শিরোনাম
রাজবাড়ী প্রতিনিধি : | ০৭:০৬ পিএম, ২০২১-০৮-১১
এই মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রায়নগর গ্রামে। করোনার মহামারী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আকলিমা খাতুন (৬০) বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ও অনান্য শারীরিক জটিলতা নিয়ে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তাঁর মা আলিয়া বেগম (৭৮)।১০আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করে হেরে যায় আকলিমা বেগম। মেয়ের মৃত্যুর সংবাদটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা আলেয়াকে জানানো হলে কিছুক্ষন পরেই তিনিও মারা যান। পরে তাঁদের একসঙ্গে পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়। এক সঙ্গে মা-মেয়ের মৃত্যুেতে এলাকায় মানুষ শোকর ছায় নেমে আসে। আলিয়া বেগম(৭৮)। বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রায়নগর গ্রামে। আলিয়া বেগমের স্বামীর নাম আকবর আলী মৃধা। আলিয়া বেগমের মেয়ের নাম আকলিমা খাতুন (৬০)। আকলিমার স্বামীর নাম মোস্তাক আহমেদ। পরিবার সূত্রে জানা যায়,মেয়ে আকলিমা খাতুনের করোনা উপসর্গ দেখা দিলে প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে আকলিমার মা আলেয়া বেগম করোনার উপসর্গ এবং বার্ধক্যজনিত জটিলতা নিয়ে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে কোভিড ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।তার শারীরিক অবস্থা মোটামুটি ভালোই ছিলো। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার মহামারী করোনার কাছে হেরে যায় মেয়ে আকলিমা। সকাল ১০ টায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।পরে তার মরদেহ রামকান্তপুর ইউনিয়নের রায়নগর গ্রামে নিয়ে আসা হয়। মা আলেয়া তখনো জানতো না তার আদরের মেয়ে আকলিয়া আর নেই। করোনা কেড়ে নিয়েছে তার আদেরর মেয়েটিকে। আকলিমার পরিবার তাঁকে দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করছিলো। ঠিক তখন মেয়ে আকলিমার মৃত্যুর সংবাদটি তার মা আলেয়াকে জানানো হয়। এর কিছু সময় পরই মেয়ের মৃত্যুর সংবাদটি সইতে না পরে আলেয়া স্ট্রোক করে মারা যান।এরপর তার লাশটিও বাড়িতে আনা হয়।একসঙ্গে মা-মেয়ের লাশ দেখে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পরে আলেয়াকে দাফন করার জন্য আরেকটি খবর খোঁড়া হয়। বাদ আসর কাজীবাধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মা ও মেয়ের জানাজার নামাজ একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আকলিমা-মোস্তাক দম্পতির কোনো সন্তান ছিল না। মোস্তাক খুলনায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরে তাঁরা রামকান্তপুর রায়নগর গ্রামে বসবাস করতেন। পারিবারিক সূত্রে যানাগেছে আকলিমা করোনা আক্রান্ত হলে তার মা আলেয়ায় সেবা যতœ করে আসছিলো। পরে আকলিমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে সদর হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই সে চিকিৎসাধীন ছিলো।মেয়ের সেবা যত্ম করে আলেয়াও করোনা আক্রান্ত হন।আলেয়াও রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সকাল ১০ টায় মেয়ে আকলিমা মারা গেলে তার দাফন-কাফনের ব্যবস্থা শুরু করা হয়। পরে আকলিমার মৃত্যুর সংবাদটি তার মা আলেয়কে জানানো হলে বেলা ১টার দিকে তিনিওমারা যান। পরে আরও একটা কবর খোঁড়া হয়। একসঙ্গে জানাজা নামাজ শেষে তাঁদের দাফন করা হয়েছে।
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : সেনবাগ সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সেনবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। &...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং মালিক, শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের বার্ষিক সাধার...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : # দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও জনবল সংকটে বকেয়া থাকছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব # রিটার্ন না দেওয়ার জন্য অনেকে ব্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবিসহ দলে স্বেচ্ছাচারিতার অফিযোগে দলটির চেয়ারম্যান জি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিরোধী দলে ছিলেন এবং বিরোধী দলেই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর সদর-৩ আস...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ম...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited