বাংলাদেশ   শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪  

শিরোনাম

আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার নবগঠিত মজলিসে এদারির সদস্যবৃন্দের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০২:৩৪ পিএম, ২০২৩-১১-১১

আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার নবগঠিত মজলিসে এদারির সদস্যবৃন্দের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত

শায়খুল হাদীস হাফেজ আহমাদুল্লাহ হাফিঃ। 
জন্ম ১৪ রবিউস ছানি, ১৩৬১ হিজরি মোতাবেক ১ মে, ১৯৪১ ইং, সোমবার চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার অন্তর্গত নাইখাইন মাজহারুল্লাহ মুন্সীর বাড়ীতে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম হযরত মাওলানা ঈসা সাহেব রহ.।
লেখাপড়া
তার ছাত্রজীবন শুরু হয় পিতা মহোদয়ের নিকটেই। তার কাছেই কোরআন মাজিদের নাজেরা শেষ করেন মাত্র ৭ বছর বয়সে। তারপর প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা নিকেতন জিরি ইসলামিয়া আরবিয়াহ মাদ্রাসায় ১৩৬৮ হিজরিতে হেফজ বিভাগে ভর্তি হয়ে ১৩৭১ হিজরিতে মাত্র ১০ বছর বয়সে হেফজ সমাপ্ত করেন। তারপর ঐ মাদ্রাসায় দরসে নেজামির প্রথম স্তর। থেকে দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত শেষ করেন। প্রত্যেক জামাতের প্রতিটি পরীক্ষায় প্রথম স্থান লাভ করেন। সেখানে তার বিশেষ উদ্ভাদদের মধ্যে ছিলেন হযরত আল্লামা আবুল খায়ের রহ প্রমুখ। ১৩৮৩ হিজরি সনে স্বদেশে পড়ালেখা শেষ করে আর উচ্চতর শিক্ষার জন্য পাড়ি জমান পাকিস্তানে। ১৩৮৪হিজরি সনে তিনি ভর্তি হন পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ শহর লাহোরের বিখাত প্রতিষ্ঠান জামিয়া আশরাফিয়া লাহোরে। সেখানে তিনি পুনরায় দাওরায়ে হাদিস পড়েন। সেখানেও বার্ষিক পরিক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ওখানে তাঁর উদ্ভাদদের মধ্যে রয়েছেন দারুল উলূম দেওবন্দের শাইখুত তাফসীর আল্লামা হযরত ইদরীস কোন্দলভী রহ. শাইস্কুল কুল ফিকুল আল্লামা রসূল খান রহ. প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। এতটুকুতেই তিনি ক্ষান্ত হননি। আরো উচ্চতর শিক্ষা লাভের আগ্রহে তিনি চলে যান পাকিস্তানের মুলতান শহরের সুপ্রসিদ্ধ মাদ্রাসা খাইরুল মাদারিসে। সেখানে তিনি ভর্তি হয়ে প্রখ্যাত উত্তাযুল মা'কুলাত হযরত আল্লামা মুহাম্মদ শরীফ কাশ্মীরির কাছে "ফুনুনাতে আলিয়া” মুকাম্মিল করেন। এবং সেখানেও বার্ষিক পরিক্ষায় ১ম স্থান অধিকার করেন। উসতাযুল মাকুলাত হযরত আল্লামা মুহা, শরীফ কাশ্মিরী দারুল উলূম দেওবন্দের শায়খুল শাকুলাত ছিলেন। উল্লেখ্য, সেখানকার শিক্ষকগণ তার বিরল মেধা, সাধনা ও কৃতিত্ব দেখে তাকে বাঙ্গাল কা খরকে আদত (বাংলার বিরল মেধাৰী কৃতিত্ব) উপাধিতে ভূষিত করেন এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার মেধা ও কৃতিত্বে মুগ্ধ হয়ে মাদরাসার বিশাল বার্ষিক মالمنوي
বিশেষ পুরস্কার ইসলামি দর্শনের বিশেষ দর্শনের বিশেষ দস্তার প্রদান করেন। এতেও তার জ্ঞান পিপাসা নিবারিত হয় নি। অদৃশ্য জ্ঞানস্পৃহা তাকে আবার নিয়ে চলল পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম করাচিতে। ১৩৮৭ হিজরি সনে তিনি দারুল উলুমে ফতোয়া বিভাগে ভর্তি হন। এবং  মুফতি আজম হযরত আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ শফি রহঃ এর কাছে ফতোয়ার কোর্স সমাপ্ত করেন। যিনি দারুল উলুম দেওবন্দের এবং খানকায়ে এমদাদিয়া থানাভবনের হজরত হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী এর মুখপাত্র মুফতি ও জলিলুল কদর খলিফা ছিলেন। 
১৩৮৮ হি. সনে শাওয়াল মাসে তিনি বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। দেশে ফিরে তিনি জ্ঞানের মাতৃক্রোড় ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জিরি ইসলামিয়া আরবিয়ায় শিক্ষক হিসেবে আত্মনিয়োগ করেন। সেখানে তিনি সুদীর্ঘ ২৩ বছর দরসে নেজামির প্রায় প্রত্যেক বিষয়ে কৃতিত্বের সাথে শিক্ষাদান করেন। দীর্ঘ তেইশ বছরের শেষের দিকে তিনি শাইখুল হাদিস পদে উন্নীত হন। ১৪১১ হি. সনে জিলকদ মাসে জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার পরিচালক, শাইখুল আরব ওয়াল আজম, হযরত শাহ মুহাম্মাদ ইউনুস সাহের বহু, এর বিশেষ অনুরোধে আমিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার মুহাদ্দিস ও মুফতি হিসেবে নিযুক্ত হন। সেই থেকে অদ্যবধি তিনি আল্লাহর অসীম করুণায় উক্ত খেদমতে নিয়োজিত আছেন।
আধ্যাত্মিকতা
ইলমে বাতেনি বা আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে প্রথমে তিনি পাকিস্তানের করাচিতে ফতোয়ার কোর্স শেষ করার সময় মুফতিয়ে আজম আল্লামা শফী রহ. এর মোবারক হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। অতঃপর দেশে ফিরে আসেন। ইতোমধ্যে মুফতিয়ে আজম রহ. ইন্তেকাল করেন। অতঃপর ১৩৯৯ হিজরির রমজান মাসে বাংলার যুগশ্রেষ্ঠ বুযুর্গ হযরত মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। বাইয়াত গ্রহণের ২ বছর পর ১৪০১ হিজরির রমজান মাসে তার গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান নসিহতসহ ইয়াজত ও খেলাফত দান করেন।
কিতাব রচনা
দরসে নেজামির কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ কিতাবাদির সুনিপুণ পাঠদান এবং ওয়াজ ও নসিহতের অবিরাম ব্যস্ততার ফলে লেখালেখির অসাধারণ প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও লেখালেখির পেছনে তত বেশি সময় ব্যয় করেননি। তাঁর বিরামহীন ব্যস্ততা সত্ত্বেও তিনি জ্ঞানপিয়াসীদের জন্য উপহার দিয়েছেন একগুচ্ছ অমূল্য পুস্তক। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ:
১) ছহিহ বোখারি শরিফের (কালা বা'দুন্নাস) এর ব্যাখ্যা ও হানাফীদের পক্ষ থেকে তার যুক্তিসঙ্গত উত্তরসম্বলিত গ্রন্থ।
২) মাশায়েখে চাটগাম (উর্দু-বাংলা)
৩) তাজকেরাতুন নুর
৪) তাসকিনুল খাওয়াতির ফী শরছিল আশবাহি ওয়ান্নাযাযির
৬) ইসলামের দৃষ্টিতে শেয়ার বাজার ও মাল্টিলেবেল মার্কেটিং
النفحات الاحمدية في الخطيات المنوية(٩)
৮) একের ভিতর সাত।
এছাড়াও হযরতের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন ভ্রান্ত মতবাদের মুখোশ উন্মোচনে লিখিত অনেক পুস্তিকা ও প্রবন্ধ রয়েছে।
২. আল-ইসলামিয়া পটিয়ার সিনিয়র মুফতি ও শায়খে সানী ও বিশিষ্ট ইসলামি অর্থনীতিবিদ শামসুখীনি ওয়াল উলামা আল্লামা মুফতি শামসুদ্দীন জিয়া। . .
সংক্ষিপ্ত জীবনী
বিজ্ঞ আলেমে দ্বীন, ফিকহবিশারদ, ইসলাম
ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞা আল্লামা মুফতি শামসুদ্দিন জিয়া সাহেব 
১৯৫৬ ইংরেজিতে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী প্রেমাশিয়া গ্রামে এক সম্রান্ত দ্বীনি পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম শরীয়ত উল্লাহ তালুকদার।
লেখাপড়া
ছোটবেলা থেকে খুব সহজ-সরল জীবন যাপন করতেন তিনি। বালক জিয়ার সরলতা, বিচক্ষণতা ও সুন্দর আচরণ মৃদ্ধ করত। ছোটবেলা থেকে প্রায় পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান  অধিকার করতেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ভর্তি হন আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসায়। কিন্তু ঐ প্রতিষ্ঠানে প্রকৃত আলো ও শান্তি খুঁজে পাচ্ছিলেন না বিধায় চলে আসেন কৈগ্রাম হেমায়াতুল ইসলাম মাদরাসায়। সেখানে তিনি আড়াই বছর -নাহু-সরফের কিতাবাদি পড়েন। এরপর বোয়ালিয়া ইয়াহইয়াউল উলুম মাদরাসায় ১৯৭০ সালে জামাতে শশুমে  দাখিল সমমানেভর্তি হন। তারপর উপমহাদেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ মারকায় আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ায় জামাতে পাণ্ডুমে ভর্তি হন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জামিয়া সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেলে তিনি আবার বোয়ালিয়া মাদরাসায় চলে যান। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে জামিয়া পটিয়ায় ফিরে আসেন। এখানে তিনি দাওরা হাদীস সমাপ্ত করেন। তাঁর শিক্ষা জীবন যেমন দুঃখ-দারিদ্রে ঠাসা ছিল, তেমনি সুনাম-সাফল্যেও ছিল খাসা। প্রায় পরীক্ষায় তিনি থাকতেন মেধা তালিকায় শীর্ষদের কাতারে। ১৯৭৬ সালে আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস এই মারকাজি (কেন্দ্রীয়) পরীক্ষার দাওরা হাদীস ঈর্ষনীয় নাম্বার পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন তিনি। ১৯৭৭ সালে জামিয়ায় উচ্চতর ইসলামি আইন (তাখামুস ফিল ফিকহ) ও ফুনুনাত (উচ্চতর ইসলামিক ফিলোসফি) নিয়ে পড়াশোনা করেন। এখানেও তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন।
সাধারণ লেখাপড়ার পাশাপাশি তৎকালীন জামিয়ার বিভিন্ন বিভাগ যেমন: মুনাযারা (বিতর্ক প্রতিযোগিতা), মুশাআরা (কাব্য রচনা ও আবৃত্তি) এবং সাহিত্য বিভাগেও তাঁর স্বার্থক পদচারণা ছিল।
অধ্যাপনা
১৯৭৮ সালে মহেশখালী থানার গোরকঘাটা মাদরাসায় শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে তাঁর অধ্যাপনা জীবন শুরু হয়। ছোটবেলা থেকে উস্তাদগণের অত্যন্ত স্নেহের পাত্র ছিলেন তিনি। বড়দের মায়ায় বড় হয়েছেন। সেই মায়ার টানেই ১৯৮০ সালে হাজী ইউনুস রহ. তাঁর মেধা, সরলতা ও অকৃত্রিম আনুগত্যে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে জামিয়া পটিয়ায় নিয়ে আসেন। কিছুদিন পর তাঁর কাঁধে অর্পণ করেন উচ্চতর ইসলামি আইন গবেষণা বিভাগের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব। ৪৩ বছর ধরে বিদগ্ধ এই আলেমে দ্বীন অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টা-সাধনার মাধ্যমে জামিয়ার খেদমত করে যাচ্ছেন। বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালবাসা, ছোটদের প্রতি স্নেহ-মায়া ও অন্যান্য উন্নত চারিত্রিক উৎকর্ষ হলো তাঁর জীবনের বড় গুণ। উদারতা ও আত্মত্মত্যাগের উজ্জ্বল নমুনা তিনি। সময়ের মূল্যায়ন, নিয়ম-কানুন মেনে নিজেকে পরিচালনা, হরদম লেখাপড়ার ব্যস্ততা তাঁর জীবনের ভূষণ। এছাড়াও আকাবিরদের বহু গুণে গুণান্বিত এ জ্ঞানসাধক সত্যিই আকাবিরে উম্মাতের প্রতিবিম্ব। তিনি স্বীয় প্রখর চিন্তাশক্তি, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তা ও অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ইলমে নববীর অপরিমিত খেদমত পেশ করছেন।
আধ্যাত্মিকতা
বলতে গেলে তিনি তো ছিলেন শৈশবকাল থেকে 'খুদে বুযুর্গ। ছোটবেলা থেকে নিজেকে গড়ার কাজ করে। চলেছেন নিরলসভাবে। কৈশোর থেকে তিনি নিজের উস্তাদ ওলীকুল শিরোমণি শাহ আলী আহমদ বোয়ালভী রহ. এর আধ্যাত্মিকতার ছায়া, ছোঁয়া ও পরশে প্রতিপালিত হতে থাকেন। তবে থানভী ধারার আধ্যাত্মিকতার সুমধুর নহরে অবগাহন করার মানসে হাকীমুল উম্মাত আশরাফ আলী থানভী রহ. এর সর্বশেষ জীবিত খলীফা হযরত আবরারুল হক হারদুয়ী রহ. এর হাতে হাত রাখেন এবং তাঁর খেলাফত লাভে ধন্য হন। হযরত বোয়ালভী রহ. হতে ও খেলাফত লাভে মহিমান্বিত হন। কুতবে আলম মুফতি আজিজুল হক রহ. এর সর্বশেষ জীবিত খলীফা আল্লামা ইসহাক (হ্নীলার সদর সাহেব হুজুর) রহ., শায়খুল হাদীস যাকারিয়া রহ. এর বিশিষ্ট খলীফা শায়খ আব্দুল হাফিজ মক্কী রহ., আল্লামা সুলতান যওক নদভী দা.বা. ও বিশ্ববিখ্যাত আল্লাহর ওলী হযরত মাওলানা যুলফিকার আহমদ নকশবন্দী মুজাদ্দেদী দা.বা. থেকেও তিনি খেলাফত লাভ করেন।
লেখালেখি
লেখালেখির যথেষ্ট যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এ মনীষী কেন যেন এ ব্যাপারে উদাসীন। তবে বহুমুখী কর্মতৎপরতার ফাঁকেও তিনি কয়েকটি পুস্তিকা রচনা করেছেন। তন্মধ্যে কয়েকটি হলো: 'শরহুস সুদুর লি যিয়ারাতিল কুবুর' 'খামসুনা হাদীসান' (নির্বাচিত পঞ্চাশ হাদীস), 5 o je जगा गा
ও ‘মুমিনের সফলতা' 'জীবন পথের পাথেয়' নামে তাঁর দুটি বয়ানসংকলনও প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তাঁর কাছে স্বরচিত কয়েকটি কিতাবের পাণ্ডুলিপি জমা আছে।
৩. হযরত মাওলানা আমিনুল হক সাহেব দা.বা. 
জন্ম। ১৯৪১ ইংরেজিতে চট্টগ্রাম আলমদার পাড়া জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা হাজী নাজুমিয়া ছিলেন এলাকার জমিদার ও প্রভাবশালী ব্যক্তি।।
লেখাপড়া
হুজুরের লেখাপড়া শুরু হয় মাওলানা আবদুল মালেক রাজনী ও আবুল কাশেমের হাতে। তাদের হাতেই তিনি কুরআনের নাজেরা সমাপ্ত করেন। অতঃপর জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ায় জামাতে দাহুমে ভর্তি হন। প্রত্যেক জামাতে মেধা তালিকার প্রথম হয়ে ১৩৮২ হিজরিতে দাওরায়ে হাদিস পাশ করেন। সত্যপর উচ্চতর জ্ঞান অর্জনের জন্য পাকিস্তান গমন করেন। আল্লামা ইউসুফ বানুরি রহ. এর নিকট বুখারি শরিফ ও মুফতি ওয়ালি হাসান টুংকি রহঃ এর নিকট তিরমিজি শরিফ পড়েন। হাফেযুল হাদিস আল্লামা আবদুল্লাহ দরখাস্তীর নিকট তারজুমাতুল কুরআন অধ্যয়ন করেন।
অধ্যাপনা
পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তনের পর ১৩৪৮ হিজরিতে জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ায় শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। ইলমের প্রতিটি শাখায় তার দীপ্ত পদচারণা রয়েছে। নাহু, সরফ, বালাগাত, মানতিক, তাফসির ও ফিকাহ ইত্যাদি বিষয়ে তিনি দরস প্রদান করেছেন। বর্তমান তিনি জামিয়ার একজন খ্যাতনামা মুহাদ্দিস হিসেবে আছেন।
আধ্যাত্মিকতা
হযরত আমিনুল হক সাহেব জামাতে উলার বছর জামিয়ার তৎকালীন পরিচালক আধ্যাত্মিক জগতের প্রতিষ্ঠিত পুরুষ হাজি ইউনুস সাহেব রহ. এর নিকট বাইয়াত গ্রহণ করেন। অতপর আল্লামা আবরারুল হক সাহেবের নিকট এবং তাঁর ইন্তেকালের পর হযরত মুফতি আবদুর রহমান দা.বা. এর নিকট বাইয়াত গ্রহণ করেন। 
৪. আল জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া চট্টগ্রাম এর মুহাদ্দিস ও মজলিসে এদারির আহ্বায়ক 
আল্লামা মুফতি আবু তাহের নদভী কাসেমী দা. বা. -এর
সংক্ষিপ্ত জীবনী
জন্ম
এই বিদগ্ধ মনীষী ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার অন্তর্গত উত্তর নিশ্চিন্তাপুর এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম নজীর আহমদ সাহেব। তিনি ছিলেন একজন নিষ্ঠাবান ধার্মিক ব্যক্তিত্ব।
শিক্ষা-দীক্ষা
তিনি পারিবারিকভাবে দ্বীনি পরিবেশে বেড়ে উঠায় তার প্রাথমিক শিক্ষার গৃহ-শিক্ষক ছিলেন মাওলানা ক্বারী হারুন সাহেব। অতঃপর ক্বারী সাহেব স্নেহের ছাত্র আবু তাহেরকে নিজ দায়িত্বে ভর্তি করে দেন ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুরে। সেখানে তিনি এক বছর অধ্যয়ন করে ছুটে যান চন্দ্রঘোনা আল জামিয়া আল কুরআনিয়া ইউনুছিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসায়, সেখানে হাপ্তুম পর্যন্ত মোট চার বছর পড়ার পর পুনরায় পাড়ি জমান জামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুর মাদ্রাসায়। সেখানে তিনি শশুম থেকে চাহারুম পর্যন্ত মোট তিন বছর অধ্যয়ন করেন। অতঃপর ইলমের টানে ছুটে আসেন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ইসলামি শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ায়। ভর্তি হন জামাতে ছুয়ামে। এখানে তিনি ১৪০১ হি. দাওরা ও ১৪০২হি. তে ইফতাসহ মোট চার বছর অধ্যয়ন করেন। অধ্যয়নকালে তিনি অত্যন্ত শ্রম-সা- ধনা ও মুজাহাদার পাশাপাশি উস্তাদ ও মুরব্বিদের সুনজর ও স্নেহ পরশে ধন্য হয়েছেন। তাই অন্যান্য মুরুব্বিদের মধ্যে বিশেষ করে ফকীহুল মিল্লাত তাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। এতটুকুতেই এই মহান জ্ঞানপিপাসু তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারেননি। তাই তিনি তার তালিমি ও তারবিয়াতি মুরব্বি ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শক্রমে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সিদ্ধান্ত নিলেন । অবশেষে ১৪০২ হিজরিতে যাত্রা শুরু করলেন, উদ্দেশ্য পাকিস্তানে ইফতা পড়বেন। পথিমধ্যে যাত্রা বিরতি করলেন উপমহাদেশের দ্বীনি শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র দারুল উলুম দেওবন্দে। বিশেষ কারণে তখন রমজানে বুখারি শরিফের দরস চলছিল। দরস দিচ্ছিলেন শাইখুল হাদীস মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরী রহ.। ইলমের তৃষ্ণার্ত এই তালিবুল ইলম তার দরসে অংশগ্রহণ করে এতই মুগ্ধ ও আকৃষ্ট হন যে ১৪০৪হিলারিতে নারুল উলুম দেওবন্ধে পুনরায় দাওরা পড়েন। অতঃপর আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান আরবি সাহিত্যিক আল্লামা সুলতান যওক নদভী দা.বা. এর পরামর্শক্রমে মুসলিম বিশ্বের মহামনীষী আবুল হাসান আলী নদভী রহ. এর সোহবত ও ননওয়াতে আরবি আদৰ পড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাই তিনি ১৪০৪ হিজরিতে গমন করেন ভারতীয় উপমহাদশের আযাদি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ, সংগ্রামী সাধক সৈয়দ আহমদ বেরলভী রহ. এর জন্ম ও তার আধ্যাত্মিক সাধনা কেন্দ্র খানকায়ে রায় বেরেলভীতে। উদ্দেশ্য শায়খুল আরব ওয়াল আজম আলী নদভী রহ. এর সান্নিধ্য লাভে ধন্য হওয়া। তার লক্ষ্য ছিল নদওয়াতুল ওলামাতে উচ্চতর আরবি সাহিত্য নিয়ে পড়ার, কিন্তু আদব বিভাগে আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় তিনি নিয়মতান্ত্রিক ভর্তি হতে পারছিলেন না। অন্যদিকে মহামনীষী আবুল হাসান আলী নদভী রহ, তার আনুগত্য, তাকওয়া ও মুজাহাদা দেখে শিক্ষা পরিচালকের নিকট তার জন্য সুপারিশ করেন বাঙ্গালী ছাত্রদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম এই সৌভাগ্য ও সুযোগ পেয়েছেন। তিনি ১৪০৪-০৫ হিজরিতে অত্যন্ত সফলতা, সাধনা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আদবে আরবি কোর্স সম্পন্ন করেন।
অধ্যাপনা
দেশ-বিদেশে মহামনীষীদের সান্নিধ্যে দীর্ঘদিন থেকে ইলম অর্জন করার পর ১৪০৬ হিজরি সনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। ফিরে আসার অন্তিম মুহূর্তে আলী নদভী রহ. তাকে সুলতান যওক নদভী দা.বা. এর কাজ কর্মে সহযোগিতা করার পরামর্শ দেন। অতঃপর তার শাইখ ও উস্তাদ ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমান রহ. এর প্রস্তাব, ব্যক্তিগত ইস্তেখারা এবং বিশিষ্ট জনের পরামর্শক্রমে তিনি জামিয়া পটিয়ার খেদমতের জন্য আত্মনিয়োগ করেন। তখন ছিল মুহাররম মাস। খেদমতের ব্যবস্থা হয়েছে ঠিকই কিন্তু রুম ও বেতনের কোন ব্যবস্থা হয়নি। এভাবে চলে গেল দীর্ঘ ৮ মাস । তিনি নিজেও কোনো দিন কোনো দাবি মাদ্রাসা থেকে করেননি। ঠিক আগের মতোই মায়ের টাকা দিয়ে খরচ চালাতেন। দাবী করবেনই বা কেন? তার সবর, তাকওয়া ও তাওয়াক্কুলই ছিল তার আজীবনের ভূষণ ও পাথেয়। পরে তাকে দফতর থেকে একত্র ১০,০০০ টাকা প্রদান করেন। দীর্ঘদিন এতো অব্যবস্থা ছিল তার জন্য পরীক্ষা স্বরূপ। এর পরের বছর মাসিক এক হাজার টাকা করে তার বেতন নির্ধারিত হয়। অদ্যবধি নিভৃতচারী এই সাধক, আধ্যাত্মিকতা, আন্তরিকতা, তাকওয়া ও ইখলাসকে জীবন পথের পাথেয় করে প্রচুর শ্রম ও নিরলস সাধনার মাধ্যমে অত্র জামেয়াতে হাদীস, ফেকাহ ও আরবী সাহিত্যের উচ্চতর কিতাবসমূহ দক্ষতা ও সুনামের সাথে পাঠদান করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি বর্তমান মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক ও দীর্ঘদিন থেকে দারুল ইকামার নাজেম হিসেবে দক্ষতা, সততা ও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে প্রচুর সুনাম কুড়িয়ে যাচ্ছেন। তার দক্ষ হাতের সুস্থ ও সুশৃঙ্খল পরিচালনার ফলে জামিয়ার ছাত্রাবাসে বিরাজমান সুশৃঙ্খল, সুন্নাতি ও জান্নাতি পরিবেশ আজ সারা দেশের অনন্য মডেল রূপে পরিগণিত হয়েছে।
আধ্যাত্মিকতা
আলোকিত এই মাটির মানুষটি ছাত্র জীবন থেকেই সাধনা জগতের সিংহপুরুষদের সাথে সার্বক্ষনিক সম্পর্ক বজায় রাখতেন । প্রথমে তাসাউফের সবক নেন আশরাফ আলী থানভী রহ. এর সর্বশেষ খলিফা আবরারুল হক হারদুয়ি রহ. এর হাতে। তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত সার্বক্ষণিক সম্পর্ক জুড়ে রেখেছিলেন। তাঁর ইন্তেকালের পর মুফতি আব্দুর রহমান রহ. এর হাতে বাইয়াত নেন। বর্তমানে তাঁর বাইয়াতের ওপরই আছেন ।
রচনাবলী
ইলম ও আমলের এই নিরলস সাধক, কলম হাতেও পিছিয়ে নেই। তিনি রচনা করেছেন যুগ সচেতন অনেক গ্রন্থ।
১) দুরুসুল লুগাত আরবী (১ম, ২য়)
২) আমার দেখা লন্ডন (সাড়া জাগানো ভ্রমণ-কাহিনী)
৩) কওমি মাদরাসা কী ও কেন?
৪) হাম কোন হে, হামারে যিম্মাদারী কিয়া হে? ৫) তামরিনুল মিযান ওয়াল মুনশায়িব,
৬) তাযকিরায়ে শাহ আলী আহমদ বোয়ালভী ।
৭) মিম্বারের আহ্বান
৫. একরাম হোসাইন ওয়াদুদী দা বাঃ এর সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত। 
বিদগ্ধ আলোমহীন, ছাত্রনন্দিত শিক্ষক, শ্রুতিমধুর বক্তা, আল্লামা মুফতী একরাম হোসাইন ওয়াদুদী দাবা, ১৯৬৭ ইংরেজীতে চট্টগ্রাম সাতকানিয়া থানার অন্তর্গত তুলাতলী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মাওলানা মুহাম্মদ হোসাইন রহঃ বিনয় ও নম্রতায় ছিলেন অতুলনীয়। তাকওয়া ও খোদাভীতিতেও ছিলেন উচ্চ আসনে সমাসীন। ১৩৯৮ হি. জুমাবার ৪৬ বছর বয়সে মহান প্রভুর ডাকে সাড়া দিয়ে এই নশ্বর পৃথিবীকে বিদায় জানান। হযরতের পিতামহ শায়খ মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ তুলাতলী রহঃ দেশের সেসব মুহাদ্দিসীনে কেরামের মধ্যে অগ্রগণ্য যাদের বদৌলতে আজ বাংলার ঘরে ঘরে ইলমে হাদিসের আলো জ্বল্যমান। তাঁর কাছ থেকে হাদিস অর্জন করে ধন্য হয়েছেন কুতবে আলম শায়খ আল্লামা মুফতী আজিদুল হক রহ। এমন রক্ত থেকেই জন্য নেন বিরল প্রতিভাধর, বিন্ধে আলেমেধীন, আল্লামা মুফতী: একরাম হোসাইন সাহেব দা.বা. ।
শিক্ষাজীবন
তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন মাদ্ররাসায়ে মুখলিসিয়া, পুকুরিয়া এবং মাদরাসায়ে রশিদিয়া বশরতনগরে। অতঃপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার জন্য ১৯৮০ ইং সনে তিনি জামিয়া ইসলামিয়া পরিয়ায় ভর্তি হন। ১৯৮৬ ইং সনে তিনি অত্যন্ত খ্যাতি ও কৃতিত্বের সাথে দাওরায়ে হাদিস পাশ করেন। ঈর্ষণীয় মেধা ও স্মরণশক্তির অধিকারী আল্লামা মুফতী একরাম হোসাইন ওয়াদুদী সাহের প্রতিটি ক্লাসে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন।  জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখার পাণ্ডিত্য ও বিদগ্ধতা লাভ করেন। তাঁর উস্তাদদের মধ্যে আল্লামা আনযার শাহ কাশ্মীরী বহু, আল্লামা আব্দুস সামাদ আমিরাবাদী (খাদেমে খাস আল্লামা আশরাফ আলী রহঃ) আল্লামা ইসহাক কানাই- মাদারী রহঃ, আল্লামা শাহ আইয়ূব রহঃ ও আল্লামা শাহ মুফতি আব্দুল হালীম বোখারী রহ. প্রমুখ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
অধ্যাপনা
প্রখ্যাত এ আলেমেদ্বীন কর্মজীবন শুরু করেন শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে। প্রথমে তিনি মাদরাসায়ে হেমায়েতুল ইসলাম কৈগ্রামে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। অতঃপর ১৪০৭ হি. সনে তিনি চলে যান বগুড়া জামিল মাদরাসায়। তিনি সেখানে পাঁচ বছর ইলমে হাদিস ও আকায়েদের জ্ঞান বিস্তার করেন। অতঃপর ১৯৯৯ হিজরীতে দারুল মাআরিফে মুহাদ্দিস হিসেবে নিযুক্ত হন। সেখানে এক বছর শিক্ষকতা করার পর ১৪১৩ হি সনে স্বীয় জ্ঞানের মাতৃক্রোড় জামিয়া পটিয়ায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এবং এখানে দরসে নিজামীর অনেক দুর্বোধ্য ও জটিল কিতাবসমূহের পাঠদান করছেন। কিতাবের দুর্বোধ্য ও কঠিন বিষয়সমূহকে সহজ ও সংক্ষেপে বুঝানোর বিস্ময়কর দক্ষতা হযরতের অনন্য বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে তাঁর পাঠদানকৃত কিতাবের মধ্যে রয়েছে, সিহাহ সিত্তার প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থ, আবু দাউদ শরীফ ১ম খন্ড  শরহে আকায়েদ, মাইবুযী ইত্যাদি। 
আধ্যাত্মিকতা
তিনি হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহ. এর বিশিষ্ট খলিফা হযরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক রহ. এর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি মারেফাত ও তাসাউফের পথে কঠোর সাধনা করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য যে, হুজুরের দাওয়ায়ে হাদিস অধ্যয়নের বছর খতমে বুখারীর অনুষ্ঠানে আল্লামা শাহ আবরারুল হক রহঃ উপস্থিত ছিলেন। তিনি অনির্দিষ্টভাবে কোনো একজন ছাত্রকে সূরায়ে ফাতিহা তেলাওয়াত করতে বললেন। যেহেতু তিনি তাজবীদ ও মাখরাজের প্রতি অধিক লক্ষ্য রাখতেন। তাই কেউ তেলাওয়াত করার জন্য উঠতে সাহস করল না। তখন হযরত বললেন। আমি ডানদিক থেকে কাউকে তেলাওয়াত করার জন্য আদেশ করবো। এমতাবস্থায় হুজুর সাহস করে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং সূরায়ে ফাতিহা তেলাওয়াত করে শুনালেন। হযরত আবরারুল হক রহ, হুজুরের তেলাওয়াত শুনে অত্যন্ত মুগ্ধ ও খুশি হলেন।
রচনাবলী
পাঠদানের পাশাপাশি লেখালেখির জগতেও রয়েছে হযরতের সরব পদচারণা। তাঁর রচনাবলীর মধ্যে রয়েছে: ১. তুহফাতুল ফাওয়ায়েদ ফি হল্লি শরহিল আকায়েদ (শরহে আকায়েদের ব্যাখ্যগ্রন্থ), ২. আল বয়ান ফি তাফসীরি উম্মিল কুরআন, ৩. আন নুরুন নামী ফি হল্লি শরহিল জামী (শরহে জামী ইসমের ব্যাখ্যাগ্রস্থ). ৪.আল-ইরফান, ৫. তুহফাতুত তাকলিদ ও নি'মাতুল ওয়াদুদ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

রিটেলেড নিউজ

১০৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ : পি কে হালদারসহ ২৩ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দুদকের

১০৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ : পি কে হালদারসহ ২৩ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দুদকের

নিজস্ব প্রতিবেদক : এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হ...বিস্তারিত


যৌথ বাহিনীর অভিযান : বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত

যৌথ বাহিনীর অভিযান : বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : যৌথ অভিযানের কারণে বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (...বিস্তারিত


সার্টিফিকেট বাণিজ্য : তদন্তে বেরিয়ে আসছে অনেক ‘রাঘববোয়াল’র নাম

সার্টিফিকেট বাণিজ্য : তদন্তে বেরিয়ে আসছে অনেক ‘রাঘববোয়াল’র নাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় ৩০ জনের তালিকা ধরে তদন্ত শুরু করেছে ঢাকা মেট্...বিস্তারিত


বজায় থাকবে তাপপ্রবাহ, বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আভাস

বজায় থাকবে তাপপ্রবাহ, বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তবে তাপপ্রবাহও অব্যাহত থাকবে। মঙ্গলবার (২৩ ...বিস্তারিত


ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে হাসান (২৬) নামে এক বাংল...বিস্তারিত


দৈনিক আমাদের চট্টগ্রামের সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী

দৈনিক আমাদের চট্টগ্রামের সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী

চট্টগ্রাম ব্যুরো : : চট্টগ্রামে কাজির দেউড়ীতে দৈনিক আমাদের বাংলা ও আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক আমাদের  চট্টগ্রামের সম্পা...বিস্তারিত



সর্বপঠিত খবর

মেঘনা নামে কুমিল্লা ও পদ্মা নামে ফরিদপুর বিভাগ হবে: প্রধানমন্ত্রী

মেঘনা নামে কুমিল্লা ও পদ্মা নামে ফরিদপুর বিভাগ হবে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :  মেঘনা নদীর নামে কুমিল্লা ও পদ্মা নদীর নামে ফরিদপুর বিভাগ হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হ...বিস্তারিত


রাজবাড়ীর পাংশায় ডি‌বির অ‌ভিযা‌নে অস্ত্র,গু‌লি, চাপা‌তি, রামদা, ‌মোটর সাইকেলসহ ১ আসামী‌ গ্রেফতার

রাজবাড়ীর পাংশায় ডি‌বির অ‌ভিযা‌নে অস্ত্র,গু‌লি, চাপা‌তি, রামদা, ‌মোটর সাইকেলসহ ১ আসামী‌ গ্রেফতার

রাজবাড়ী প্রতিনিধি : :                              রাজবাড়ীর পাংশায় ডি‌বির অ‌ভিযা‌নে ওয়ানশুটারগান,গু‌লি,...বিস্তারিত



সর্বশেষ খবর