শিরোনাম
চৌধুরী মনি :: | ০৮:১০ পিএম, ২০২১-১০-০৯
সিএমপি ট্রাফিক বিভাগের কতিপয় দুর্নীতিবাজ টিআই, ট্রাফিক সার্জেন্টদের চাঁদাবাজিতে নগরীর রাস্তায় ফিরছেনা শৃংখলা। কেইস সিলিফের নামে ভূয়া কাগজে নির্দিষ্ট হারে মাসোহারায় চলছে ডকুমেন্টবিহীন অসংখ্য টিকটিকি(সবুজ টেম্পু) গাড়ী। একই কায়দায় নগরীর রাস্তায় চলাচল করছে অসংখ্য নিলামে নেওয়া সিএনজি টেক্সী। সদরঘাট ট্রাফিক অফিসের টিআই প্রশাসন মহিউদ্দীনের একক আধিপত্যে ট্রাফিক বিভাগের অনিয়ম দুর্নীতি সীমা ছাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীর সড়কগুলোর ট্রাফিক সিগন্যাল গুলো ট্রাফিক সিগন্যাল বাতির আওতায় আনার জন্য বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আর বেশীদূর এগুতে পারেনি অজ্ঞাত কারণে। সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ও চসিকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় সিগন্যাল বাতির আওতায় আনার বিষয়টি ঝুলে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক বিশ^স্ত সূত্র জানিয়েছেন। আঁশির দশকেও চট্টগ্রাম শহরের যানবাহন চলাচলে সিগন্যাল বাতিতে নিয়ন্ত্রণ হতো এমন মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে। ট্রাফিক বিভাগের চাঁদাবাজিকে স্থায়ী করতে সিগন্যাল বাতির আওতায় ট্রাফিক সিগন্যাল চালানোর বিষয়টি কার্যকর হচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। সিগন্যাল বাতির আওতায় না আসায় যানবাহনের চাপে নগরীর প্রতিটি ট্রাফিক পয়েন্টে অহেতুক যানজট লেগে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা। সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের দৈনিক আয়ের একটি বড় টার্গেট রয়েছে। এই বিশাল আয়ের ভাগভাটোয়ারা হয় প্রতি মাসের শেষে। সিএমপি কমিশনার পর্যন্ত এই আয়ের ভাগ পৌঁছে দেওয়ার রীতি চলমান থাকায় ট্রাফিক বিভাগের টিআই, ট্রাফিক সার্জেন্ট ও ট্রাফিক পুলিশ সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মুর্তির মতো দাঁড়িয়ে থেকে মাসিক আয়ের টার্গেটকে পরিপূর্ণ করে। এছাড়া টিআই, সার্জেন্ট ও ট্রাফিক পুলিশরা অতিরিক্ত আয়ের জন্য নানা ধরনের অপকৌশল হাতে নিয়েছে। এই অপকৌশলের সব আয় নিজেদের পকেটে ঢুকানোর সুযোগ থাকায় রীতিমতো রাস্তায় অস্থির থাকেন দুর্নীতিবাজ, লোভী সার্জেন্ট ও ট্রাফিক সদস্যরা। রাস্তায় চলাচলরত অবৈধ যানবাহন চালককে ভূয়া কেইস সিলিফ সরবরাহ করে মাসোহারা আদায় করছে সিএমপির প্রভাবশালী টিআই ও ট্রাফিক সার্জেন্টরা। সূত্র জানিয়েছেন, সিএমপির ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত বেশীর ভাগ টিআই ও সার্জেন্টরা ঘুরে ফিরে সিএমপিতে থাকেন। এদের মধ্যে টিআই মহিউদ্দীনসহ বেশ কয়ে কজন টিআই ও সার্জেন্ট শীর্ষে রয়েছেন। এরা মাঝে মধ্যে রুটিন বদলি হলেও মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই আবারো সিএপির ট্রাফিক বিভাগে যোগদান করেন। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বদলি ঠেকানোর জন্য পৌঁছে দেওয়া হয় মোটা অঙ্কের উৎকোচ। রাস্তায় নেমে যানবাহনের শৃংখলা না ফিরিয়ে কোমর বেঁধে নামেন কিভাবে সহজে যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করা যায় সেই কাজে। ফলে যতই দিন গড়াচ্ছে, ততই বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ট্রাফিক ব্যবস্থায় চলছে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। চমর ভোগান্তিতে দিনাতিপাত করছেন নগরবাসি।
সিএমপির ট্রাফিক বিভাগে কেইস সিলিফের নামে রাস্তায় অবৈধ যানবাহন চালানোর মহোৎসব চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সিএমপির ট্রাফিক বিভাগসহ বিভিন্ন থানা পুলিশের হাতে আটক অবৈধ সিএনজি টেক্সী কোর্টের মাধ্যমে নিলামে তুলে এসব সিএনজি টেক্সী কৌশলে নিলাম থেকে কিনে নিচ্ছেন ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট, টিআই ও তাদের আত্মীয় - স্বজনরা। কম দামে নিলাম থেকে কেনা এসব সিএনজি টেক্সী বিআরটিএ থেকে নিবন্ধন না করেই কতিপয় দুর্নীতিবাজ টিআই ও সার্জেন্ট ভূয়া কেইস সিলিফ দিয়ে রাস্তায় চালানোর সুযোগ করে দিয়ে যাচ্ছেন। নিলাম থেকে কেনা প্রায় দুইশত সিএনজি টেক্সী প্রতিদিন নগরীর এপ্রান্ত থেকে ওইপ্রান্তে বীরদর্পে চলাচল করছে ভূয়া কেইস সিলিফ দিয়ে। কতিপয় টিআই ও সার্জেন্টরা নিজ উদ্যোগে প্রেস থেকে ভূয়া কেইস সিলিফ ছাপিয়ে সিএনজি টেক্সীসহ বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন চালকের কাছে সরবরাহ করে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট হারে মাসোহারা আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একই নিয়মে নগরীর বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে ডকুমেন্টবিহীন অবৈধ টিকটিকি(সবুজ টেম্পু)। এসব টেম্পুর চালক ও মালিকরা প্রতি মাসে ৩০০০ থেকে ৪০০০ টাকা পরিশোধ করে টিআই অথবা সার্জেন্ট থেকে কেইস সিলিফ কিনে নিয়ে ওইসব সার্জেন্ট ও টিআইয়ের নামে বীরদর্পে রাস্তায় চলাচল করছে। কোন কারণে কোন অবৈধ সিএনজি টেক্সী ও টিকটিকি কেইস সিলিফ ছাড়া রাস্তায় নামলে, তা টার্গেট করে আটক করে এসব দুর্নীতিবাজ টিআই ও সার্জেন্টরা। আটকের পর নির্দিষ্ট ট্রাফিক অফিসে নিয়ে গিয়ে নানা ধরনের অজুহাতে গাড়ীর মালিক থেকে আদায় করা হয় মোটা অঙ্কের টাকা। টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে গাড়ীর বিরুদ্ধে রুজু করা হয় মামলা। মামলার নামে টাকা আদায় করার জন্য সিএমপির ট্রাফিক বিভাগে আলাদা করে ছাপানো হয়েছে রেভিনিউ স্ট্যাম্প। সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে লোকজনের অনেক ধরনের অভিয্গো রয়েছে। সড়কের শৃংখলা ফিরিয়ে আনার জন্য ট্রাফিক পুলিশকে আরো বেশী আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। কেইস সিলিফ নিয়ে রাস্তায় অবৈধ গাড়ী চলাচল করলে, তা উর্ধ্বতনদের নজরে আসলে অবশ্যই যথাযত এ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে। অবৈধ যানবাহন যাতে রাস্তায় চলাচল করতে না পারে, তার জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ কঠোর ভাবে নজরদারি করছেন। এই ব্যাপারে ট্রাফিকের কোন সদস্য অনৈতিক সুযোগ নেওয়ার অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : সেনবাগ সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সেনবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। &...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং মালিক, শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের বার্ষিক সাধার...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : # দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও জনবল সংকটে বকেয়া থাকছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব # রিটার্ন না দেওয়ার জন্য অনেকে ব্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবিসহ দলে স্বেচ্ছাচারিতার অফিযোগে দলটির চেয়ারম্যান জি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিরোধী দলে ছিলেন এবং বিরোধী দলেই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর সদর-৩ আস...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ম...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited