শিরোনাম
চট্টগ্রাম ব্যুরো : | ০৫:৫৭ পিএম, ২০২০-০৮-২৫
গুলনাহার বেগমের মেয়ে ময়ুরী সকালে গার্মেন্টসে গিয়েছিলেন। সকালে মা-ভাইকে রেখে গিয়েছিলেন বাসায়। রাত ৮টার দিকে গার্মেন্টস থেকে ফিরে মা-ভাইয়ের কোনো সাড়া শব্দ পাচ্ছিলেন না ময়ুরী। পরে মাকে বাথরুমে ও ভাইকে বাথরুমের বাইরে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। ময়ুরীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। পরে তারা পুলিশকে খবর দেন।
সোমবার (২৪ আগস্ট) রাতে নগরের চান্দগাঁও থানাধীন পুরাতন চান্দগাঁও রমজান আলী সেরেস্তাদারের বাড়ি এলাকার একটি বাসা থেকে মা ও ছেলের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের শিকার দুইজন হলেন- গুলনাহার বেগম (৩৩) ও তার ছেলে রিফাত (৯)। গুলনাহার বেগম তার মেয়ে ময়ুরী ও রিফাতকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। গুলনাহার বেগমের স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছেন। তিনি অপর স্ত্রীসহ নোয়াখালীতে বসবাস করেন।
গুলনাহার বেগম ও রিফাত হত্যাকাণ্ডের পেছনে ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে সন্দেহ করছে ময়ুরী। ফারুক গুলনাহার বেগমের ‘পাতানো ভাই’ বলে জানিয়েছে ময়ুরী।
অভিযুক্ত ফারুক বহদ্দারহাট খাজা রোডের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। ফারুক বহদ্দারহাটে একটি দোকান পরিচালনা করতেন।
হত্যাকাণ্ডের শিকার গুলনাহার বেগমের মেয়ে ময়ুরী বলেন, আমার মাকে বোন ডেকেছে ফারুক। ফারুক আমাদের বাসায় আসা যাওয়া করতো। পাঁচ বছর ধরে ফারুকের সঙ্গে আমাদের পরিচয়। কিছুদিন আগে ফারুকের সঙ্গে আমার মায়ের ঝগড়া হয়। তারপর থেকে আমার মায়ের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল ফারুক। ফারুকই আমার মা ও ভাইকে খুন করেছে।
ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ফারুক। তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। ফারুকের বিষয়টি মাথায় রেখে তদন্তে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রাপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) এসএম মোস্তাক আহমেদ খান।
এসএম মোস্তাক আহমেদ খান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়ই আমরা তদন্ত করছি। ভিকটিমের মেয়ের অভিযোগ মাথায় রেখে কাজ করছি আমরা।
ঘটনাস্থলে দেখা যায়, গুলনাহার বেগমের মরদেহ বাসার বাথরুমের ভেতরে পড়ে আছে এবং ছেলে রিফাতের মরদেহ বাথরুমের বাইরে পড়ে আছে। তাদের দুইজনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। গুলনাহার বেগম ও রিফাতের গলাকাটা ছিল।
গুলনাহার বেগমের মেয়ে ময়ুরী বলেন, আগে আমরা বাস টার্মিনাল এলাকায় ভাড়া থাকতাম। সে বাসায়ও ফারুক আসা যাওয়া করতো। নতুন বাসায় এসেছি সাত মাস হলো। এখানেও নিয়মিত আসা যাওয়া করতো ফারুক। ফারুক বিভিন্ন সময় আমাদের হত্যার হুমকি দিত।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) আশিকুর রহমান বলেন, ফারুক নামে একজনের বিষয়ে আমাদের তথ্য দিয়েছে নিহতের মেয়ে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : সেনবাগ সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সেনবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। &...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং মালিক, শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের বার্ষিক সাধার...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : # দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও জনবল সংকটে বকেয়া থাকছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব # রিটার্ন না দেওয়ার জন্য অনেকে ব্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবিসহ দলে স্বেচ্ছাচারিতার অফিযোগে দলটির চেয়ারম্যান জি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিরোধী দলে ছিলেন এবং বিরোধী দলেই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর সদর-৩ আস...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ম...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited