শিরোনাম
পরাগ দেব, চট্টগ্রাম ব্যুরো : | ০৩:৩০ পিএম, ২০২০-০৮-১৭
চট্টগ্রামে টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের আশংকা দেখা দিয়েছে। একারণে ১৭টি পাহাড়ের পাদদেশে অন্তত ৫ হাজার পরিবার ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব পরিবারকে সওে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও ভ’মি ধসের আশংকা করা হয়েছে।
চট্টগ্রামে রবিবার সকাল থেকে থেমে বর্ষণ হচ্ছে। রাতে হয়েছে টানা বৃষ্টি। সাথে ছিল অস্থায়ী দমকা হাওয়া। বৃষ্টিতে নগরের কয়েকটি নিম্না লে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
গতকাল সোমবার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চট্টগ্রামে বৃষ্টি আরও কয়েকদিন টানা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে সাময়িকভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
চট্টগ্রামের কোথাও কোথায় অস্থায়ী দমকা হাওয়ার সঙ্গে মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ, দক্ষিণ পূর্ব দিকে থেকে ঘণ্টায় ১২-১৫ কিলোমিটার বেগের বাতাস ৩০-৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ আমার সংবাদকে জানান, কিছুটা উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নদী বন্দরে ১ নম্বর নৌ সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম অ লে প্রতিবছর পাহাড়ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ২০০৭ সালের ১১ জুন টানা বর্ষণে কয়েক ঘণ্টায় ১২৯ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালের ১২-১৩ জুন রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ১১০ জন, চট্টগ্রামে ২৩ জনসহ ১৫৬ জন মারা যায়।গেল তিন বছর অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গরেজমিনে দেখা যায়, নগরীতে পাহাড়ের পাদদেশে অন্তত ৫ হাজার লোক বসবাস করছে। তারা খুবই ঝুঁকিতে রয়েছে। যে কোন সময় পাহাড় ধসে ব্যাপক প্রাণহানির আশংকা রয়েছে। নগরীর মতিঝর্ণা, বাটালি হিল, একে খান পাহাড়, বায়েজীদ ট্যাংকির পাহাড়, আমিন জুট মিলস এলাকা, রউফাবাদ, খুলশী, পাহাড়তলি, ফয়েজ লেক আকবর শাহ এলাকার ঝিল-১,২,৩ নম্বর এলাকা, জিয়ানগর, মধ্যমনগর, মুজিব নগর, শান্তিনগর এলাকা, কৈবল্যধাম বিশ্বকলোনি এলাকা, ফিরোজ শাহ এলাকা, ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট এলাকা, বায়েজিদ-ফৌজদারহাট সিডিএ লিংক রোড এলাকাসমূহে পাহাড়ের পাদদেশে এসব লোকজন বসবাস করছে।
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কয়েকদিন পর আবারো তারা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান নেয়। ফলে ঝুঁকি থেকে যায়। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রশাসন পাহাড়ের পাদদেশ থেকে সকল পরিবারকে উচ্ছেদেও সিদ্ধান্ত নিলেও করোনার কারণে পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানও থেমে যায়। গত বছরের এপ্রিলে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় পরবর্তী এক মাসের মধ্যে ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে ৮৩৫টি পরিবারকে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়। উচ্ছেদ পরিচালনায় বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে একটি কমিটিও করে দেয়া হয়। তখন কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হলেও তা থেমে যায়। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম জাকারিয়া আমার সংবাদকে জানান, ভারী বর্ষণে ভূমিধসের শঙ্কায় নগরের ১৭টি পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা লোকজনকে সরে যেতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন।
তিনি বলেন, সোমবার বিকেলের মধ্যে পাহাড় থেকে লোকজন স্বেচ্ছায় সরে না গেলে এবং বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে।
শহিদুল করিম শহিদ ,কক্সবাজার : : কক্সবাজার জেলার নবম থানা হিসাবে ‘ঈদগাঁও থানা’ উদ্বোধন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদু...বিস্তারিত
সংবাদদাতা, সাতক্ষীরা : : সাতক্ষীরার আশাশুনিতে সহ¯্রাধিক হতদরিদ্র দুঃস্থ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরন করা হয়েছে। শুক...বিস্তারিত
সংবাদদাতা, পঞ্চগড় : : পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নে ভাতিজির বিয়েতে সাউন্ডবক্স ঠিক করতে গিয়ে বিদ্যু...বিস্তারিত
বিহারী চাকমা, রাঙ্গামাটি : : বরকল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২০২১ সালের জানয়ারি মাসের আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধব...বিস্তারিত
সংবাদদাতা, পঞ্চগড় : : পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।...বিস্তারিত
এস এম মাসুদ রানা, সীতাকুণ্ড : : গত কয়েকদিন উপর্যুপরি ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত আতঙ্কের মধ্যে এবার এক শিক্ষকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited