শিরোনাম
খুলনা প্রতিনিধি : | ০৭:৪৯ পিএম, ২০২১-০৬-২৯
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণরোধে খুলনা জেলা প্রশাসন গত ২২ জুন থেকে লকডাউনের ঘোষণা দেন। এর সাথে জুড়ে দেওয়া হয় কতিপয় বিধি নিষেধ। গণপরিবহন এর আওতাভুক্ত হওয়ায় এ সংগঠনের আট হাজার শ্রমিকের আয় একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। আর কত দিন বসে থাকতে হবে তার কোন নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। এক অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে এ সংগঠনের সদস্যদেরকে। দীর্ঘদিন পরিবহন বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে তাদের।
খুলনা টু পাইকগাছা রুটের চালক মো. মোশারেফ জানান, আমাদের গাড়ী বন্ধ। গাড়ী বন্ধ থাকায় কর্মও বন্ধ। এ পর্যন্ত সরকারি কোন সহযোগিতা পাইনি। শ্রমিক সংগঠন থেকে কোন সহযোগিতা দেয়নি। সংসারের সদস্য পাঁচ জন। সদস্যদের নিয়ে বিপদের মধ্যে রয়েছেন তিনি। লকডাউনের সময় সংসার চালাতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন। ঋণের টাকা শোধ করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ২৩ বছরের কর্মজীবনে তিনি এ রকম কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হননি বলে জানিয়েছেন।
খুলনা টু মোংলা রুটের কাউন্টারের শ্রমিক মো. আলমগীর জানান, কাজ বন্ধ। কিন্তু পেট তো বন্ধ নেই। চার সদস্য নিয়ে তার পরিবার। ধার দেনা করে জীবন চলে না। দুঃসময়ে শ্রমিকের পাশে সরকারের সহযোগিতার হাত বাড়ানো উচিত। পরিবহন সেক্টরের চাকা সচল রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে লকডাউনে বদলে গেছে সড়ক মহাসড়কের চেহারা। লকডাউনে সর্বাত্মকভাবে পালনে বাধ্য করতে পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক ও মোড়ে মোড়ে টহল দিয়েছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
রাস্তায় পুলিশের টহল গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক, রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার, রিকশা, মোটর সাইকেলসহ জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহৃত সীমিত সংখ্যক যানবাহন ছাড়া তেমন কোন যানবাহন চোখে পড়েনি। বাইরের কেউ ঢুকতে পারেনি। এক এলাকা হতে অন্য এলাকায় যেতে না পারার জন্য বাঁশ দিয়ে অনেক সড়কের পথ আটকে দিয়েছে পুলিশ। চলতি লকডাউনের প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত এমন চিত্র দেখা গেছে। ইতোপূর্বে ডাকা লকডাউনগুলোতে রাস্তায় মানুষের ব্যাপক সমাগম ছিল। চায়ের দোকানগুলোতে ছিল চায়ের আড্ডা। তবে এবার রাস্তায় মানুষের চলাচল খুবই সীমিত। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হলেই পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, খুলনা জেলা প্রশাসকের নির্দেশ মোতাবেক আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহাবুব হাসান বলেন, খুলনা জেলা ও মহানগরে সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা ও উপজেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে সচেতন করতে প্রতিটি গ্রামে মাইকিং ও সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন দু’দিন আগে থেকে শুরু করেছিলাম। খুলনার সাথে সাতক্ষীরা ও যশোরের সংযোগ ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে কঠোর নিরাপত্তা বসিয়ে সকল ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। খুলনা জেলার চারপাশে মোট ২৬টি চেক পোষ্ট বসানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশের যত দায়িত্ব আছে সব ধরণের দায়িত্ব বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে জেলার ৯টি থানাকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশের পক্ষ থেকে যা যা করার সবই করা হচ্ছে। যা লকডাউনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যাপারে খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, খুলনায় সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা জুড়ে মোট ২৬ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছে। লকডাউন চলাকালে প্রশাসনের এ কঠোরতা অব্যাহত রয়েছে।
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : সেনবাগ সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সেনবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। &...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং মালিক, শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের বার্ষিক সাধার...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : # দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও জনবল সংকটে বকেয়া থাকছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব # রিটার্ন না দেওয়ার জন্য অনেকে ব্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবিসহ দলে স্বেচ্ছাচারিতার অফিযোগে দলটির চেয়ারম্যান জি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিরোধী দলে ছিলেন এবং বিরোধী দলেই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর সদর-৩ আস...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ম...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited