শিরোনাম
সংবাদদাতা, দিনাজপুর : | ০৫:০০ পিএম, ২০২০-১০-২৬
দিনাজপুরে দীর্ঘ ৪ বছর পর জলাবদ্ধতা দুর করে পানি
নিস্কাশনের উদ্যোগ নেয়ায় ৭ গ্রামের প্রায় ৯০০ একর জমির আবাদের সুযোগ লাভ করায় কয়েক
হাজার কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। জেলা প্রশাসকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় স্কুল কলেজ ও
মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এই মহতী উদ্যোগে শামিল হন।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টন
এর সাথে কথা বলে জানা যায়, ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বারাইপাড়া গ্রামে
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল আলম গত ২৪ অক্টোবর বেলা ১১টায় পানি নিস্কাশনের ক্যানেল খনন কাজের সূচনা করেন। গত ২ দিনে এই এলাকায়
পানি নিস্কাশনের জন্য স্বেচ্ছাশ্রমে ক্যানেলটি নির্মাণ কাজ সোমবার বেলা ১১টায়
সম্পন্ন করা হয়েছে। ক্যানেল খনন কাজে অংশ নেন, ফুলবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান
মিল্টন, বিদায়ী ইউএনও খায়রুল আলম সুমন, সদ্য যোগদানকারী ইউএনও রিয়াজ উদ্দিন, সহকারী
কমিশনার ভূমি কানিজ আফরোজ, উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা, খয়েরবাড়ী ও
দৌলতপুরসহ সকল ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণ এবং দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক হাজার
কৃষক ও ভূমি মালিকগণ এবং স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম বলেন মাত্র এক হাজার ফিট একটি ক্যানেলের জন্য দীর্ঘ চার বছর
থেকে জলাবদ্ধতার কারণে খয়েরবাড়ী ও দৌলতপুর ইউনিয়নের ৭টি গ্রামের ৯০০ একর জমিতে
আবাদ করা সম্ভব হচ্ছিল না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন ওই ৭ গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার কৃষক। এই
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসন এই পানি নিস্কাশনের ক্যানেল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করে ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমন বলেন দীর্ঘ চার বছর থেকে ৯০০ একর জমি
জলাবদ্ধতার কারণে অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকায় প্রায় ৫০ হাজার টন খাদ্য শষ্য উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
এই কারণে ক্যানেল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক। তিনি ক্যানেলটি দুই দিনের
মধ্যে খননের কাজ শেষ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এবং ক্যানেলটি খননে সকলের সহযোগিতা
কামনা করেন।
মহদিপুর গ্রামের ৫০ বছর বয়সী কৃষক নাজিম উদ্দিন বলেন তার মাত্র ৪ বিঘা জমি রয়েছে, কিন্তু
গত চার বছর থেকে সেই জমিতে জলাবদ্ধতা থাকায় তিনি আর চাষাবাদ করতে পারেন নি। একই
অবস্থা মহদিপুর গ্রামের কৃষক গোলাম রব্বানীর। কৃষক গোলাম রব্বানী বলেন, পৈত্রিক সূত্রে
পাওয়া ৮ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে চলে তার সংসার। গত চার বছর থেকে সেই জমি জলাবদ্ধতার
কারণে চাষাবাদ করতে পারছেন না, তাই বাধ্য হয়ে এখন অন্য পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। একই
কথা বলেন ওই গ্রামের রুহুল আমিন, আনিছার রহমান পূর্ব নারায়নপুর গ্রামের কৃষক
আনোয়ার হোসেনসহ অনেকে। লক্ষিপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন তার মাত্র ৩ বিঘা জমি, গত
চার বছর থেকে পানিতে তলিয়ে আছে। একই অবস্থা অনান্য গ্রামের কৃষকদের।
খয়েরবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের মন্ডল বলেন, দীর্ঘ চার বছর থেকে ৭টি গ্রামের ৯০০
একর জমি পানিতে তলিয়ে থাকায়, অচল হয়ে পড়ে কয়েক হাজার কৃষকের পরিবার। জেলা
প্রশাসকের হস্তক্ষেপে পানি নিস্কাশনের রাস্তা তৈরী হওয়ায়, হাসি ফুটেছে ক্ষতিগ্রস্থ কয়েক
হাজার কৃষকের মুখে। এই জন্য তিনি ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে কৃতজ্ঞতা
জানান।
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : সেনবাগ সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সেনবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। &...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং মালিক, শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের বার্ষিক সাধার...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : # দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও জনবল সংকটে বকেয়া থাকছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব # রিটার্ন না দেওয়ার জন্য অনেকে ব্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবিসহ দলে স্বেচ্ছাচারিতার অফিযোগে দলটির চেয়ারম্যান জি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিরোধী দলে ছিলেন এবং বিরোধী দলেই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর সদর-৩ আস...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ম...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited