শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৩:১২ পিএম, ২০২৪-০১-২৫
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের খুনিকে এখনও শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই মধ্যে র্যাব এবং পুলিশ এ বিষয়ে ভিন্ন-ভিন্ন তথ্য দিয়েছে। তবে প্রকৃতপক্ষে এই খুনের পেছনে কারা জড়িত; এমন কোনও তথ্য এখন পর্যন্ত উদঘাটন হয়নি। এরই মধ্যে ফারদিন হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেছে। তবে এখনও কোনও ক্লু বের করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থাগুলো।
র্যাবের সন্দেহে এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ‘রায়হান গ্যাং’ সম্পৃক্ত কথা উঠে আসলেও বিষয়ে এখন আরও কোনও অগ্রগতি নেই। আর ডিবি বলছে, মাদক সংশ্লিষ্টতায় খুন হয়ে থাকতে পারেন ফারদিন। তবে চনপাড়া বস্তিতে নয়, এই তরুণকে ঢাকার অন্য কোথাও খুন করে লাশ শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। এমন কিছু আলোচনার মধ্যেই আটকে আছে তদন্ত।
আগামী ২৬ জানুয়ারি সিআইডি পুলিশকে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ নির্ধারণ করেছে মহামান্য আদালত। বর্তমানে এটির তদন্তের দায়িত্ব আছেন ইন্সপেক্টর বেলায়েত হোসেন ।
ফারদিন নূর হত্যার রহস্য উন্মোচনে ও সুষ্ঠু তদন্তে যে দুটি বিষয় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ তা হলো,
১. ছেলেটি নিখোঁজ হওয়ার রাতে 'অস্বাভাবিক মুভমেনট' (রাত ১০ টা থেকে আড়াইটা অর্থাৎ রামপুরা টিভি ভবন এলাকা থেকে যাত্রাবাড়ি পর্যন্ত) এই সাড়ে চার ঘন্টার শহরের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে নিয়ে আসা;
এই উদ্দেশ্যে যাতে প্রমাণিত হতে পারে, যাত্রাবাড়ি পর্যন্ত ছেলেটি মুক্ত ছিল না এবং সে কারো দ্বারা অপহরণের শিকার হয়েছিল কিনা! মোবাইল ডিভাইস নির্দেশিত 'অস্বাভাবিক মুভমেনট'-এর রহস্য উদঘাটন তাই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল! কেননা, সংগত কারনেই ফারদিনের মতো একটি মেধাবী ছেলের পরীক্ষার আগের রাতে এরূপ অস্বাভাবিক মুভমেনটের কোনো কারণ থাকতে পারে না এবং এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। ছেলেটি অপহরণের শিকার হয়েছিল, এটি আড়াল করতেই তৎক্ষণাৎ কিংবা এযাবত "নিখোঁজের রাতে ফারদিনের 'অস্বাভাবিক মুভমেনট"-এর দীর্ঘ সাড়ে ৪ ঘন্টার কোনো সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আনেনি ডিবি, এলিট ফোর্স, পিআইবি, সিআইডি ও অন্য কোনো সংস্থা; যারা সবাই তৎকালীন এই চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য উন্মোচনে "তথাকথিত তৎপরতা" দেখিয়েছে!
প্রশ্ন হলো, এটি কীভাবে সম্ভব যে ফারদিন বা যে কেউ সাড়ে চার ঘন্টা নিজস্ব কোনো বাহন ছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে দ্রুততম গতিতে ঘুরে বেরিয়েছে অথচ হাজারো সিসিটিভির কোনো একটিতেও 'এক সেকেন্ড'-এর ফুটেজও পাওয়া যাবে না! ডিজিটাল বাংলাদেশে এখন দেয়ালের শুধু কান নয়, চোখও আছে। অপরাধ ও রহস্যময়তা ভাঙতে শুধু মোবাইল ডিভাইজ নয়, সিসিটিভি ফুটেজই সর্বাধিক বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের বাহক ও সাক্ষীর কাজ করে থাকে।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
ফারদিন নিখোঁজের রাতে যাত্রাবাড়ীতে একটি লেগুনায় উঠতে দেখা গেছে (কয়েক সেকেন্ডের সিসিটিভি ফুটেজের তথ্য)।
কিন্তু উক্ত লেগুনায় আগে থেকে কারা উঠেছিল, সেটা সহজেই উদঘাটন করা খুবই সহজ ছিল, উক্ত স্থানের উক্ত সিসিটিভি'র কয়েক মিনিট আগেকার ফুটেজ সামনে নিয়ে আসার মধ্য থেকে!
জীবিত ফারদিনের এটিই ছিল একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য ফুটেজ! মাত্র কয়েক সেকেন্ডের সিসিটিভি ফুটেজ কেমন করে এলো, কোন্ সংস্থার মাধ্যমে এবং কয়েক মিনিট আগেকার কিংবা পরের ফুটেজ না পাওয়ার কী কোনো বিশ্বাসযোগ্য, আদালতগ্রাহ্য কারণ থাকতে পারে ?
নিজস্ব প্রতিবেদক : শনিবার দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। একই সঙ্গে দুই বিভাগ ছাড়া দেশের আর কোথাও বৃষ্টি হওয়ার সম...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বায়ুদূষণ রোধ ও তীব্র তাপদাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে নগরীতে স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলছে সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে বিদ্যালয় প...বিস্তারিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলায় নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার হোমনা থানা এলাকার বাঘা শরীফ বলী। বৃহ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা অবাধে প্রবেশ করে থাকেন। তবে গত এক মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকে প...বিস্তারিত
নোয়াখালী প্রতিনিধি : : নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার পূর্ব পাশের বঙ্গোপসাগরে এমভি মৌ-মনি নামে একটি কার্গো জাহাজডুবির ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited