শিরোনাম
আমাদের বাংলা ডেস্ক : | ০৮:৪৭ পিএম, ২০২১-০৫-০৩
স্বজাতীয় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ আর অস্ত্রধারীদের অত্যাচারে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা জনগণ আজ দিশেহারা। তারা এখন স্বজাতিয় দুর্বৃত্ত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর হাতে জিম্মি। পাহাডী-বাঙ্গালী বিরোধকে কেন্দ্র করে সত্তর দশকে সন্তু লারমার নেতৃত্বে যে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু হয়েছিলো দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শি হস্তক্ষেপে উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তি সম্পাদিত হয়েছে অনেকদিন আগে। এই চুক্তির ফলে পাহাড়ি-বাঙালি বিরোধ শর্ত সাপেক্ষে মিমাংসা হলেও বিদ্রোহীদের কোন কোন নেতা সন্তু লার্মার সাথে দ্বিমত পোষন করে। পরবর্তিতে বিদ্রোহীদের এই অন্তকলহ মাথাছাডা দিয়ে উঠে। এর জের ধরে প্রথমে লার্মা গ্রুপ ভেঙ্গে দুইভাগ হয়ে যায়।শুরু হয় নিজেদের মধ্যে আত্মঘাতি সংঘাত। যা এখন চার গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস সাধনে তৎপর। অবস্থা দৃস্টে মনে হয় চাকমারাই চাকমাদের চরম শত্রু। জানা গেছে, অস্ত্রধারী এই সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো আলাদা আলাদাভাবে পাহাড়ের প্রত্যন্ত জনপদে অস্ত্রের মুখে চাকমা ভিন্নমতাবলম্বি ও আর্থিকভাবে একটু সচ্ছল চাকমাদের ধরে নিয়ে তাদের নিজস্ব ক্যাম্পে আটক করে নানাভাবে নির্যাতন করছে।আদালত বসিয়ে জেল জরিমানাসহ নানা অত্যাচার জুলুম করছে । কাউকে কাউকে হত্যা করার মতো অপরাধও সংঘটিত করছে বলে শোনা যায়। তাছাডা গ্রুপিংয়ের গোলাগুলি ও হানাহানি নিত্য ঘটনা। এদের জুলুমের বেশী শিকার হচ্ছে যুবক যুবতিরা। বিশেষ করে স্কুল কলেজগামি ছেলে মেয়ে,যাদের সাথে বাঙ্গালি ছেলে মেয়েদের মেলামেশার সুযোগ আছে। এছাড়া কারবারী হেডম্যানরাও এদের জুলুমের শিকারে পিস্ট হচ্ছে। গভীর বনান্চলসহ সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় তাদের সামাজিক হেডম্যান মুরব্বি ব্যবস্থাও ভেঙ্গে পড়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছু চাকমাদের অনেকে বলেছেন।প্রত্যন্ত এলাকার সরকারী প্রাইমারি স্কুলগুলোকে নাকি তারা তাদের এই আত্মঘাতি সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ শোনা যায়।
জানা গেছে,দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় শান্তি বাহিনীর এইসব আত্মঘাতি গ্রুপ তৎপরতায় নিরীহ চাকমা জনগোস্ঠী এখন অসহায়। এদের জুলুম অত্যাচারের বিরুদ্ধে কোন শব্দ করার সাহসও নাকি কারো নেই।ইউটিউবে এদের নারী নির্যাতনের কিছু সন্ত্রাসী ঘটনা প্রকাশ পেলেও তা নিতান্তই নগন্য ।এসব এলাকায় রাস্ট্রীয় প্রশাসনের যথাযথ তদারকি করাও দুরূহ। তবুও রাস্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব সরকারের এটা স্মরণ রাখতে হবে। তাই সচেতন মহল মনে করে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারী প্রশাসনের আরো তৎপর হওয়া জরুরী। শান্তি চুক্তির ন্যায় প্রয়োজনে রাজনৈতিক উদ্যোগও গ্রহন করা জরুরী।
Aa
নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারী চাকরীতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে (২০১২ সাল থেকে) সরকারের দৃষ্ট...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডি নির্বাচনে দাতা সদস্য প্রতিনিধি পদপ্রার্থী বী...বিস্তারিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : নগরের সাগরিকা পশুর হাটের পশ্চিম পাশে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) এক একর জায়গায় প্রায় ১০০ কোট...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : পি সি দাশ : সিলেট শহরে মাত্র ১৫ মিনিটের কালবৈশাখি ঝড় সহ শিলাবৃষ্টি ব্যাপক তান্ডবে আঁতক ছড়িয়ে পরে সি...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা : : উখিয়া প্রতিনিধি : উখিয়ায় পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটি চাপায় মোহাম্মদ আলম (২৮) নামক এক রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত ...বিস্তারিত
এস এম নকিব নাছরুল্লাহ্, পিরোজপুর : : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো: তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited