শিরোনাম
মো. আনিসুজ্জামান, খুলনা : | ০৫:০৯ পিএম, ২০২১-০৫-০৮
খুলনাঞ্চলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুদের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ মানুষই বেশি। সবচেয়ে কম মৃত্যু ৪০ বছরের নিচে ও ৮০ বছরের উপরের বয়সী মানুষের। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু বাংলাদেশে ৮০ বছরের উপরের মানুষের সংখ্যা কম এবং ৪০ বছরের নিচের মানুষের মধ্যে জীবনীশক্তি বেশি সে কারণে তাদের মৃত্যুর হারও কম। আবার পঞ্চাশোর্ধ মানুষের মধ্যে ডায়াবেটিস, হার্ট, প্রেসার, শ^াসকষ্টসহ অন্যান্য রোগ বেশি থাকায় ওই বয়সীরাই বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে বিগত চার মাস এক সপ্তাহে মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য মিলেছে।
ডায়াবেটিস হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ভবনে স্থাপনের পর এ বছরের পয়লা জানুয়ারি থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সর্বমোট ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ হাসপাতালে এ বছরের প্রথম মৃত্যু হয় ৩ জানুয়ারি। ফাতেমা নামের ওই নারী খুলনার লবণচরা এলাকার বাসিন্দা এবং তার বয়স ৫০ বছর। গত বছর ২৮ ডিসেম্বর তিনি এ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ৩ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া শুক্রবার এ হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন, নড়াইলের লোহাগড়ার উজ্জল শেখ (৪০) এবং খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন সিদ্দিকীয়া মহল্লার শফিকুল ইসলাম(৬০)।
শুক্রবার পর্যন্ত এ হাসপাতালে মৃত্যুবরণকারী ৮৬ জনের মধ্যে ৪০ বছরের নিচের এবং ৮০ বছরের উপরের সংখ্যা পাঁচজন করে। অর্থাৎ মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৪০ বছরের নিচে ও ৮০ বছরের উপরের শতকরা হার পাঁচ দশমিক ৮১ শতাংশ করে। বাকী ৭৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে এ বয়সীদের হার ৮৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আবার মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১৩ দশমিক শূণ্য নয় শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ২৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৩৫ দশমিক ৭১শতাংশ এবং ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ রয়েছেন। এমন হিসাবেও ৫১ থেকে ৭০ বছর বয়সী মানুষ সবচেয়ে বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন বলে দেখা যায়। অর্থাৎ এর শতকরা হার ৫৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আওতায় পরিচালিত করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে যেমন পঞ্চাশোর্ধ মানুষের সংখ্যা বেশি ঠিক এমন চিত্র গোটা বাংলাদেশেরও। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য মতেও দেশে করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ মানুষই ৮০ শতাংশের উপরে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে পঞ্চাশ বছরের নিচের বয়সীদের বেশিরভাগই সুস্থ্য হচ্ছেন।
এর কারণ হিসেবে তাদের জীবনীশক্তি বেশি বলে উল্লেখ করেছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ^াস। তিনি বলেন, পঞ্চাশোর্ধ মানুষের মৃত্যুর অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান দু’টি কারণ হচ্ছে তাদের ডায়াবেটিস, হার্ট, প্রেসার, শ^াসকষ্টসহ অন্যান্য রোগী যেমন বেশি তেমনি তাদের জীবনীশক্তিও কম। তার মতে বয়স্করাই বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তবে ৮০ বছরের উপরের বয়সী মানুষের কম মৃত্যুর কারণ হচ্ছে দেশে ওই বয়সের মানুষের সংখ্যা যেমন কম তেমনি আক্রান্তও হচ্ছেন কম।
এজন্য অন্যান্যদের চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি অন্যান্য রোগগুলো যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সে চেষ্টাও করতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, অনেক সময় অন্যান্য রোগের কারণে ফুসফুস আক্রান্ত হয়। যেটি সাধারণ লক্ষণে ধরা পড়ে না। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর যখন সিটি স্ক্যান করা হয় তখনই ফুসফুসে আক্রান্তের বিষয়টি ধরা পড়ে। এমন রোগীরা সুস্থ্য হয়েছেন খুব কম।
এদিকে, চলতি বছরের বিগত চার মাস সাত দিনে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণকারী ৮৬ জনের মধ্য খুলনার ৪১জন, যশোরের ১৫জন, বাগেরহাটের ১৪জন, পিরোজপুরের চারজন, নড়াইলের চারজন, গোপালগঞ্জের দু’জন, সাতক্ষীরার একজন এবং ঝিনাইদহের একজন রয়েছেন। এছাড়া মৃত্যুবরণকারী ৮৬ জনের মধ্যে পুরুষ ৬২জন এবং নারীর সংখ্যা ২৪জন।
অপরদিকে ভারত থেকে বেনাপোল হয়ে আসা ব্যক্তিদের খুলনার ১১টি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত পর্যন্ত খুলনায় ভারতফেরত ৪৪৫ জনের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। তাদের দেখভালে ও চিকিৎসাসেবায় কাজ করছে সিভিল সার্জনের তিনটি মেডিকেল টিম।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইউসুপ আলী বলেন, ১ মে থেকে ভারত থেকে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৪৪৫ জনকে ১১টি প্রতিষ্ঠানে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। খুলনার বিভিন্ন হোটেল, সরকারি-বেসরকারি ১১ প্রতিষ্ঠানকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার বানানো হয়েছে। সেখানে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিটি সেন্টারের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটও নিযুক্ত করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিনে সবাইকে নিজ খরচে খাবার গ্রহণ করতে হচ্ছে। সেন্টার থেকেই তাদের খাবারের জোগান দেওয়া হচ্ছে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, ভারতফেরত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। আমরা তাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে কাজ করছি। তাদের চিকিৎসাসেবায় আমাদের তিনটি টিম কাজ করছে। তারা প্রতিদিন প্রতিটি সেন্টারে গিয়ে চিকিৎসাসেবায় কাজ করছে। নিয়মিত তাদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করবে তিনটি মেডিকেল টিম।
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : সেনবাগ সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সেনবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। &...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং মালিক, শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের বার্ষিক সাধার...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : # দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও জনবল সংকটে বকেয়া থাকছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব # রিটার্ন না দেওয়ার জন্য অনেকে ব্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবিসহ দলে স্বেচ্ছাচারিতার অফিযোগে দলটির চেয়ারম্যান জি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিরোধী দলে ছিলেন এবং বিরোধী দলেই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর সদর-৩ আস...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ম...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited