শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৭:১২ পিএম, ২০২৪-০৪-০২
সাগরিকায় নির্মাণ করা হবে আধুনিক কসাইখানা
একনেকে অনুমোদনের সাড়ে পাঁচ বছর পর প্রক্রিয়া শুরু
একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) অনুমোদনের প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পর নগরে আধুনিক কসাইখানা নির্মাণে প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার ২ এপ্রিল সাগরিকা পশুর হাট পরিদর্শন করেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন। এদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি পরিদর্শন আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
পশ্চিম পাশে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) এক একর জায়গায় প্রায় ৮৩ কোটি টাকায় এ কসাইখানা নির্মাণ করবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। দ্রুততম সময়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জানান সচিব । এর আগে এ কসাইখানা নির্মাণে চান্দগাঁও পুরাতন থানা এলাকায় ৮৮ শতক জায়গার প্রস্তাব করে চসিক। তবে ওই ভূমির পাশে থাকা একটি স্কুল কর্তৃপক্ষ পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনা থেকে এতে আপত্তি জানায়। এতে জটিলতা তৈরি হয়। তখন সাথে সাথে চসিকও বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করতে পারেনি। ফলে আটকে যায় প্রকল্পের কাজ। পরবর্তীতে সাগরিকা পশুর হাট সংলগ্ন জায়গাটি বাছাই করে চসিক। এটি পছন্দ হয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরেরও। এ বিষয়ে চসিকের স্টেট অফিসার মো. রেজাউল করিম বলেন, সাগরিকা গরুর বাজারের পশ্চিম পাশে এক একর জায়গায় কসাইখানা হবে। এরপর তারা কাজ শুরু করবে। জানা গেছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত চার হাজার ২৮০ কোটি ৩৬ লাখ টাকায় ‘প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন’ (দি লাইভস্টক এন্ড ডেইরি ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট–এলডিডিপি) শীর্ষক প্রকল্প ২০১৮ সালে ৮ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)’র সভায় অনুমোদন পায়। প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পশু জবাই ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের জন্য চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় তিনটি সেমি অটো এবং ২০টি জেলায় একটি করে আধুনিক পশু জবাইখানা নির্মাণ অর্ন্তভুক্ত রয়েছে। এসব কসাইখানার জন্য বরাদ্দ রাখা হয় ৭৩৩ কোটি। এর মধ্যে চট্টগ্রামসহ দেশের তিনটি সিটি কর্পোরেশন এলাকার প্রতিটি কসাইখানার জন্য বরাদ্দ ৮৩ কোটি টাকা। তবে বর্তমানে এ ব্যয় আরো বাড়তে পারে বলে প্রকল্প সংশ্লিস্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, আধুনিক কসাইখানাটিকে ঘিরে নগরে গবাদী পশু সংক্রান্ত বড় মাপের একটি ইনস্টিটিউশন গড়ে তোলা হবে। এতে থাকবে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, আইসোলেশন, স্মার্ট স্টকিং স্পেস সুবিধা, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, রক্ত ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট শৃঙ্খলা। এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন এবং জবাই এরিয়া করা হবে। পশুর নাড়িভুড়িসহ শিং ফেলে না দিয়ে বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা থাকবে এই কসাইখানার আওতায়। এ কসাইখানায় পশু জবাই করার আগে একজন পশু চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখবেন জবাইয়ের জন্য আনা পশুর। জবাইয়ের পর সেই মাংসও পরীক্ষা করা হবে। পশুর রক্তকে পোলট্রি ফিডে রুপান্তর করা হবে। পশুর অন্যান্য বর্জ্যগুলোও রিসাইক্লিং করা হবে। এই কসাইখানায় একদিনে জবাই করা যাবে ১০০ পশু এবং অপেক্ষায় রাখা যাবে ৩০০ পশু। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আধুনিক কসাইখানা নির্মাণ কাজ শেষ হলে নগরের যেখানে–সেখানে পশু জবাই বন্ধ হবে। এতে পরিবেশ দূষণ কমে আসবে। রোগ–বালাই আছে এমন গরু জবাই করা বন্ধ হবে। প্রকল্পের আওতায় যেখানে মাংস বিক্রি করা হবে সেখানে পৌঁছে দেয়ার জন্য কুল–ভ্যান ক্রয় করা হবে। এই ভ্যানে করেই মাংসগুলো পৌঁছে দেয়া হবে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারিভাবে নির্মিত সর্বোচ্চ মানের আধুনিক কোনো কসাইখানা নেই। তবে পাবনায় বেসরকারিভাবে বাণিজ্যিক উদ্দেশে গড়ে উঠা একটি আধুনিক কসাইখানা রয়েছে। ওই হিসেবে চট্টগ্রামের কসাইখানাটি হবে দেশের প্রথম আধুনিক পশু জবাই কারখানা।
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : সাজেদা হক ৭২ বছর পর ভাষাশহিদ রফিকউদ্দিন আহমদের কবরটি চিহ্নিত করা হয়েছে।১৬ বৈশাখ ১৪৩১(২৯ এপ্রিল ২...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : জৈন্তাপুর প্রতিনিধি: সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং বল্লাঘাট ঝুম্পার নামক এলাকা থেকে প্রত...বিস্তারিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : আনোয়ারাবাসী ঐক্য জোটের ব্যানারে আনোয়ারার সার্বিক বিষয় নিয়ে সুশীলসমাজের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী কোরবানির সময় এক কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশু জোগান নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা টোল আদায়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে পদ্মা সেতু। সেতু চালু হওয়ার পর থেকে রোববার...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর খুলেছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে কোনো ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited