শিরোনাম
এডভোকেট-এম. এন মোস্তফা নূর | ০৪:৪৫ পিএম, ২০২০-০৯-২৬
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি, ঐতিহাসিকভাবে আরাকানী ভারতীয়ও বলা হয়ে থাকে এই জনগোষ্ঠিকে। রোহিঙ্গা হলো পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি রাষ্ট্রবিহীন ইন্দো-আর্য জনগোষ্ঠী। ২০১৬-১৭ মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের পূর্বে অনুমানিক ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা মায়ানমারে বসবাস করত। ২০১৩ সালে জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের বিশ্বের অন্যতম নিগৃহীত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করেছিল। ১৯৮২ সালের বার্মিজ নাগরিকত্ব আইন অনুসারে তাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হয়েছিল।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্যমতে, ১৯৮২ সালের আইনে “রোহিঙ্গাদের জাতীয়তা অর্জনের সম্ভাবনা কার্যকরভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে"।এছাড়াও তাদের স্বাধীনতা, রাষ্ট্রীয় শিক্ষা এবং সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। রোহিঙ্গারা ১৯৭৮, ১৯৯১-১৯৯২,২০১২, ২০১৫ ও ২০১৬-২০১৭ সালে সামরিক নির্যাতন এবং দমনের সম্মুখীন হয়, যার ফলে রোহিঙ্গারা প্রতিবারই বৈধ অথবা অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল।
রোহিঙ্গারা বলে আসছেন তারা পশ্চিম মায়ানমারে অনেক আগে থেকে বসবাস করে আসছেন। বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে নির্যাতন শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত রোহিঙ্গারা আইনপ্রণেতা ও সংসদ সদস্য হিসেবে মায়ানমারের সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পূর্বে যদিও মায়ানমার রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করত কিন্তু হঠাৎই মায়ানমারের সরকারি মনোভাব বদলে যায় এবং রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মায়ানমার সরকারের অফিসিয়াল মন্তব্য হলো তারা জাতীয় জনগোষ্ঠী নয় বরং তারা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসি। বর্তমানে রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের জন্য একটি গভীরতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশের পর সমস্যাটি যে এতটা জটিল হয়ে উঠবে, তা অনেকের ভাবনায়ও ছিল না। উপরন্তু এর কিছুদিন পরই বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি প্রত্যাবাসন চুক্তি হয়, যার ফলে মনে হয়েছিল দুই দেশের সমঝোতার মাধ্যমে কোনো ধরনের সংকট ছাড়াই বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যাবে এবং সমস্যাটি দীর্ঘায়িত হবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আমরা এই সমঝোতার কোনো বাস্তবিক প্রয়োগ দেখতে পাইনি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এই সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী চার দফা প্রস্তাব পেশ করেন, যেখানে তিনি টেকসই প্রত্যাবাসনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া তিনি মিয়ানমারের প্রতি রোহিঙ্গাদের আস্থা তৈরি করা এবং রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের রাখাইনে সফরের আয়োজন করার কথা বলেন। পাশাপাশি তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা এবং এই সংকটের কারণ বিবেচনায় রেখে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে বলেন। কিন্তু ২০১৮ সালের নভেম্বরে এবং ২০১৯ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ দুবারই ব্যর্থ হয়। এর ফলে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে জনমনে ব্যাপক সংশয় তৈরি হয়। যেইখানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের কারনে বড় ধরনের সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, পরিবেশগত নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে
সেখানে আজ অব্দি আমরা তার স্থায়ী কোনো সমাধানে যেতে পারিনি।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো সম্প্রতি বাংলাদেশের জন্য বড় এক চেলেঞ্জিং সংবাদ পাঠালো সৌদি-আরব।
রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত না নিলে, সৌদি প্রবাসী ২২ লাখ বাংলাদেশীকেও ফেরত পাঠানোর হুমকি দিয়েছে দেশটি!
বর্তমানে সৌদি-আরবে তিন লক্ষাধিক রোহিঙ্গা আছে। তাদের মধ্যে ৬০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী।
তারা সৌদি-আরবে নানা অপরাধ কর্ম করে যাচ্ছে। যার কারণে সৌদি আরব রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে!
সৌদি-আরব যদি এখন আমাদের প্রবাসীদের পাঠিয়ে দেয় তাহলে আমাদের অর্থনীতি এক বড় হুমকির মুখে পড়বে। তাই এখনই সময় এই ব্যাপারটা নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবার! উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়ার!
আমরা কি ভাবতে পারছি কোন দিকে যাচ্ছে বাংলাদের ভবিষ্যৎ? এখনই যদি পদক্ষেপ নেয়া না হয় অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য শতভাগ বড় ধরনের বিপর্যয় তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
লেখক : মো: আলাউদ্দিন। শিক্ষার্থী এমবিএ, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার দুর্গম দজর এলাকায় বিষপান করে মধুমিতা চাকমা (৪০) উর্ধ্ব এক নারী আত্মহ...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : ব্রিঃ জেঃ হাসান মোঃ শামসুদ্দীন (অবঃ) মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘাত চলছে। ম...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : মো. কামাল উদ্দিন : ভাষা বিজ্ঞানি ড. মুহাম্মদ এনামুল হকের ভাষায়, ‘বঙ্গবন্ধু বিগত দু’হাজার বছরের ...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : আবুল খায়ের বাবু : ৭ ই অক্টোবর ২০২৩-এ হামাসের বিস্ময়কর আক্রমণের পর ইজরাইলের প্রতিশোধ আক্রমণে্র তি...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : মেরিনার আবু ফাতাহ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনঃ কেন পালন করা হয় শবে বরাত? কবে থেকে পালন করা হয় পবিত্র এই ...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : মেরিনার আবু ফাতাহ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনঃ আপনি কি ডিপ্লোমা বা গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী প্রকৌশলী? ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited