শিরোনাম
সংবাদদাতা, সিলেট : | ০৭:১৬ পিএম, ২০২২-০৮-২৩
দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে এবার রেলপথ অবরোধ করেন চা শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার স্কুল চৌমহনী ট্রেন আটকে রেললাইন অবরোধ করেন চা শ্রমিকরা।
এ সময় চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকা পড়ে। রেললাইন অবরোধ করে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন শ্রমিকরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এদিন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় রেললাইন অবরোধ করেন চা শ্রমিকরা। এতে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
চা শ্রমিক স্বপন নাইডু বলেন, এতোদিন ধরে আমরা ধর্মঘট করলেও আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না। তাই আজ আমরা রেলপথ অবরোধ করেছি।কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেহ বলেন, চা শ্রমিকরা প্রায় ২০ মিনিট রেলপথ অবরোধ করে রাখেন। সে সময় তাদের বুঝিয়ে বলেছি, প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করবেন। আর আগামী ২৮ আগস্ট যেহেতু বৈঠক রয়েছে, তাই আপাতত যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। এরপর তারা রেলপথ থেকে সরে গেলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন চা শ্রমিকরা। কিন্তু তাদের এ দাবিতে মালিক পক্ষ সায় না দেওয়াতে ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যান শ্রমিকরা। ফলে দেশের ১৬৮টি বাগানে (ফাঁড়ি চা বাগানসহ ২৩২টি) ছড়িয়ে পড়েছিল এ আন্দোলন। চা শ্রমিকরা তাদের দৈনিক কাজ বন্ধ রেখে নেমে পড়েন মহাসড়কে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাগানে বাগানে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
তাদের আন্দোলন থেকে ফেরাতে দফায় দফায় বৈঠক চলে। গত শনিবার শ্রম অধিদপ্তরের মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর ১৪৫ টাকা মেনে নিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। কিন্তু তাতে বেঁকে বসেন শ্রমিকরা। তাদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। ওইদিন বিকেলে তারা ফের আন্দোলন শুরু করেন। পরে রাতে সিলেট জেলা প্রশাসনে বৈঠক হলেও শ্রমিকদের বিভক্তির কারণে কর্মবিরতি অব্যাহত রাখেন।
এ নিয়ে রোববার (২২ আগস্ট) দুপুরে চা শ্রমিকরা সিলেট এয়ারপোর্ট সড়ক অবরোধ করেন। পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এরপর রোববার দিনগত রাতে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং আওয়ামী লীগ নেতারা শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। কিন্তু ওই বৈঠক থেকেও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। বরং শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ে অটল থাকেন।
সর্বশেষ রোববার রাতে মৌলভীবাজারে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা জানান চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সোমবার সকালের ভেতরই সব বাগানে পৌঁছে যায়। ফলে চা বাগানগুলোতে নারী চা শ্রমিকরা জড়ো হয়ে চা পাতা তুলছেন।
তবে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত ১২০ টাকা মজুরিতেই কাজে ফিরবেন শ্রমিকরা। তবে শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে নিজেদের দাবি জানাবেন। কিন্তু সোমবার সকালে চা শ্রমিকদের একটি পক্ষ ফের বেঁকে বসেন। তারা কাজে যোগ না দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। আরেকপক্ষ দুপুর ১টার দিকে শ্রমিকদের একাংশ কাজে যোগ দিতে বাগানে যান। তারা চা পাতা তুলতে শুরু করেছেন।
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : সেনবাগ সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সেনবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। &...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং মালিক, শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের বার্ষিক সাধার...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : # দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও জনবল সংকটে বকেয়া থাকছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব # রিটার্ন না দেওয়ার জন্য অনেকে ব্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবিসহ দলে স্বেচ্ছাচারিতার অফিযোগে দলটির চেয়ারম্যান জি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিরোধী দলে ছিলেন এবং বিরোধী দলেই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর সদর-৩ আস...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ম...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited