শিরোনাম
সাজেদা হক : | ০৫:০১ পিএম, ২০২৪-০৫-০৭
সাধারণ গ্রাহকদের স্বপ্নকে পুঁজি করে গড়ে ওঠা আর্থিক পরিসেবা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর বিরুদ্ধে দফায় দফায় উঠেছে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ। ‘নগদে’র অতীত ইতিহাস, বর্তমান বাস্তবতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সাজেদা হকের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে তৃতীয় পর্ব।
নগদ’র তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ‘থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড’ নামের কোম্পানিটি গঠিত হয়। এ কোম্পানির নিবন্ধন নং সি-১৩৪০২৭। তবে সম্প্রতি থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেডের নাম পরিবর্তন করে ‘নগদ লিমিটেড’ করা হয়েছে। যদিও ‘নগদ’ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ২০২৮ সালে। ২০১৮ থেকে ২০২৪ মাত্র ৬ বছরের এই যাত্রায় ‘নগদ’ যতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে তার চাইতেও বেশি জমেছে অভিযোগ। কখনো ব্যক্তি, কখনো সংগঠন, কখনো সরকারি প্রতিষ্ঠান অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
শুরুই করা যাক, ২০২১ সালের একটি বড় প্রিতিবেদন দিয়ে। এটি নগদে’র বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)- এর একটি প্রতিবেদন। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএসইসি সম্প্রতি নগদের আর্থিক বিবৃতিতে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ করেছে। বিএসইসি কর্তৃক উন্মোচিত ঘাটতি অনুসারে, নগদে’র উদ্ধৃত্ত আয়ে ৩২৪ কোটি টাকা ঘাটতি যেখানে বিবৃতি অনুসারে এর মোট ইকুইটিও ২৫২.২ কোটি টাকা ঘাটতি।ওই বছরের ২৯ আগস্ট, কোম্পানির উদ্বৃত্ত ও মুনাফায় ব্যাপক ঘাটতি থাকা সত্বেও কিছু শর্ত পূরণের চুক্তিতে জিরো কুপন বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে কমিশন থেকে ৫১০ কোটি টাকার অনুমোদন পেয়েছিল নগদ। শর্ত অনুযায়ী, নগদকে বন্ডের ট্রাস্টি ডিড রেজিস্ট্রেশন, ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো থেকে এর সকল পরিচালকদের ছাড়পত্র এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি সনদ জমা দিতে বলা হয়।সেই সময়ই বিএসইসির উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা জানান, এমএফএস প্রদানকারী তার প্রাথমিক নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে উল্লিখিত বন্ড জারির মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের বিষয়ে এনওসি জমা দেয়নি যা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিধি, ২০২১ এর নিয়ম ৯(২) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি বলেন, নগদ আর্থিক হুমকির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে কারণ এর উপার্জন এবং লাভের মাত্রা অত্যন্ত অসন্তোষজনক।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, পরিচালনা কার্যক্রম থেকে কোম্পানির নীট নগদ প্রবাহ ‘পরোক্ষ পদ্ধতি’ দ্বারা গণনা করা হয় এবং সেজন্য কোম্পানির তারল্য সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না।পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট অনুযায়ী, ডিজিটাল অর্থের জন্য নগদের দায় অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে গেছে। গত বছরের জুনে ৪৪৭.১ কোটি টাকা থেকে বেড়ে চলতি বছরের এপ্রিলে ৮৫৮.১ কোটি টাকা হয়ে গেছে। এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ৪১১ কোটি টাকার বর্ধিত দায় নীট পরিচালনার নগদ প্রবাহকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে।বিএসইসির পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়, কোম্পানিটি তার পরিচালনা পর্ষদের সিআইবি ক্লিয়ারেন্স রিপোর্ট জমা দেয়নি, যা ১ জুলাই, ২০২১-এ রদবদল করা হয়েছিল এবং তার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি অ্যান্ড ফার্মস (আরজেএসসি)-কে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল।কোম্পানিটি বাংলাদেশ ডাকঘরের লোগো ব্যবহার করছে কিন্তু কোম্পানির শেয়ারহোল্ডিং অবস্থান অনুযায়ী, কোম্পানি এবং বাংলাদেশ ডাকঘর বা ডাক কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই বলে মনে করছে বিএসইসি। এমনকি পোস্টাল লোগো ব্যবহারের জন্য কোম্পানি ডাক কর্তৃপক্ষকে কোন রয়্যালটি প্রদান করেনি।
সাজেদা হক : : আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে রুপান্তর প্রকল্পে অনিয়মের খবর প্রকাশের পর কৃষি অধিদপ্তরের ...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : নিজস্ব প্রতিবেদক আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে রুপান্তর প্রকল্পে পরিপত্র উপেক্ষা করে এ...বিস্তারিত
সাজেদা হক : : মিরপুর বিআরটিএর ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক মোঃ শহীদুল্লাহ। তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য, কমি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ৮ ই জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বাংলাদেশ সাইকোলজি এসোসিয়েশন (বিপিএ) এর বার্ষিক সম্মেলন ও ...বিস্তারিত
সংবাদদাতা, রাজশাহী : রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চল ও পদ্মার চর থেকে শুরু করে বাসা-বাড়িতেও দেখা মিলছে বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : শিবুকান্তি দাশ,(ঢাকা): দেশ এগিয়ে চলছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন মডেল। কিন্তু দেশের অর্থনীতি নিয়ে নানা প...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited