বাংলাদেশ   শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪  

শিরোনাম

রাজপথ থেকে সফল রাষ্ট্রনায়ক, দেশরতœ শেখ হাসিনা আবারও হলেন পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী

আমাদের বাংলা ডেস্ক :    |    ০১:৪৫ পিএম, ২০২৪-০১-১১

রাজপথ থেকে সফল রাষ্ট্রনায়ক, দেশরতœ শেখ হাসিনা আবারও হলেন পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী

মো. কামাল উদ্দিন :

ভাষা বিজ্ঞানি ড. মুহাম্মদ এনামুল হকের ভাষায়, ‘বঙ্গবন্ধু বিগত দু’হাজার বছরের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি’ সেই শ্রেষ্ঠ বাঙালির সময়ের সাহসী  শ্রেষ্ঠ বঙ্গকন্যা  যিনি নেত্রী থেকে রাষ্ট্র নায়ক হয়েছেন। আমাদের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী বিশিষ্ট লেখিকা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  জন্ম বার্ষিকী নিয়ে আমি বিগত সময়ে,  আমার কিছু কথা লিখেছিলাম । আজ তিনি দ্বাদশ সাংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে পাঁচবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন।  যে নেতা জন্ম না হলে  আমরা এই বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে  পারতাম না, ঠিক তেমনি এই বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য বঙ্গকন্যার জন্ম না হলে স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে পারতাম না। সেই বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার কাজ যিনি নিরলসভাবে করে যাচ্ছেন- সেই বঙ্গকন্যার জীবন কাহিনী এবং নেত্রী থেকে রাষ্ট্র নায়ক ও স্বাধীনতা বিরোধীদের  বিরুদ্ধে আইনি  সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়াসহ অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার কথা  আমাদের সবার জানা আছে। আমার প্রিয়  ব্যক্তিত্ব শেখ হাসিনার জন্ম ও কর্ম কাহিনী সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরছি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিন ১৯৭৩ সালে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এ পাশ করেন। ১৯৮১ সালে তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে তিনি প্রথম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুস জয়লাভের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারী দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালে তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী, ২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে চারবারের মতো প্রধানমন্ত্রী  হিসেবে দায়ীত্ব পালন করেছেন, তিনি ২০২৪ সালে ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ সাংসদ নির্বাচনে নির্বাচনে আবারও পুনরায় নির্বাচিত হয়ে পাঁচবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসাবে   শপথ গ্রহণ করেন। তিনি দেশের উন্নয়ন যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছেন। দীর্ঘ বছর রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকার সুবাদে দেশকে আধুনিক উন্নত দেশ রুপান্তর করতে পেরেছেন। তিনি এই দেশকে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।  ব্রোষ্টন বিশ্ববিদ্যালয় (যুক্তরাষ্ট্র-১৯৯৭), ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান (১৯৯৭), আবিরডিন ড্যান্ডি বিশ্ববিদ্যালয়, (যুক্তরাজ্য-১৯৯৭), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৯৯), ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রাসেলস, বেলজিয়াম (২০০০), ব্রিজপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়, (কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র (২০০০), প্যাট্রিস লুম্বাবা পিপলস ফ্রেন্ডশীপ বিশ্ববিদ্যালয়, মস্কো, রুশ ফেডারেশন (২০০৫) থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৯৯ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘দেশীকোত্তম’ (ধরিত্রীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ), ২০০৫ সালে ফিলিপাইনের পার্লামেন্ট ‘কংগ্রেশনাল মেডেল অব এচিভমেন্ট’, পার্বত্য চট্টগ্রামে সহিংসতা বন্ধ ও শান্তি আনার লক্ষ্যে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি’ সম্পাদনার জন্য ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো হুফে-বোগনি পুরস্কার প্রদান করেন। তিনি ইন্ধিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক শান্তি পদক ২০০৯ ও কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে মানব সম্পদ উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সমঝোতার জন্য ইন্ধিরা গান্ধি স্বর্ণপদক ২০০৯’ পুরস্কারে ভূষিত হন।  ২০১০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ এমডিজি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি  এক ক্ষণজন্মা মহানায়কের কন্যা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্ত তার ধমনীতে। তাঁর শৈশব কেটেছে মানুষের প্রতি পিতার অকুণ্ঠ ভালোবাসা দেখে। দেখেছেন তাঁর পিতা কীভাবে আদর্শের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, সহ্য করেছেন নির্যাতন জেল-জুলুম। তাঁর বেড়ে ওঠার সাথে সাথে তার পিতা হয়েছেন জাতির পিতা। তিনি দেখেছেন, কীভাবে তাঁর পিতা এ দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। পিতার আদর্শ, পিতার  মানবতা, পিতার রাজনীতিতে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ছোটবেলা থেকেই। তাই  ১৯৬২তেই জড়িয়ে পড়েন ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে। সে সময় তিনি স্কুলের ছাত্রী। কুখ্যাত হামিদুর রহমান কমিশন শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে তিনি মিছিলে যোগ দেন। কলেজে প্রবেশ করে তিনি ছাত্ররাজনীতি বিশেষ করে বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে আরো বেশি করে সম্পৃক্ত হন। বেগম বদরুন্নেচ্ছা কলেজের ছাত্রী সংসদ নির্বাচনে তিনি সহ সভানেত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তখন ছাত্রীদের মধ্যে ছাত্র ইউনিয়নের ব্যাপক জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও এ দেশের স্বাধিকার ও মুক্তির আন্দোলনে তিনি পিতার নির্দেশিত পথের এক সৈনিক হিসাবে কাজ করেন। ১৯৭১ এ এক দুঃসহ বন্দিজীবন কাটান। তখনও পাওয়া গেছে তাঁর দৃঢ় মনোবল আর অমিত সাহসের পরিচয়। এরপর স্বামীর সঙ্গে পাড়ি দেন দূরদেশ। এ সময় আসে সেই ভয়াবহ ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট। সেই ভয়াল রাত। জার্মানিতে বসে তিনি শোনেন, প্রিয় পিতা, মা, ভাই এমনকি শিশু ছোট ভাই রাসেলের হত্যার সংবাদ। বিধাতাই বোধ হয় তাকে বাঁচিয়ে রাখতে ঠেলে দিয়েছিলেন দূরদেশে। ১৯৭৫ এর সেই বিভীষিকার পর, বাংলাদেশ হাঁটতে থাকে উল্টো পথে। শুরু হয় এক অন্ধকার যুগের। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের পবিত্র জাতীয় পতাকা ভুলুণ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার শত্রুরা অধিষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে শুরু হয় স্বাধীনতা বিরোধী অপতৎপরতা। বাংলাদেশ সংবিধানে আমাদের কৃষ্ঠি সভ্যতা, সংস্কৃতি মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এ সময় জাতির জনকের গড়া দল ছিন্নভিন্ন। মাঝিহারা নৌকার মতো। এমনই  এক সময় আওয়ামী লীগ এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনাকে তাঁরা  আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচন করে। বাংলাদেশ যেন আশার আলো দেখে। এ  দেশের দুঃখী মানুষ খুঁজে পায় বাঁচার ঠিকানা আশ্রয়স্থল। ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা ফিরে আসেন প্রিয় মাতৃভূমিতে। কোটি জনস্রোতের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি স্পর্শ করেন ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের পবিত্র মাটি। আবেগ আর কান্নায় এক অভূতপূর্ব প্রাণস্পর্শী দৃশ্যের অবতারণা হয় বিমানবন্দরে। আবেগাপুত­ প্রিয় নেত্রী কোটি মানুষের মাঝে ঘোষণা করেন এ দেশের মানুষের মুক্তির অঙ্গীকার। শুরু হয় গণতন্ত্রের সংগ্রাম। গণতন্ত্রের অভিযাত্রা। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। তীব্র আন্দোলনের মুখে অবশেষে এরশাদ পিছু হটেন। ১৯৮৬ সালের ২৭ মে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন এরশাদ। সব রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে এরশাদের পতন ছিলো অনিবার্য। এ সময় মেধাবী নেতা কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ দুই নেত্রীকে ১৫০ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাব করলে  সারা দেশে হুলস্থুল পড়ে যায়। এরশাদ তাঁর বিপদ বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি দুর্বল আইন সংশোধন করে, একজন প্রার্থীর ৫টি আসনের বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এ সময় মরিয়া এরশাদ, বিরোধী দলের মধ্যে বিভক্তি আনার জন্য চেষ্টায়। কারণ, এরশাদ জানতেন সব দল যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, তাহলে তার বিদায় অনিবার্য। এরশাদ তাঁর ষড়যন্ত্র সফলও হন। শেষ মুহূর্তে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ৭ দল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচনী  চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সহিংস নির্বাচন হলো ৮৯ এর নির্বাচন। কিন্তু এতো সহিসংতা, কারচুপি করেও এরশাদ নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারেনি। যখন ফলাফল  ঘোষণা শুরু হয়, তখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট সুস্পষ্ট ব্যবধানে  এগিয়েছিলো। এরশাদ যখন নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে, তখনই মধ্যরাতে শুরু হলো  মিডিয়া ক্যু। হঠাৎ করেই টেলিভিশনে (তখন বিটিভিই ছিলো একমাত্র ভরসা) নির্বাচনী ফলাফল প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর শুরু হয় ভোটের ভুতুড়ে  ফলাফল বানানোর কাজ। ৩৬ ঘন্টা পর মিডিয়া ক্যুর মাধ্যমে নির্বাচনে ফলাফল  পাল্টে এরশাদের জাতীয় পার্টিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ওই নির্বাচনে যদি  বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট অংশগ্রহণ করতো, তাহলে নির্বাচনের মাধ্যমেই এরশাদের স্বৈরশাসনের পতন হতো। যাই হোক, এই নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা শুরু করেন নতুন করে আন্দোলন। তীব্র  আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৯৮৭ এর ১০ নভেম্বর ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ বুকে- পিঠে লিখে শহীদ হন নূর হোসেন। আন্দোলনে বিচলিত এরশাদ শুধু দমন-পীড়ন আর নির্যাতন নয়, একপর্যায়ে সংসদও ভেঙে দেন। ১৯৮৮ তে একতরফা সংসদ নির্বাচন করে এরশাদ ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার মরিয়া চেষ্টা করেন। ১৯৮৮ সালে ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম লালদিঘির জনসভায় পুলিশের গুলি দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন একটি কিন্তু সারা দেশে এরশাদ বিরোধী তীব্র গণ আন্দোলনের জোয়ারে স্বৈরাচারের পতন হয়। বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ  নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথে আবার যাত্রা শুরু করে। ১৯৯১ এর ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ১৯৯১ এর নির্বাচনে অপ্রত্যাশিতভাবে বেশি আসন পায় বিএনপি। যদিও বেশি মানুষের ভোট পায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। আসন বিন্যাসের জটিল হিসাবে সবচেয়ে জনপ্রিয় দলটির  স্থান হয়  বিরোধী দলে। কিন্তু বিরোধী দলের নেত্রী হয়েও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সেদিন এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন। সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য শেখ হাসিনার নির্দেশে তৎকালীন বিরোধী দলের উপনেতা আবদুস সামাদ আজাদ, সংসদীয় গণতন্ত্র সম্পর্কিত সংবিধান সংশোধনী বিল জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের জন্য নোটিশ দেন। সরকারি দল তখন বাধ্য হয়েই  সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য সংবিধান সংশোধনী বিল উপস্থাপন করেন। জাতীয় সংসদে ১৯৯১ এর ঐতিহাসিক মুহূর্তে সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সংসদীয় গণতন্ত্রের নবযাত্রা শুরু করে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা তিনি রাজনৈতিক জীবনে সংগ্রাম করেছেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, গণমানুষের  ভোটের অধিকার এবং মৌলিক  অধিকার আদায়ের জন্য। ক্ষমতার মোহ তাঁকে কখনো গ্রাস করেনি। তাই ’৯১ এর নির্বাচনে বিরোধী দলে থেকেও গঠনমূলকভাবে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকায় দলকে সংগঠিত করেন। দেশবাসী আশা করেছিল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।  দেশবাসী তাদের মৌলিক অধিকারসমূহ উপভোগ করবে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করি, ক্ষমতাসীন বিএনপি জনমতের চাপে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করলেও চর্চা করে রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থার। রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থার বদলে তারা প্রধানমন্ত্রীর একনায়কতন্ত্র কায়েম করে। রাষ্ট্রীয় সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে থাকে সংসদকে পাশ কাটিয়ে। সংসদে নয় অধ্যাদেশের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হতে থাকে। দেশবাসী হতাশ হয়; কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা তাঁর অদম্য প্রাণশক্তি নিয়ে আশাহত মানুষের পাশে দাঁড়ান। সংসদীয় গণতন্ত্র কার্যকর করতে দেশবাসীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি সারা দেশে তৈরি করেন জনমত। সংসদে করেন প্রতিবাদ। ’৯০ এর গণ-আন্দোলনের পর আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, আমাদের ভোটের অধিকার বুঝি প্রতিষ্ঠিত হলো। আর বোধ হয় নির্বাচনে ভোট কারচুপি হবে না। কিন্তু মাগুরা ও মীরপুরের উপনির্বাচন আমাদের সেই আশা ভঙ্গ করে। আমরা গভীর দুঃখ ও বেদনার সঙ্গে লক্ষ করি, ক্ষমতাসীন বিএনপি স্বৈরাচারী কায়দায় প্রকাশ্য ভোট  কারচুপি করে জনমতকে পদদলিত করে। আবার বঙ্গবন্ধু কন্যা ডাক দেন মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠান। দূরদর্শী এই নেত্রী উপলব্ধি করেন, দলীয় সরকারের অধীনে কোনোভাবেই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই তিনি আওয়াজ তোলেন, ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো’ এই স্লোগান অচিরেই গণদাবিতে পরিণত হয়। আর এই দাবি আদায়ের জন্য শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা। এই রূপরেখার মূল কথা  ছিলো  ৫ বছর মেয়াদ শেষে নির্বাচিত সরকার সবার কাছে গ্রহণযোগ্য দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একমাত্র কাজ হবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এই রূপরেখা ঘোষণা করলে গোটা জাতি এই রূপরেখা বাস্তবায়নের দাবি তোলে। শুধু বিএনপি এই দাবির বিরোধিতা করে। বিএনপি চেয়ারপারসন ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই দাবি  প্রসঙ্গে বলেন, ‘একমাত্র পাগল ও অপ্রকৃতিস্থ  ছাড়া কেউই নিরপেক্ষ নয়।’ তিনি এই দাবি করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক। মূলত বেগম জিয়ার একগুঁয়েমির কারণেই স্বৈরাচার পতনের মাত্র ৫ বছরের মাথায় নিজেদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এ দেশের মানুষকে রাজপথে নামতে  হয়। গুলির মুখে দাঁড়াতে হয়। বুকের তাজা রক্ত দিতে হয়। কিন্তু তবুও অনড়  বেগম জিয়া। বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়ার এই আপোসহীন মনোভাবের কারণেই  দেশে গড়ে ওঠে অভূতপূর্ব গণ আন্দোলন। শুধু রাজনীতিবিদ নন, অনেক লেখক সাংবাদিকও গ্রেপ্তার হন স্বৈরাচার গণতন্ত্রের, শাসনামলে। এ রকমই এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে  বেগম জিয়া ১৯৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন করেন। ওই  নির্বাচন এতোটাই উদ্ভট হয় যে তিনশ আসনে ভোট গ্রহণও সম্পন্ন করা যায়নি। শেখ হাসিনার ডাকে তখন গোটা দেশ অচল। ঘর থেকে ভোটের অধিকার রক্ষায় মানুষ বেরিয়ে আসে রাজপথে। গড়ে জনতার মঞ্চ। দেশ অচল হয়ে যায়। এ অবস্থায় বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রহসনের একটি পার্লামেন্ট গঠিত হয় মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য, রাজপথ তখন উত্তাল। দেশ অবরুদ্ধ। এ রকম একটি পরিস্থিতির মধ্যে, বিতর্কিত জাতীয় সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিলটি পাস হয়। ওই বিলের বিধান অনুযায়ী সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। নানা প্রতিকূলতা আর ষড়যন্ত্রের পরও এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সক্ষম হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে ২১ বছর পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্ষমতা গ্রহণের পরও অনেক সংশয়াচ্ছন্ন ছিলেন।  অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেন, কেমন চালাবে আওয়ামী লীগ। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভানেত্রী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর ক্রমশ একজন নেত্রী থেকে  রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে উদ্ভাসিত হন। দায়িত্ব নিয়েই তিনি জাতীয় ঐক্যমত্যের ডাক দেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তির মতো ঐতিহাসিক চুক্তি করে তিনি দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যার জঞ্জাল সরান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেই কৃষিতে ভর্তুকি ঘোষণা করেন। ফলে কৃষকরা প্রথমবারের মতো হয় খাদ্যে উদ্বৃত্ত একটি দেশে। ’৯৬ এ আওয়ামী লীগ সরকার স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি জনবান্ধব সরকারে পরিণত হয়। জিনিসপত্রের  দাম ছিলো সহনীয় পর্যায়ে।  দরিদ্র মানুষের জন্য শেখ হাসিনার সরকার বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিলো একটি বাড়ি, একটি খামার, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ঘরে ফেরা। এ ছাড়া অতি দরিদ্রের জন্য শেখ হাসিনা বয়স্কভাতা ও বিধবাভাতার মতো যুগান্তকারী কর্মসূচি গ্রহণ করেন। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্যের এই অগ্রযাত্রা দৃশ্যমান হতে থাকে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যপীড়িত একটি দেশ আত্মমর্যাদা নিয়ে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায়। একদিকে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্ব ক্রিকেটে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করে, তেমনি ভাষার জন্য রক্তদানের ঘটনার সোনালি দিন ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি  পায়। সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এক সাফল্যের প্রাণ স্পন্দনে এগিয়ে যায়। ঠিক এসময়ই শুরু হয় আবার স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির অপতৎপরতা। বাংলাদেশকে নিয়ে চক্রান্ত। আবার বাংলাদেশকে টেনে পিছনে ফেলার এক ঘৃন্য অপপ্রয়াশ। স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদী পরাজিত শক্তি আবার মাঠে নামে। তারা শুরু করে চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র। উদীচির সম্মেলনে বোমা হামলা ঘটানো হয়। শেখ হাসিনাকে প্রাণ নাশের একাধিক ষড়যন্ত্র করা হয়। পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে চালানো হয় নৃশংস হামলা। এই সব কিছুর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া হয় ভয়ভীতি। আর জাতীয় আন্তর্জাতিক চক্রান্তের প্লট সাজানো হয় ২০০১ সালের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির পরাজয় নিশ্চিত করতে। রাজাকার এবং স্বৈরাচারকে নিয়ে জোট গঠন করে বিএনপি। এরকমই একটি পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি সরকার অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। কিন্তু বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সাথে সাথেই ষড়যন্ত্রকারীরা প্রকাশ্য হয়। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দলীয় পক্ষপাত জাতির সামনে উন্মোচিত হয়। সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার হয়রানি করে, নির্বাচনের সাম্যতার নীতি নষ্ট করা হয়। কিন্তু এতো কিছুর পরও আওয়ামী  লীগের ভোট বাড়ে প্রায় ৪১ ভাগ পেয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে স্থান নেয়। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি কলংকিত অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। এই নির্বাচনে, জামাত বিএনপি জোট বিজয়ী হবার সাথে সাথেই সারাদেশে শুরু নারকীয় নৃশংসতা। শুধু আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী নয়। নিরীহ মানুষের উপর নেমে আসে নির্যাতনের ষ্টীম রোলার। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘূ সম্প্রদায় ভিটে মাটি ছাড়া হয়। তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। হত্যা করা হয় শত শত নেতা কর্মীকে। হাত পা কেটে পাশবিকতার এক অমানবিক বিজয় উৎসব করে বিএনপি। তাদের লক্ষ্য ছিলো পাশবিকতার এক অমানবিক বিজয় উৎসব করে বিএনপি। তাদের লক্ষ্য ছিলো একটাই তা হলো, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা। কিন্তু শেখ হাসিনা, জাতির জনকের রক্ত যার ধমনীতে, তিনি রুখে দাঁড়ান এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে, এসব  নিপীড়ন আর নিষ্পেষনের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ান বঙ্গবন্ধু কন্যা। শুরু হয় আরেক সংগ্রাম। বিএনপি জামাত জোট  সরকারের ৫ বছর ছিলো দুর্নীতি দুঃশাসন আর লুটপাটের পাঁচবছর। রাষ্ট্র নামের যন্ত্রটিকে বিকল করে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র হাওয়া ভবনকে ঘিরে শুরু করে এক অপশাসনের রাজত্ব। বাংলাদেশ এমন একটি দেশে পরিণত হয়, যে দেশে রাষ্ট্রের আইন অচল হয়, ব্যক্তিগত একজনের ইচ্ছা অনিচ্ছায়। একধরনের  রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। যুবরাজ হয়ে ওঠেন রাষ্ট্রের অধিশ্বর। টেন্ডার, চাঁদাবাজি, নিয়োগ বদলী সবই নিয়ন্ত্রিত হতে থাকে একটি ভবন থেকে। বাংলাদেশ উপর্যপুরি  পাঁচবার দূর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর নোংড়া সর্বগ্রাসী খেলায় মেতে বিএনপি ওয়ান ইলেভেন ডেকে  আনে। নির্বাসিত হয় রাজনীতি, গণতন্ত্র। এমনই এক সময় শেখ হাসিনা নেত্রী  থেকে হয়ে ওঠেন রাষ্ট্রনায়ক। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিক ভাবে গড়ে তোলেন জনমত। তিনি নির্যাতিত হন বার বার। তাঁর দেশে ফেরার উপর জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। শেষ মেষ মিথ্যে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেন। কিন্তু হিমালয় অতিক্রমের মতোই সকল বাধা আর প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা ফিরে আসেন জনতার মাঝে। জনতার দাবিকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেন। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে  তিন চতুর্থাংশ আসন পেয়ে এক অভূতপূর্ব বিজয় উপহার দেন জাতিকে।  কিন্তু বিজয় তাকে উচ্ছাসিত করেনি,  তাকে অহংকারী করেনি বরং তাকে করেছে আরো দায়িত্বশীল, আরো সংযমী। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর  প্রতিটি কথা, প্রতিটি পদক্ষেপই দলের উর্দ্ধে ওঠা এক রাষ্ট্রনায়কের দৃঢ় চিত্ত পদক্ষেপ হিসেবেই বিবেচিত হয়েছে। ছাত্রদের সহিংসতা বন্ধে তিনি যেভাবে কঠোর হয়েছেন, তেমনি বিচক্ষণতা দেখিয়েছেন। বিডিআর বিদ্রোহ দমনে। সারের মূল্য কমানো আর গরীব মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা বেষ্ঠনীর তাঁর  উদ্যোগগুলোর সুফল আমরা নিশ্চয়ই খুব শিঘ্রই পাবো। কিন্তু এই সরকারের প্রথম তিনমাসে একটি বিষয় স্পষ্ট তা হলো ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও তৎপর। তারা ২১ আগস্টের ২০০৪ এ যেভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করতে চেয়েছিল, এখনও সেভাবে তৎপর। শেখ হাসিনার সামনে আরো কঠিন সময়। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস, এই সময় অতিক্রম করে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দিকে তিনি দেশকে এগিয়ে নেবেন। কখনো কখনো নেতা নেত্রী ব্যর্থ হন, কিন্তু রাষ্ট্রনায়করা ইতিহাস গড়েন।  
শেখ হাসিনার নেতৃত্ব দেশের উন্নয়ন এগিয়ে যাচ্ছে। যাতে পুরো বিশ্ব অবাক দৃষ্টিতে অবলোকন করছে শেখ হাসিনার রাষ্ট্রিয় কর্মকান্ডকে। তিনি আবারও পাঁচবারেরমতো প্রধান মন্ত্রী হওয়াতে আমি উনার সফলতা ও দীর্ঘ আয়ু কামনা করছি।

লেখক-  সংবাদিক, গবেষক, টেলিভিশন উপস্থাপক ও মহাসচিব, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।

রিটেলেড নিউজ

অভাবের কারণে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে বিষপানে এক নারীর আত্মহত্যা

অভাবের কারণে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে বিষপানে এক নারীর আত্মহত্যা

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার দুর্গম দজর এলাকায় বিষপান করে মধুমিতা চাকমা (৪০) উর্ধ্ব এক নারী আত্মহ...বিস্তারিত


রাখাইনে আরাকান আর্মির চলমান তৎপরতা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

রাখাইনে আরাকান আর্মির চলমান তৎপরতা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

আমাদের বাংলা ডেস্ক : : ব্রিঃ জেঃ হাসান মোঃ শামসুদ্দীন (অবঃ) মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘাত চলছে। ম...বিস্তারিত


চরম মূল্য দিতে হবে

চরম মূল্য দিতে হবে

আমাদের বাংলা ডেস্ক : : আবুল খায়ের বাবু : ৭ ই অক্টোবর ২০২৩-এ হামাসের বিস্ময়কর আক্রমণের পর ইজরাইলের প্রতিশোধ আক্রমণে্র তি...বিস্তারিত


শবে বরাত : এই দিনটির ইতিহাস এবং গুরুত্ব জেনে নিন

শবে বরাত : এই দিনটির ইতিহাস এবং গুরুত্ব জেনে নিন

আমাদের বাংলা ডেস্ক : : মেরিনার আবু ফাতাহ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনঃ কেন পালন করা হয় শবে বরাত? কবে থেকে পালন করা হয় পবিত্র এই ...বিস্তারিত


ক্যারিয়ার গঠনে ‘জাহাজ নির্মাণ শিল্প’

ক্যারিয়ার গঠনে ‘জাহাজ নির্মাণ শিল্প’

আমাদের বাংলা ডেস্ক : : মেরিনার আবু ফাতাহ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনঃ আপনি কি ডিপ্লোমা বা গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী প্রকৌশলী? ...বিস্তারিত


সার্বজনীন বাংলা ভাষা চালু সময়ের দাবি

সার্বজনীন বাংলা ভাষা চালু সময়ের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : মেরিনার আবু ফাতাহ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনঃ ১৯৯৯ সালে সরকারি জোর প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে একুশে ফেব্...বিস্তারিত



সর্বপঠিত খবর

মেঘনা নামে কুমিল্লা ও পদ্মা নামে ফরিদপুর বিভাগ হবে: প্রধানমন্ত্রী

মেঘনা নামে কুমিল্লা ও পদ্মা নামে ফরিদপুর বিভাগ হবে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :  মেঘনা নদীর নামে কুমিল্লা ও পদ্মা নদীর নামে ফরিদপুর বিভাগ হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হ...বিস্তারিত


রাজবাড়ীর পাংশায় ডি‌বির অ‌ভিযা‌নে অস্ত্র,গু‌লি, চাপা‌তি, রামদা, ‌মোটর সাইকেলসহ ১ আসামী‌ গ্রেফতার

রাজবাড়ীর পাংশায় ডি‌বির অ‌ভিযা‌নে অস্ত্র,গু‌লি, চাপা‌তি, রামদা, ‌মোটর সাইকেলসহ ১ আসামী‌ গ্রেফতার

রাজবাড়ী প্রতিনিধি : :                              রাজবাড়ীর পাংশায় ডি‌বির অ‌ভিযা‌নে ওয়ানশুটারগান,গু‌লি,...বিস্তারিত



সর্বশেষ খবর