শিরোনাম
চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: | ০৬:২৫ পিএম, ২০২১-০৯-১৫
বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও যমুনা নদী ভাঙ্গনে এবং ঘরবাড়ি, ভিটে-মাটি, জমি-জমা ভেঙ্গে যাওয়া পরিবার গুলো চরম কষ্টে আছেন সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার মানুষ। প্রয়োজনের তুলনায় উপদ্রুত এলাকায় সরকারী ত্রান অপ্রতুল মর্মে এলাকাবাসী দাবী করেছে।
অনেকেই সরকারি রাস্তার উপরে,কবরস্থানে ও অন্যের বাড়িতে অবস্থান করছেন । ত্রাণ সহায়তাও অপ্রতুল। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১লক্ষ ৬৪ হাজার ৯’শ ২৯জন লোকের মধ্যে ৬ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
খাবার পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকায় স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। দেখা দিয়েছে পশু খাদ্যের সংকট। নদী ভাঙ্গন নতুন সংকট তৈরি করছে। বিশেষ করে উপজেলায় দক্ষিণ খাষপুখুরিয়া, বাঘুটিয়া, উমারপুর,ঘোরজান ও স্থলচর এলাকার নিম্না ল অউন্নত হওয়ায় বর্ষার শুরুতেই তলিয়ে যায়। এ এলাকার যাতায়াতের রাস্তা গুলো কাচা ও নিচু হওয়ার কারণে যোগাযোগে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয় এখানে বসবাসকারীদের। অত বড় বন্যা না হলেও উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছিলো এবং সদিয়াচাদপুর, খাষপুখুরিয়া, বাঘুটিয়া,ঘোরজান ও উমারপুরে যমুনা ভাঙ্গনের তান্ডবলীলা চালিয়েছে সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছে প্রায় ২হাজার ৯শত পরিবার । বন্যাজনিত কারনে নৌ-ডুবি ও পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর মত ঘটনাও ঘটেছে।
উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ কাহহার সিদ্দিকী জানান, তার এলাকায় ২৫ হাজার ৮’শ ২৬জনের মধ্যে ৫’শ পরিবারের ঘরবাড়ি পুরোপুরি ভেঙ্গে গেছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আরো অনেক বড়িঘর। আর ফসলি জমির ২৫ ভাগ বালু জমে নষ্ট হবে বহু ইরি গেষন। সামনে সেখানে ফসল ফলানো কঠিন হবে। গবাদি পশুর খাদ্য সংকট তীব্র হচ্ছে। আর পানীয় জল ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। তিনি আরও বলেন,‘ত্রাণ সহায়তা তেমন নাই। এনজিও গুলো এগিয়ে আসছেনা। সরকারের পক্ষ থেকে ৩ শতাধিক পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল ও শুকনো খাবার নগদ অর্থ দেয়া হয়েছে। এলাকার নদী ভাঙনের শিকার এবং যাদের বাড়ি ঘর ভেঙে গেছে তারা সড়কে,কবরস্থানে ও অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে আছেন। উপজেলার অন্যান্য বন্যা কবলিত এলকার চিত্রও কম বেশি একই রকম।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এসও মোঃ জাকির হোসেন জানান, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি দ্রুত কমছে। পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। বর্তমানে পানি কমে ৯১ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কর্মকর্তা মোঃ মজনু মিয়া জানান, এপর্যন্ত বন্যা কবলিত এলাকায় ২০মে. টন চাল বরাদ্দ ও বিতরণ করা হয়েছে। শুকনা খাবার ও নগদ অর্থ ১২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বিতরণ। অতিরিক্ত ৩’শ প্যাকেট বিতরণ চলমান রয়েছে। গৃহ নির্মাণ ১০ টি, ২ টির কার্যক্রম অব্যাহত এবং ১০৫ বান্ডেল ঢেউটিন ও নগদ ৩.১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সাম্পতিক নদী ভাঙ্গনে বিলিন প্রায় ২.২১০ কিলোমিটার। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ ৯ কি,মি, বন্যায় আংশিক ক্ষতিগ্রস্তর সংখ্যা ১ হাজার ২২০, বসতবাড়ি নদী গর্ভে প্রায় এক হাজার এবং রাস্তা ১২ কিলোমিটার।
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : সেনবাগ সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সেনবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। &...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং মালিক, শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের বার্ষিক সাধার...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : # দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও জনবল সংকটে বকেয়া থাকছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব # রিটার্ন না দেওয়ার জন্য অনেকে ব্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবিসহ দলে স্বেচ্ছাচারিতার অফিযোগে দলটির চেয়ারম্যান জি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিরোধী দলে ছিলেন এবং বিরোধী দলেই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর সদর-৩ আস...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ম...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited