শিরোনাম
মুহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন কাদের; কক্সবাজার : | ০২:০৫ পিএম, ২০২০-০৮-১৭
মহামারি করোনার কারণে দীর্ঘ ৫ মাস বন্ধ থাকার পর আজ ১৭ আগস্ট সোমবার থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও হোটেল-মোটেলসহ কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো শর্তসাপেক্ষে সীমিত আকারে খুলে দিয়েছে প্রশাসন। এমন সিদ্ধান্তে স্থবির হয়ে থাকা পর্যটন ব্যবসায়িরা পর্যটক বরণে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সংগঠনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজারের পর্যটন স্পট ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো আজ ১৭ আগস্ট খুলে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কঠিন শর্তও রয়েছে। পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান জাহিদ খানের নেতৃত্বে হোটেল-মোটেল ও পর্যটন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই সমন্বয় কমিটি পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় তদারক করবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে উক্ত সমন্বয় কমিটি।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, নির্দিষ্ট কিছু শর্তে সীমিত আকারে সমুদ্র সৈকত ও হোটেল-মোটেলসহ কক্সবাজার পৌর এলাকা কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবে জেলার অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রগুলো পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আপাতত বন্ধ থাকবে। বিনোদন কেন্দ্রগুলো চালু করতে নীতিমালা তৈরি করেছে। এতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে পর্যটন কেন্দ্রগুলো চালু করা যায় সেটির নির্দেশনা রয়েছে। কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দিতে সেক্টর ভিত্তিক এসব নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে গত ১৮ মার্চ থেকে কক্সবাজার করোনাভাইরাস রোধ সংক্রান্ত কমিটির সিদ্ধান্তে সমুদ্র সৈকত ও হোটেল-মোটেলসহ জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। এরপর লকডাউন ও সাধারণ ছুটি ঘোষণার সময়সীমা শেষ হলেও আজ অবধি বন্ধ রয়েছে পর্যটনকেন্দ্রগুলো। যার ফলে কক্সবাজারের পর্যটন এলাকা অনেকটা ভুতড়ে এলাকায় পরিণত হয়। স্থানীয় লোকজনকেও সৈকত এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সর্বত্র ছিল পুলিশের কড়া পাহারা।
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের পরে হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজগুলো এখন পর্যটক বরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। করোনার ঝুকিমুক্ত করে পর্যটকদের বরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যে পর্যটকের আগমনেরও বেশ সাড়া মিলছে। অনেকেই অগ্রীম বুকিং দিচ্ছেন।
জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল বলেন, প্রশাসনের নেওয়া সিদ্ধান্ত যথাযত। পাশাপাশি জীবিকার চেয়ে জীবন আগে এ কথাটিও সকলের সর্বাগ্রে বিবেচনায় আনতে হবে। তাই প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধিসহ যেসব নীতিমালা ও নির্দেশনা ঠিক করেছে তা পরিপূর্ণভাবে প্রতিপালন ও বাস্তবায়ন হলেই কক্সবাজারকে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা যাবে।
হোটেল সী পার্ল-১ এর তত্বাবধায়ক মৌঃ আবদুল গফুর জানিয়েছেন, গত ৪ দিন থেকে বিভিন্ন কক্ষ পরিষ্কার করার কাজ চলছে। আশাকরি ১৭ আগস্টের আগেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। আমরা বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত। ভাড়ায় হোটেল নিয়ে আমরা অত্যন্ত বেকায়দায়। প্রশাসনসহ সকল মহলের উচিত পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িদের সহযোগীতা করা।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : বাস-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় ৩০ জনের তালিকা ধরে তদন্ত শুরু করেছে ঢাকা মেট্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তবে তাপপ্রবাহও অব্যাহত থাকবে। মঙ্গলবার (২৩ ...বিস্তারিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : কাপড়ে পেস্টিং করে কম্বলের ভেতরে মুড়িয়ে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টা রুখে দিয়েছে শাহ আমানত বিমানবন্দরের ...বিস্তারিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে হাসান (২৬) নামে এক বাংল...বিস্তারিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : চট্টগ্রামে কাজির দেউড়ীতে দৈনিক আমাদের বাংলা ও আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক আমাদের চট্টগ্রামের সম্পা...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited