শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৫:৪০ পিএম, ২০২৪-০৪-২০
সম্প্রতি বিশ্ব বাঙ্গালী সংসদের আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে ঢাকা ঘুরে গেলেন আসামের জনপ্রিয় পত্রিকা সাম্প্রতিক প্রসঙ্গের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সমাজসেবী মিলন উদ্দিন লস্কর। গেলো ১৯ এপ্রিল তিনি ঢাকার লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আবাসিক হোটেলে অবস্থান করেন। সামান্য বিরতি নিয়ে মিলন উদ্দিন লস্করসহ একাধিক সাংবাদিক ও শুভাকাঙ্খীসহ রাজধানীর চারপাশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন। শুরুতেই তিনি ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত আহসান মঞ্জিল ঘুরে দেখেন। এটি পূর্বে ছিল ঢাকার নবাবদের প্রাসাদ। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসাবে ব্যাবহৃত হচ্ছে। এর প্রতিষ্ঠাতা নওয়ার আবদুল গনি। তিনি তার পুত্র খাজা আহসানুল্লাহ-র নামানুসারে এর নামকরণ করেন। এক সময় এই গম্বুজের চূড়াটি ছিল ঢাকা শহরের সর্বো”চ। মূল ভবনের বাইরে ত্রি-তোরণবিশিষ্ট প্রবেশদ্বারও দেখতে সুন্দর। একইভাবে উপরে ওঠার সিঁড়িগুলোও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে দু’টি মনোরম খিলান আছে যা সবচেয়ে সুন্দর। আহসান মঞ্জিলের অভ্যন্তরে দু’টি অংশ আছে। বৈঠকখানা ও পাঠাগার আছে পূর্ব অংশে। পশ্চিম অংশে আছে নাচঘর ও অন্যান্য আবাসিক কক্ষ। নিচতলার দরবারগৃহ ও ভোজন কক্ষ ঘুরে দেখেন। পরে মিলন লস্কর ও তার সফরসঙ্গীরা লালবাগের কেল্লা বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকার কেন্দ্রঞ্চলে অবস্থিত প্রাচীন দুর্গ ঘুরে দেখেন। মোঘল আমলে স্থাপিত এই দুর্গটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। এটি পুরনো ঢাকার লালবাগে অবস্থিত, আর সে কারণেই এর নাম হয?েছে লালবাগের কেল্লা। এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনঞ্চল। বর্তমানে ( প্রেক্ষিত ২০১২ ) বাংলাদেশ সরকারের প্রতœতত্ব বিভাগ এই কেল্লা এলাকার রক্ষণাবেক্ষণ করছে। এ পথে চলার সময় পুরানো ঢাকার একটি প্রাচীন খ্রিস্ট ধর্মের উপাসনালয়।আর্মেনীয় গীর্জা পরিদর্শন করেন। এটি ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি পুরানো ঢাকার আর্মানীটোলায় অবস্থিত।ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতকে ঢাকায় অনেক আর্মেনীয় ব্যক্তির আগমণ ঘটে। গীর্জা নির্মানের পূর্বে ঐ স্থানে ছিলো আর্মেনীয়দের একটি কবরস্থান। এই গীর্জার জন্য জমি দান করেন আগা মিনাস ক্যাটচিক। ১৮৮০ সালে আর্থিক অনটনে পড়ে গীর্জার ঘণ্টাটি বাজানো বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৮৯৭ সালের ভুমিকম্পে গীর্জার ঘড়িঘর বিধ্বস্ত হয়। গীর্জার অঙ্গনে আর্মেনীয়দের কবরস্থান অবস্থিত। একই পথে চোখে পড়ে বাহাদুর শাহ পার্ক। ১৯৫৭ সালের পূর্বে পুরানো ঢাকায় লক্ষ্মী বাজার এলাকায় অবস্থিত বাহাদুর শাহ পার্কটি ‘ভিক্টোরিয়া পার্ক’নামে পরিচিত ছিল। বাহাদুর শাহ পার্কের প্রাক ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, ইতিপূর্বে এটি ছিল আর্মেনীয় সম্প্রদায়ের একটি ক্লাবঘর, যা আল্টাঘর নামে খ্যাত ছিল। ঊনিশ শতকের গোড়ার দিকে ইংরেজরা এটি আর্মেনীয়দের নিকট থেকে কিনে নিয়ে পার্কের রূপ দেয়। সে সময়ে পার্কের দড়্েিগণ ইংরেজরা আর একটি ক্লাবঘর তৈরি করে যা ঢাকার নওয়াব খাজা আঃ গনি ও খাজা আহসান উলস্নাহ-এর পৃষ্ঠপোষকতায় চলতো। এখানে ইংরেজরা বিলিয়ার্ড র্যাকেট, টেনিস, ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি খেলতেন। অনেক সময় সেখানে পার্টি ফ্যাংশনও হতো। পরবর্তীকালে রেসকোর্স ময়দানে ঘোড়দৌড় এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য কারণে ইংরেজগণ ঐ ক্লাবঘরটি ¯’ানানত্মরিত করে ঢাকার শাহবাগ এলাকায় নিয়ে আসেন যা বর্তমানে ‘ঢাকা ক্লাব’নামে পরিচিত। এরপরে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রধান ভবন পরিদর্শন করেন তিনি। এটি ঢাকার শেরে বাংলা নগর এলাকায় অবস্থিত। প্রখ্যাত মার্কিন স্থাপতি লুইস কান এটির মূল স্থাপতি। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বারটি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় নির্বাচনের পর গঠিত সংসদের অধিবেশনগুলি অনুষ্ঠিত হয় পুরান সংসদ ভবনে, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। একই সাথে ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র সংসদ ভবনের পাশে অবস্থিত চন্দ্রিমা উদ্যান ঘুরে দেখেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধি এখানে অবস্থিত। সমাধিকে কেন্দ্র করে এখানে সমাধি কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাতঃভ্রমণকারীদের জন্য এটি একটি উত্তম স্থান। ঢাকা শহরের উদ্যানগুলির মধ্যে এটি অন্যতম গুর“ত্বপূর্ণ একটি উদ্যান। পরিশেষে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত মুক্তিযোদ্ধা ও নিহত বেসামরিক বাঙালি ও অবাঙ্গালিদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত স্মারক স্থাপনা জাতীয় স্মৃতিসৌধ যান। এটি সাভারে অবস্থিত।সৃতিসৌধে সাতটি স্তম্ভ আছে যা বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের প্রধান সাতটি আন্দোলনের নিদর্শন বহন করে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এখানে তিনি দুই মিনিট নিরবতা পালন করেন। এসময় আসামের সাংবাদিক ও তরুন উদ্যোক্তা শামসুর রহমান লস্কর, ত্রিপুরার সাংবাদিক মো. বিল্লাল, দৈনিক আমাদের বাংলা প্রত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী ও প্রধান প্রতিবেদক সাজেদা হক তার সাথে ছিলেন।
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : নিজস্ব প্রতিবেদক বাংলা অ্যাকাডেমি চত্বরে ভাষাশহিদ অহি উল্লাহ'র মুরাল স্থাপনের আবেদন করেছে...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : নিজস্ব প্রতিবেদক মিরপুর সেনানিবাসে মিলিটারী ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এ্যান্ড টেকনোলজী (এমআইএস...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : সাজেদা হক ৭২ বছর পর ভাষাশহিদ রফিকউদ্দিন আহমদের কবরটি চিহ্নিত করা হয়েছে।১৬ বৈশাখ ১৪৩১(২৯ এপ্রিল ২...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : জৈন্তাপুর প্রতিনিধি: সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং বল্লাঘাট ঝুম্পার নামক এলাকা থেকে প্রত...বিস্তারিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : আনোয়ারাবাসী ঐক্য জোটের ব্যানারে আনোয়ারার সার্বিক বিষয় নিয়ে সুশীলসমাজের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী কোরবানির সময় এক কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশু জোগান নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited