শিরোনাম
মো. আনিসুজ্জামান, খুলনা : | ০৮:৫৭ পিএম, ২০২১-০৬-১২
‘ইয়াসে ঘর বাড়ি হারিয়ে সরকারি পুকুরপাড়ে ঝুঁপড়ি ঘরে বাস করছি। এখানে আসার পরে খেয়ে না খেয়ে কষ্ট করে থাকছি। বর্ষা হলে রাতে ঘুমাতে পারিনা, সবাই মিলে বসে থাকি। বুধবার রাতে বৃষ্টি হওয়ায় সারারাত জেগে ছিলাম। সব কিছু ভিজে গেছে। আজ সকাল ধরে ও বর্ষা হয়েছে আজও সব কিছু ভিজে গেছে। সরকারি চাল পেয়েছি কিন্তু বর্ষায় চুলাটাও ভিজে গেছে রান্না করার উপায় নাই।’ মহারাজপুর ইউনিয়নের খেজুর ডাঙ্গা সরকারি পুকুরপাড়ে বসবাস করছেন নাছিমা খাতুন এভাবেই তার মানবেতর জীবন যাপনের কথা বলছিলেন। তার মতো উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাতির ঘেরী বেড়িবাঁধ বাস করছেন প্রশান্ত মন্ডল বলেন, ‘ইয়াসের দিন বাঁধ ভেঙে ঘর বাড়ি সব তলিয়ে গেছে। সেখানে বাস করা যাচ্ছে না। কোন রকমে রাস্তর উপরে বাসা বাধিছি। বৃষ্টি হলে বাসার ভিতরে পানি পড়ে। সব ভিজে ঘরের ভিতর কাদা হয়ে যায়।’
ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে কয়রা উপজেলার প্রায় ১২টি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ ভেঙে কপোতাক্ষ, শাকবাড়িয়া ও কয়রা নদীর পানিতে ৪ টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। ঘর বাড়ি হারিয়ে উঁচু বেড়িবাঁধ ও আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয় পানিবন্দি মানুষ।
এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে দক্ষিণ বেদকাশি, মহেশ্বরীপুর ও মহারাজপুর ইউনিয়নের ১০ টি পয়েন্ট বাধঁ নির্মাণ হলেও মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়া বেড়িবাঁধের একটি পয়েন্ট ও উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নে গাতির ঘেরীর একটি পয়েন্ট এখনো বাঁধ দেওয়া সম্ভব হয়নি। মহারাজপুর ইউনিয়নের খেজুর ডাঙ্গা সরকারি পুকুর পাড়ে ৩০/৩৫ পরিবার ঝুঁপড়ি বানিয়ে বসবাস করছে। এছাড়া উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামের বেড়িবাঁধ ও গাতির ঘেরী বেড়িবাঁধে ৯০ থেকে ৯৫ টি পরিবার কোনরকমে পলেথিনের ঝুঁপড়ি বেধে মাথা গোজার ঠাই করেছে।
সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, বেড়িবাঁধের উপর লম্বা সারি বদ্ধ দোচালা ঝুঁপড়ি। পলিথিন ও গোলপাতা দিয়ে তৈরী ঘর গুলোতে বৃষ্টি হলে ঢুকছে পানি। বৃষ্টির সময় সকলে এক জায়গায় জড়োসড়ো হয়ে বসে থাকছে। পয়ঃনিস্কাশন, সুপেয় পানি ও খাদ্যের চরম সংকট রয়েছে।
কয়রা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে প্রবল জোয়ারে বেড়িবাঁধ ভেঙে লবণ পানিতে তলিয়ে যায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৫০ টি গ্রাম। ঘূণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার অতিমাত্রায় জোয়ারের পানিতে উপজেলার শাকবাড়ীয়া ও কপোতাক্ষ নদীর প্রায় ৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে লবণ পানি প্রবেশ করে। বিধ্বস্ত হয়েছে ১২৫০ টি ঘর। তলিয়ে গেছে দুই হাজার পাঁচশ’ চিংড়ি ঘের। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি টাকা। এছাড়া কৃষি ফসল নষ্ট হয়েছে ১৫ হেক্টর জমির।
এ ব্যাপারে কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ঘর বাড়ি হারিয়ে যারা রাস্তার উপর বসবাস করছেন তাদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এখন বৃষ্টির সময়, বৃষ্টি হলে তাদের ঝুঁপড়ি ঘরে পানি পড়ছে। বৃষ্টির কারণে যাতে তাদের কষ্ট না হয় তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : সেনবাগ সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সেনবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। &...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং মালিক, শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের বার্ষিক সাধার...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : # দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও জনবল সংকটে বকেয়া থাকছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব # রিটার্ন না দেওয়ার জন্য অনেকে ব্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবিসহ দলে স্বেচ্ছাচারিতার অফিযোগে দলটির চেয়ারম্যান জি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিরোধী দলে ছিলেন এবং বিরোধী দলেই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর সদর-৩ আস...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ম...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited