শিরোনাম
সংকাদদাতা, সিরাজগঞ্জ: | ০১:০৩ পিএম, ২০২০-১২-০৯
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে কর্মসৃজন প্রকল্পে ৫০ টি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে বিশেষ ভুমিকা রাখছে। অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্পে সুফল ভোগ করছেন স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের তৃণমুল পর্যায়ে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠি। কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়নে অবকাঠামো উন্নয়নে চলাচলে সহজ হচ্ছে শহরগামী মানুষের, সুগম হচ্ছে ছাত্র/ছাত্রী স্কুল কলেজে যাতায়াতের ব্যবস্থা, হাট-বাজারে কৃষিপণ্য সরবরাহের প্রসার ঘটছে কৃষক ও ব্যবসায়ী মহলের ।অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্পে খোকশাবাড়ি, ছোনগাছা, বাগবাটী, রতনকান্দি, মেছড়া, কাওয়াকোলা, কালিয়াহরিপুর, সয়দাবাদ, শিয়ালকোল ও বহুলী ইউনিয়নে রাস্তাঘাট, ব্রীজ কালভার্ট,মসজিদ, মন্দির ও মাদ্রাসার মাটি ভরাটের কাজ চলছে। ২০২০ অর্থ বছরের ২ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫০ টি প্রকল্প সফলভাবে বাস্তাবায়িত হবার পথে। ৩ হাজার ২৭৩ জন নারী পুরুষ শ্রমিক কাজ করছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪৫ জন নারী বাকী ২ হাজার ১২৮ জন পুরুষ। প্রতিদিন ১ শত ৫০ টাকা মজুরী উত্তোলন করছেন। ৪০দিনে প্রতিটি শ্রমিক ৬ হাজার টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন। ৪০ দিনের কাজের মজুরী থেকে ৫০ টাকা শ্রমিকের নিজ ব্যাংক এ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে। জমাকৃত টাকা আপতকালীন সময়ে সরকারী নির্দেশে এককালিন উত্তোলন করতে পারবেন।ওই প্রকল্পে এলাকার দুঃস্থ অসহায় নারী পুরুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।বাগবাটী ইউনিয়নের গাড়দহ পশ্চিম পাড়ার শারীরিক অসুস্থ মহিন্দ্র রাজবংশীর স্ত্রী শুভ্রা রাজবংশী (৬০) জানান, স্বামী অসুস্থতার কারনে অভাবের তাড়নায় ৭ বছর ধরে এই কাজ করে সংসার চালাই। সংসার চালানোর পর বাড়িতে একটি টিনের ঘর দিয়েছি। একটা মেয়েকে বিয়ে দেই। এই কাজ করে ভালই আছি।ও ছোনগাছা ইউনিয়নের গুপির পাড়া দিলীপ সাহার স্ত্রী গৌরী রানী (৫২)সহ একাধিক হতদরিদ্র পরিবার কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজ করে অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখছেন। খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা মো.আব্দুল খালেক জানান, সিরাজগঞ্জ যমুনা নদী ভাঁঙ্গন কবলিত এলাকা। খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের অর্ধেক অংশ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে পড়েছে।একাধিক ভাঙ্গন কবলিত মানূষ অসহায়ত্বের মত জীবন যাপন করে থাকেন।কর্মসৃজন প্রকল্পে ওই সকল অসহায় মানুষগুলোর দু-মুটো খাবারের পথ নিশ্চিত হয়েছে। ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সহিদুল আলম ও বাগবাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশনেত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুদা ও দারিদ্র মুক্ত দেশ গড়তে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় কর্মসৃজন প্রকল্প অবকাঠামো উন্নয়নসহ সুবিধাভোগী দরিদ্র মানুষের ক্ষুদা নিবারণের উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখছেন। কর্মসৃজন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়নে সুফল বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার পারভেজ জানান,কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুেষর যেমন জীবিকা নির্বাহের পথ নিশ্চিত হয়েছে। অপরদিকে গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে।এবিষয়ে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.সাইদুল হক ও উপসহকারী প্রকৌশলী মো.সাদবিন জাহাঙ্গীর বলেন-অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্প বছরের দু-কিস্তিতে বরাদ্দ আসে। সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের হতদরিদ্র নারী পুরুষ মাটি কাটার কাজ করে সুবিধাভোগী পরিবারগুলো তাদের সংসার চালাতে সহায়ক ভুমিকা রাখছে ওই প্রকল্পে। বদলে দিয়েছে মানুষের জীবন প্রবাহ ও গ্রামীণ অবকাঠামোর চিত্র।
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : সেনবাগ সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সেনবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। &...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং মালিক, শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের বার্ষিক সাধার...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : # দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও জনবল সংকটে বকেয়া থাকছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব # রিটার্ন না দেওয়ার জন্য অনেকে ব্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবিসহ দলে স্বেচ্ছাচারিতার অফিযোগে দলটির চেয়ারম্যান জি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিরোধী দলে ছিলেন এবং বিরোধী দলেই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর সদর-৩ আস...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ম...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited