শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৯:৩৯ পিএম, ২০২৩-১১-০৬
‘আগুন সন্ত্রাসীদের’ ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন ডিএমপি কমিশনার। যারা তথ্য দেবেন, তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। সকালের সময় প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর পুলিশ বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধের মধ্যে যারা যানবাহন বা বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দিচ্ছে, তাদের ধরিয়ে দিলে বা তথ্য দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবে। সোমবার পেট্রোল পাম্প মালিকদের সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে এক বৈঠকের পর ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান এই পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। ডিএম কমিশনার বলেন, সরকার বিরোধী বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা গাড়িতে আগুন দিয়ে দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে, সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করছে। যারা আগুন দিয়ে দেশে আরাজকতা সৃষ্টি করে, হত্যা করে, তাদের ধরিয়ে দিলে বা তথ্য দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।” আর যারা তথ্য দেবেন, তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে জানান উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সেদিন নয়াপল্টনে সমাবেশ শুরুর পর কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে শান্তিনগর, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং দৈনিক বাংলা মোড় পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয় আরো ডজনখানেক যানবাহন। হামলা করা হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে। এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংঘাতে প্রাণ যায় যুবদলের এক নেতার। সংঘর্ষের মধ্যে পণ্ড হওয়া সমাবেশ থেকেই পরদিন সারাদেশে হরতালের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৯ অক্টোবর সেই হরতালের সকালে গুলশানের বাসা থেকে ফখরুলকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এর প্রতিবাদে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি ও জামায়াত। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই কর্মসূচি শেষে গত রবি ও সোমবার নতুন করে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ঘোষণা দেয়। আর গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও যানবাহন পোড়ানো হচ্ছে। এই সময়ে প্রাণ গেছে অন্তত ৯ জনের। সার্বিক পরিস্থিতিতে মানুষের মনে ফিরে আসছে ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের টানা অবরোধ-হরতালের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতার স্মৃতি। তখন নজিরবিহীন নাশকতা ও সহিংসতা দেখেছিল বাংলাদেশ, যানবাহনে ছোড়া পেট্রোল বোমায় মৃত্যু হয়েছিল শতাধিক মানুষের, বেঁচে যাওয়া অসংখ্য মানুষ এখনও সেই পোড়া ক্ষত বহন করছেন। অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিএনপি তাদের ‘পুরনো চেহারায়’ ফিরে গেছে। বিএনপি অবশ্য সহিংসতার জন্য উল্টো ক্ষমতাসীনদেরই দায়ী করছে। উল্লেখ্য, গত ২০১৫ সালের মত এবারও কয়েকটি ঘটনায় যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে পেট্রোল বোমা ছুড়ে। সে কারণে পেট্রোল পাম্প মালিকরা যেন খুচরা পেট্রোল বিক্রি না করেন এবং সতর্কতার সাথে পেট্রোল ও ডিজেল বিক্রি করেন, সেই পরামর্শ দেন পুলিশ কমিশনার। সেই সঙ্গে তিনি পাম্পের নিরাপত্তার বিষয়ে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য মালিকদের অনুরোধ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলায় নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার হোমনা থানা এলাকার বাঘা শরীফ বলী। বৃহ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা অবাধে প্রবেশ করে থাকেন। তবে গত এক মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকে প...বিস্তারিত
নোয়াখালী প্রতিনিধি : : নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার পূর্ব পাশের বঙ্গোপসাগরে এমভি মৌ-মনি নামে একটি কার্গো জাহাজডুবির ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রমের মধ্যে রাখতে ছুটি আর না বাড়িয়ে আগামী ২৮ এপ্রিল থেকেই শিক্ষাপ্রত...বিস্তারিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : শিক্ষার্থীদের অবরোধ ও বিক্ষোভের মধ্যে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) অনির্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপির সঙ্গে তাঁর বাসভবনে ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited