শিরোনাম
এডভোকেট-এম. এন মোস্তফা নূর | ০৬:১৪ পিএম, ২০২০-০৯-২৭
আমরা রাষ্ট্রের স্বাধীনতা পেয়েছি ঠিক কিন্তু আমরা ব্যক্তি ক্ষেত্রে কতটুকই বা স্বাধীন!
যখন রাতের বেলা একজন নারী একা চলাফেরা করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন, যখন একজন মাদ্রাসার ছাত্রী শিক্ষক রুপী পশুর হাতে ধর্ষিত হন, যখন একটা ৩ বছরের বাচ্চা একজন ৩৪ বছর বয়সের পুরুষ দ্বারা ধর্ষিত হয়, যখন স্বামীকে বেধে রেখে তার সামনে তার স্ত্রীকে গণ ধর্ষণ করা হয় তাহলে সত্যিই মনে হয় আমরা স্বাধীন না। আমরা এক সামাজিক পরাধীনতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যার দরুন আমরা আমাদের মা, বোন, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছি। প্রতিদিনই বাংলাদেশের কোনো না কোনো জায়গায় ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, ধর্ষণ করে খুন করা হচ্ছে, অনেকে ধর্ষীত হয়ে আত্মহত্যা করছে। আজকের ধর্ষণের খবরটা আগামীকালের নতুন এক ধর্ষণের খবরে আমাদের কাছে পুরাতন হয়ে যায় তাই প্রতিদিনই সংবাদ পত্রে, টিভির হেড লাইনে ধর্ষণের খবরে আমরা অভ্যস্ত।
আমরা যত বাংলাদেশের অবকাঠামো গত উন্নতির দিকে যাচ্ছি, এই সামাজিক ব্যাধি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। কিছু পরিসংখ্যান দেখলেই তা বোঝা যায়।
"বাংলাদেশ পুলিশের মতে : গত বছর ৫ হাজার ৪০০ নারী এবং ৮১৫টি শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ২০১৮ সালে শিশু ধর্ষণের মামলা ছিল ৭২৭টি এবং নারী ধর্ষণের মামলা ছিল ৩ হাজার ৯০০টি। পুলিশের হিসাব বলছে, গত বছর ধর্ষণের কারণে ১২ শিশু এবং ২৬ জন নারী মারা যান। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ২১ নারী ও ১৪ শিশু।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক): আসকের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা আগের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে। গত বছর সারা দেশে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার ১ হাজার ৪১৩ নারী ও শিশু। ২০১৮ সালে সংখ্যাটি ছিল ৭৩২"। (- প্রথম আলো)
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬০১ জন নারী ও শিশু। এর মধ্যে একক ধর্ষণের শিকার ৪৬২ জন এবং দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৩৪ জন। ধর্ষণের শিকার হওয়াদের মধ্যে ৪০ জনের বয়স ৬ বছর এবং ১০৩ জনের বয়স ১২ বছরের মধ্যে। এ ছাড়া ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩৭ নারীকে। আর ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন সাতজন নারী। ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে ১২৬ জন নারীর ওপর।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে এইসবের বেশিরভাগের যথাযথ বিচার হয়নি।বর্তমানে কেউ ধর্ষক, কেউ দর্শক, কেউ ধর্ষিত
তাতে রাষ্ট্রের কি বা আসে যায়,
আমাদের শুধু মোমবাতি হাতে দাড়িয়ে থাকা দায়। আমরা যদি ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার কারণ খুজতে যাই তাহলে প্রথমেই আসে যথাযথ আইনের অভাব, বিদ্যমান আইনের অনুপোযুক্ত প্রয়োগ এবং আমাদের নিম্ন মন মানসিকতা।
যদি ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, যদি আইন সবার জন্য সমান এইটা নিশ্চিত করা যায়, যদি ধর্ষণের পরিণতি ভয়াবহ এই জিনিসটা আমরা সবাই ধারণ করি তাহলেই ধর্ষণ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
অন্যদিকে আমাদের মন মানসিকতারও পরির্বতন দরকার। নারীদের পোশাকের দিকে আংগুল না তুলে নিজেদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির উন্নত করা দরকার। কারণ
কারো শরীরে নগ্নতা নেই, নগ্নতা আমাদের মগজে। কারো পোশাক অশ্লীল নয়, অশ্লীলতা আমাদের বিবেকে। তাই, প্রথমত দেখতে হবে আমার দ্বারা পাশের নারী, মহিলা এবং শিশুটি নিরাপদ কিনা! আমার দ্বারা কোনো প্রকার যৌন হয়রানীর শিকার হচ্ছে না তো!
এই সামাজিক ব্যাধি নিয়ে আমাদের সবার উচিত আরো বেশি প্রতিবাদ করা এবং এই প্রতিবাদ শুধু ফেইসবুক পোস্টে, কমেন্টে সীমাবদ্ধ হওয়া সমিচীন নয়। সরব প্রতিবাদ, মনন জগত নাড়া দেওয়ার মতো প্রতিবাদ দরকার।
লেখক : মো: আলাউদ্দিন। শিক্ষার্থী এমবিএ, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার দুর্গম দজর এলাকায় বিষপান করে মধুমিতা চাকমা (৪০) উর্ধ্ব এক নারী আত্মহ...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : ব্রিঃ জেঃ হাসান মোঃ শামসুদ্দীন (অবঃ) মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘাত চলছে। ম...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : মো. কামাল উদ্দিন : ভাষা বিজ্ঞানি ড. মুহাম্মদ এনামুল হকের ভাষায়, ‘বঙ্গবন্ধু বিগত দু’হাজার বছরের ...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : আবুল খায়ের বাবু : ৭ ই অক্টোবর ২০২৩-এ হামাসের বিস্ময়কর আক্রমণের পর ইজরাইলের প্রতিশোধ আক্রমণে্র তি...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : মেরিনার আবু ফাতাহ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনঃ কেন পালন করা হয় শবে বরাত? কবে থেকে পালন করা হয় পবিত্র এই ...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : মেরিনার আবু ফাতাহ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনঃ আপনি কি ডিপ্লোমা বা গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী প্রকৌশলী? ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited