শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৪:৪৩ পিএম, ২০২৩-০২-২৭
মেরিনার আবু ফাতাহ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনঃ ১৯৯৯ সালে সরকারি জোর প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এটি জাতি হিসেবে এবং ভাষার প্রশ্নে বাংলাদেশের মানুষের একটা বড় অর্জন। যে অর্জন বিশ্বের প্রতিটি ভাষাকে আন্তুর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে আমরা আমাদের মাতৃভাষার যথাযথ মর্যাদা দিতে পারছি না। সঠিকভাবে এর ব্যবহার বা প্রয়োগ হচ্ছে না। সাইনবোর্ড লেখা হয় ইংরেজিতে। বাংলা লেখা হলে বানানে থাকে ভুল। বাংলা একাডেমি এ ব্যাপারে প্রচেষ্টা চালিয়েছে, কিন্তু সফলতা আসেনি। অথচ সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
ইতিহাসবিদরা বলেন, বঙ্গবন্ধু থাকলে বাংলার এই অবস্থা থাকতো না। কারণ প্রশাসন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে বাংলা ভাষার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের কর্মপরিকল্পনা ছিল বঙ্গবন্ধুর। তিনি তার এ সংক্রান্ত বেশকিছু পরিকল্পনার কথা জানিয়েও গিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সরকার ঘোষণা দিয়েছিলেন সার্বজনীন বাংলা ভাষার চর্চাকে নিশ্চিত করতে হবে। শুধু তাই নয়, দেশ যখন মুক্তিযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখনই সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর ব্যাপারে তার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। বিভিন্ন সময়ে বক্তব্য, সাক্ষাৎকার এবং রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনায় বঙ্গবন্ধু সর্বস্তরে বাংলা চালুর এই পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকার স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন করে। সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি বৈদেশিক যোগাযোগ ছাড়া দেশের রাষ্ট্রীয় কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। তা সত্ত্বেও এখনও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাভাষা খুব কম ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলা ভাষায় বই ও পরিভাষার অভাবের অজুহাতে এখন উচ্চ আদালতে দাপ্তরিক কাজে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়।
১৯৮৭ সালের ৮ মার্চ বাংলা ভাষা প্রচলন আইনও প্রণয়ন করা হয়। আইনের ৩(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘আইন-আদালতের সওয়াল-জবাব এবং অন্যান্য আইনগত কার্যাবলি অবশ্যই বাংলায় লিখিতে হইবে। যদি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী এই আইন অমান্য করেন, তাহা হইলে উক্ত কার্যের জন্য তিনি সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধির অধীনে অসদাচরণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তাহার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাধীনতা-পরবর্তীতে সর্বস্তরে বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়। বিভিন্ন সরকারের আমলে আইনও প্রণয়ন করা হয়। আইনের প্রয়োগ না থাকা অথবা মাতৃভাষার প্রতি অবজ্ঞার কারণে দেশের বেশির ভাগ স্তরেই বাংলা বিমুখতা প্রকট আকার ধারণ করে। এর প্রেক্ষিতে সর্বস্তরে বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হাইকোর্ট থেকে রুলসহ দুটি আদেশ জারি করা হয়। কিন্তু এত কিছুর পরও সর্বস্তরে বাংলা ভাষা ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়নি। এভাবে চলতে থাকলে রাষ্ট্রভাষা বাংলা একদিন অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই ভাষার সম্মান ও মর্যাদা অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন ভাষাবিদরা।
সংবাদ মাধ্যমে তথ্য অনুযায়ী ‘বাংলা ভাষা প্রচলন আইন’ প্রয়োগ করতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ‘বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষ’ এবং বাংলা একাডেমি ‘প্রমিত বানানরীতি’ প্রণয়ন করে। কিন্তু জাতীয় ভাষানীতি না থাকায় বানানে সমতা আনা যাচ্ছে না। সরকারি- বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানার অনেক প্রতিষ্ঠান প্রমিত বানানরীতি অনুসরণ করছে না। সর্বস্তরে বাংলা চালু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজনটা সবচেয়ে বেশি। এটারই ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ, গবেষক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের স্পষ্ট কথা, ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চা নিয়ে গর্ব হওয়ার কথা। কিন্তু এই চর্চায় ঘাটতি আছে, যার দায় রাষ্ট্র-সমাজ এড়াতে পারে না।
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার দুর্গম দজর এলাকায় বিষপান করে মধুমিতা চাকমা (৪০) উর্ধ্ব এক নারী আত্মহ...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : ব্রিঃ জেঃ হাসান মোঃ শামসুদ্দীন (অবঃ) মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘাত চলছে। ম...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : মো. কামাল উদ্দিন : ভাষা বিজ্ঞানি ড. মুহাম্মদ এনামুল হকের ভাষায়, ‘বঙ্গবন্ধু বিগত দু’হাজার বছরের ...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : আবুল খায়ের বাবু : ৭ ই অক্টোবর ২০২৩-এ হামাসের বিস্ময়কর আক্রমণের পর ইজরাইলের প্রতিশোধ আক্রমণে্র তি...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : মেরিনার আবু ফাতাহ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনঃ কেন পালন করা হয় শবে বরাত? কবে থেকে পালন করা হয় পবিত্র এই ...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : মেরিনার আবু ফাতাহ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনঃ আপনি কি ডিপ্লোমা বা গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী প্রকৌশলী? ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited