শিরোনাম
চট্টগ্রাম ব্যুরো : | ১০:৩৭ পিএম, ২০২২-১০-১২
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা আমাদের গণতন্ত্র ফিরে পেতে চাই। বাক স্বাধীনতাসহ আমাদের সব অধিকার ফিরে পেতে চাই। তাই এ লড়াই অনেক বড় লড়াই, শক্ত লড়াই। এ লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে। আমরা হয় জিতবো, না হয় মরে যাব। তাই আমরা মাথা উচু করে দাঁড়াতে চাই।’ বুধবার চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, পুলিশের গুলিতে পাঁচ নেতাকর্মী নিহত ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির ডাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির এই সমাবেশ আর সমেবেশ নেই, তা এখন মহাসমাবেশে পরিণত হয়েছে। আজকে আমরা এমন একটা জায়গা থেকে কথা বলছি যার অদূরে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র। সেখান থেকে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। আমি চট্টগ্রামের মানুষকে বলব, এই সমাবেশকে আপনারা সফল করেছেন।’ তিনি বলেন, এ সরকার অনির্বাচিত সরকার। এদেশের মানুষ কিন্তু তাদের মেনে নেয়নি। এ বাংলাদেশকে তারা শ্মশান করে দিয়েছে। এই শেখ হাসিনা সব লুট করে বিদেশে পাচার করছে। এদিকে জনগণ না খেয়ে মরছে। প্রতিটা তরকারির দাম তিন থেকে পাঁচ গুণ বেড়েছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির দাম বাড়িয়েছে। শুনছি, বিদ্যুতের দাম আবার বাড়াবে। এরা লুটপাত করে কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি বানায়। আর জনগণ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। দুমুঠো খাবার পায় না মানুষ। মানুষের নিরাপত্তা নেই, দিনদুপুরে ডাকাতি, ছিনতাই হয়। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আজ জাতিসংঘ পরিষ্কারভাবে বলেছে, এখানে গুম হয়। ৭৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশে মানবাধিকার নাই। এখানে হত্যা হয়, গুম হয়। আমাদের সব নেতার উপর মিথ্যা মামলা দিয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের আসতে পদে পদে বাধা দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ জনসভায় আসার আগে আপনাদের গাড়ি আটকে দিয়েছে। কিন্তু আপনারা এখানে এসেছেন সব বাধা পেরিয়ে। ঠিক একইভাবে সব বাধা ডিঙিয়ে আমরা শেখ হাসিনাকে গদি থেকে সরিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। নিরপেক্ষ সরকার, তত্তাবধায়ক সরকার ছাড়া আমরা কোন নির্বাচন মানি না। মানব না।’ খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের নেত্রী আজ বন্দি। তিনি ঠিকমত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। তারা আমাদের ভয় দেখান আমাদের নেত্রীকে আবার জেলে পাঠাবেন। আরে... খালেদা জিয়া জেলকে ভয় পান না। আসলাম চৌধুরী ছয় বছর ধরে জেলে আছেন। এরা বিচারবিভাগ, প্রশাসন, পুলিশ, র?্যাবকে দলীয়করণ করেছেন। আজ সারাদেশের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ আর ছাত্রলীগের কর্মীরা জনগণের পকেট কেটে বিদেশে পাচারে সহযোগিতা করছে।’ তারা বলছে, দেশে দুর্ভিক্ষ আসছে। তেল কম খান, বিদ্যুৎ কম জ্বালান। আর আমরা বলি, তাহলে আপনারা ক্ষমতায় আছেন কেন? আজই পদত্যাগ করেন।’
সরকার গদি না ছাড়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: খন্দকার মোশাররফ
চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিএনপির ডাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশে খন্দকার মোশাররফ হোসেন। জাতীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘চট্টগ্রামের সমাবেশ থেকেই শেখ হাসিনা পতনের আন্দোলন শুরু। এ আন্দোলন চলবে, যতদিন পর্যন্ত এ অবৈধ সরকার গদি ছাড়বে না।’ বুধবার (১২ অক্টোবর) চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, পুলিশের গুলিতে পাঁচ নেতাকর্মী নিহত ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির ডাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘পলোগ্রাউন্ডে যে পরিমাণ মানুষ আছে, বাইরেও সেই পরিমাণ মানুষ আছে। আওয়ামী লীগের নেতারা, আপনারা আমাদের বাঁধা দিতে চেষ্টা করেছেন, মানসিকভাবে দুর্বল করতে চেয়েছেন। কিন্তু আপনাদের চেষ্টা সার্থক হয়নি। এ জাতীয়বাদী দলের উপর নির্যাতন করেছেন, নেতাকর্মীদের গুম করেছেন, মামলা দিয়েছেন। তবে আমাদের দলকে দুর্বল করতে পারেনি আওয়ামী লীগ। এতো মামলাবাদীর পরও আওয?ামী লীগ বলতে পারবে না, আমাদের কোনো কর্মী বিএনপি ছেড়ে তাদের দলে গেছে।’ শ্রীলঙ্কার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা আপনি মনে করছেন, এ দেশ থেকে পালাবেন। না আমরা পালাতে দিব না।’ বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘কোনো সভা-সমাবেশ আওয়ামী লীগের যে নেতাকর্মীরা বাধা দিতে চেষ্টা করবে আপনারা তাদের লিষ্ট তৈরি করুন। তাদের বিচার আমরা নয়; জনগণ করবে।’ ‘আমরা জনগণের দাবি নিয়ে এসেছি, ‘এরপরও আপনারা বাধা দেন কোন সাহসে। যখন আমরা সমাবেশ করি, তখনও তাদের নেতাকর্মীরা বলে ভায়োলেন্স করবো। কই তা তো আর দেখি না।’ সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এ সরকারের আমলে তাদের চুরি-লুটপাটের জন্য আজ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তি। শুধু তাই নয়; বিদ্যুৎ-পানির দামও বাড়তি। তারা এ টাকা বাইরে পাচার করছে। বার বার ভোট চোর, তাদের পক্ষে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া হবে না। বিএনপির ইতিহাস আছে, এ দেশ যখন গণতন্ত্র নিয়ে বিপদে পড়ে; তখনই এ দল এগিয়ে এসে দেশের গণতন্ত্র বাঁচায়। জনগণকে নিয়ে আমরা আছি।’
পলোগ্রাউন্ড মাঠে গয়েশ্বরের চার দাবি
‘অবৈধ সরকার অধীনে কোন নির্বাচন নয়, অবৈধ পার্লামেন্ট বাতিল, নির্বাচন কমিশন বাতিল এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ চার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বুধবার চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিএনপির ডাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশে তিনি এসব দাবি জানান। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, পুলিশের গুলিতে পাঁচ নেতাকর্মী নিহত ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ বিভাগীয় সমাবেশ ডাকে দলটি। সরকার গদি না ছাড়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: খন্দকার মোশাররফ গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই চট্টলা থেকে ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন। বাংলাদেশ ‘ডাকে’ স্বাধীন হয়নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ‘যুদ্ধে’। আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমরা আজ আবারো যুদ্ধে নেমেছি।’ দফায় দফায় হামলার অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের নেতাদের উপর দফায় দফায় হামলা চলছে। অথচ আজ পুলিশ সার্কুলার দিয়েছে, সমাবেশে লাঠি নিয়ে আসা যাবে না। পুলিশ কর্মকর্তাদের বলব— “সমাবেশ করা যাবে না, গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছ, এ অধিকার তোমাদের কে দিয়েছে? এই পুলিশ অফিসার তোমাদের বলছি, তোমরা ফরফর কম কর। আওয়ামী লীগ লাঠি নিয়ে নামবে। কিন্তু আমাদের ছেলেরা মাঠে লাঠি নিয়ে নামবে না। সুতরাং এই গণতন্ত্রের যুদ্ধে আমরা এখনও আইনের পথে আছি ।” গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাদের আজ আর যাওয়ার কোন রাস্তা নেই। পেটের ভাতের জন্য মানুষ আজ হাহাকার করছে। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভাত দিতে পারবেন না, বিদ্যুৎ দিতে পারবেন না, ক্ষমতায় থাকবেন কেন? শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের প্রধানমন্ত্রী না। চোরের স্বভাব যায় না। সুযোগ পাইলে করে চুরি। তাই এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন আমরা মানি না।’
চট্টগ্রাম থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম থেকে শেখ হাসিনার পতন শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামবাসী ডাক দিয়েছে, তাহলে আর দেরি কিসের। শেখ হাসিনা আপনি ক্ষমতা ছাড়ুন, পদত্যাগ করুন। বুধবার চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, পুলিশের গুলিতে পাঁচ নেতাকর্মী নিহত ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির ডাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের জনগণ আজ দেখিয়ে দিয়েছে। মাঠ-ঘাট কানায় কানায় ভরে গেছে। এ জনসভা থেকে যে বার্তা পুরো বিশ্ববাসী পাবে, সেটা একটাই—শেখ হাসিনা তুমি পদত্যাগ করো। তোমার ক্ষমতার ছাড়ার সময় হয়ে এসেছে। চট্টগ্রামের মাঠ থেকে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, এটা সহজে থামবে না। আমাদের নেতাকর্মীরা খাঁটি সোনায় তৈরি হয়েছে। দরকার হলে জীবন দিয়ে শেখ হাসিনার পতন ঘটাবো।’ নেতাকর্মীদের সমাবেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে আমীর খসরু বলেন, পুলিশের কিছু অংশ নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। ঢাকা থেকে আসতে নেতাকর্মীদের বাধা দিয়েছে। অনেক নেতাকর্মীকে হোটেল-রাস্তা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। এরপরও সমাবেশ থেমে নেই, নেতাকর্মীরা সকল বাধা অতিক্রম করে সমাবেশের মাঠে যোগ দিয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে শেখ হাসিনাকে বার্তা দিয়েছে, শেখ হাসিনা এখনই পদত্যাগ করো। আমীর খসরু বলেন, আজকের সমাবেশ থেকে বার্তা গেছে, আর কেউ ভোট চুরি করতে পারবে না..! যারা ভোট চুরি করার জন্য ঘুরপাক করছেন, মনে রাখবেন-- এ ভোট চোরের সঙ্গে জনগণ নেই। মৃত-জীবিত হোক দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো, ভোট ফিরিয়ে আনবো।
আমাদের বাংলা : : উখিয়া প্রতিনিধি : উখিয়ায় পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটি চাপায় মোহাম্মদ আলম (২৮) নামক এক রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত ...বিস্তারিত
এস এম নকিব নাছরুল্লাহ্, পিরোজপুর : : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো: তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা...বিস্তারিত
মোহাম্মদ ওবায়েদ চৌধুরী, উখিয়া : : কক্সবাজারের উখিয়ায় গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে মাটি কাটার সময় এক ইউপি সদস্যের মালিকানাধীন ড্রাম ট্রা...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, এই হিসাবে কিছুটা হেরফের হতে পারে। কারণ সব জায়গার তথ্য পাওয়া যায়...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং অফিসারদের ভোট পড়ার তথ্য দেওয়ার জন্য ম...বিস্তারিত
সংবাদদাতা, পঞ্চগড় : : পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় বিদ্যুতের মিটার লাগাতে গিয়ে কাঠমিস্ত্রি আবু সায়েদ ( ২৬ ) নামের এক যুবকের ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited