিতর্ক রয়েছে। আমরা কেবল বিশ্বাস করি না, প্রমাণ পেয়েছি ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনী সহিংসতা ও কারচুপি নিয়ন্ত্রণ সহজতর। অনূর্ধ্ব ১৫০টি আসনে, প্রাপ্যতা সাপেক্ষে, ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। তবে প্রয়োজনে সব আসনে বা ১৫০টির বেশি আসনে ব্যালটে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ও সামর্থ্য আমাদের থাকবে। সে লক্ষ্যে নির্বাহী ও পুলিশ প্রশাসনকেও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সামর্থ্য ও প্রস্তুতি রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশে একই দিনে একই সময়ে ৪২ থেকে ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। কর্মযজ্ঞটি সহজসাধ্য না হলেও অসাধ্য নয় এবং সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে সার্থকভাবেই সাধন করতে হবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে উপেক্ষা করা যাবে না জানিয়ে সিইসি বলেন, সংসদীয় পদ্ধতির বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রশ্নে মতপার্থক্য বা মতের ভিন্নতা থাকতেই পারে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ বিভাজন নিয়ে সংশয় থাকলেও আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ ও সার্বিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের সদিচ্ছা, প্রজ্ঞা এবং বিচক্ষণতা যে কোনো সংকট ও সংশয় নিরসনে সামর্থ্য রাখে। মতৈক্য ও সমঝোতা হবে। সংকট ও সংশয় কেটে যাবে।
আগামী বছরের শেষ প্রান্তিক বা ২০২৪ সালের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আপনারা রাষ্ট্রের মূল প্রশাসনিক ইউনিট, জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা। পদাধিকারবলে আপনারা জনগণের কাছে থেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ও স্থানীয় সরকার গঠনের গুরুত্ব আপনারা নিশ্চয়ই অনুধাবন করে থাকেন। শনিবার (৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকের সময় স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও অন্যান্য কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা উপস্থিত রয়েছেন । সিইসি বলেন, প্রথমেই আমি ও আমার সহকর্মীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের আন্তরিক স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সম্মানিত সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানিত অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকও উপস্থিত আছেন। আপনাদেরও আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমন্ত্রণপত্রের মাধ্যমেই আপনারা আজকের সভার উদ্দেশ্য জেনেছেন। ‘সংবিধান ও বিভিন্ন আইন অনুযায়ী নির্বাচন একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংসদ নির্বাচন পাঁচ বছর অন্তর অন্তর হয়ে থাকলেও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন প্রতি বছরই, কোনো না কোনো কারণে চলমান থাকে। যেমন আগামী ১৭ তারিখে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জাতীয় সংসদের দুটো উপ-নির্বাচন রয়েছে। আগামী বছরের শেষ প্রান্তিকে বা ২০২৪ সালের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন।’ তিনি বলেন, আজকের সভার উদ্দেশ্য সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ সব নির্বাচনের বিষয়ে আপনাদের ও কমিশনের সমন্বিত দায়িত্ব, ভূমিকা, করণীয় নিয়ে আলোচনা এবং মতবিনিময় করা। আশা করি কার্যকর আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে আজকের সভা সফল ও ফলপ্রসূ হবে।
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : সেনবাগ সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সেনবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। &...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং মালিক, শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের বার্ষিক সাধার...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : # দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও জনবল সংকটে বকেয়া থাকছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব # রিটার্ন না দেওয়ার জন্য অনেকে ব্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবিসহ দলে স্বেচ্ছাচারিতার অফিযোগে দলটির চেয়ারম্যান জি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিরোধী দলে ছিলেন এবং বিরোধী দলেই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর সদর-৩ আস...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ম...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited