শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৪:৩৬ পিএম, ২০২১-০৩-০৮
অধিকার আদায় করে নিতে নারীরা যেন শিক্ষা-দীক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের তৈরি করে নেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সেই আহ্বান এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তরফ থেকে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি নারীদের একটা কথা বলব যে ‘নারীদের অধিকার দাও, নারীদের অধিকার দাও’ বলে শুধু চিৎকার করা আর বলা আর বক্তৃতা দেওয়া… এতে কিন্তু অধিকার আসে না। অধিকারটা আদায় করে নিতে হবে। আদায় করবার মত যোগ্যতাটা অর্জন করতে হবে। আর সেই যোগ্যতা আসবে শিক্ষা-দীক্ষা, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে।” নারীরা যেন নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারে, তা নিশ্চিত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরার পাশপাশি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, এখন একেবারে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড থেকে যে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, তার ৭৫ শতাংশ আগে মেয়েরাই পেত। এখনও প্রায় ৭০ শতাংশ মেয়েরাই পায়। এছাড়া সরকার প্রায় ২ কোটি ৫ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও উপবৃত্তি দিচ্ছে, সেখানেও মেয়েদের অংশটাই বেশি। “কারণ সমাজকে যদি আমাদের গড়ে তুলতে হয়, তাহলে শিক্ষার ক্ষেত্রেও নারী,পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে শিক্ষা দিতে হবে। আর প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও আমরা বলছি যে প্রতিটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে নারী পুরুষ নির্বিশেষে তারা প্রশিক্ষণ নিতে পারেন, যাতে যে কোনো কাজে মেয়েরা নিজেদের যোগ্যতা দেখাতে পারে এবং তারা কাজ করতে পারে।” ছবি: পিএমওছবি: পিএমও১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে কোনো নারী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদ পেতেন না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর সর্বক্ষেত্রে নারীদের অবস্থানটা নিশ্চিত করা হয়েছে। “পার্লামেন্টের কথা নাই বললাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্পিকার, লিডার অব দ্য হাউস, লিডার অফ দ্য অপজিশন- সবই মহিলারা। এটা আমরা স্থান করে নিয়েছি। কাজেই, আমি মনে করি যে এটাই আমাদের সব থেকে বড় অর্জন বাংলাদেশের।” শেখ হাসিনার ভাষায়, একটি সমাজের অর্ধেক যদি অকেজো থাকে, তাহলে সেই সমাজ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে। তিনি বলেন, “আগে ধর্মের নাম নিয়ে বা সামাজিকতার কথা বলে নারীদের ঘরে বন্ধ করে রাখার যে প্রচেষ্টা ছিল, সেই অচলায়তন ভেদ করে মেয়েরা এখন এগিয়ে যাচ্ছে।” আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তন এ অনুষ্ঠানে সংগ্রামী পাঁচ নারীকে জাতীয় পর্যায়ে ‘শ্রেষ্ঠ জয়িতার’ সম্মাননা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দরা। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলামসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উদ্ধৃত করে তার মেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “ইসলামের ইতিহাস পড়লে জানা যায় যে মুসলমান মেয়েরাও পুরুষদের সাথে যুদ্ধক্ষেত্রে যেত, অস্ত্র এগিয়ে দিত, আহতদের সেবা শুশ্রূষা করত। হযরত রাসুলে করীমের (সা.) স্ত্রী হযরত আয়েশা সিদ্দিকা নিজে বক্তৃতা করতেন। দুনিয়ায় ইসলামই নারীর অধিকার দিয়েছে।” ওজাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব কীভাবে আজীবন সাহস জুগিয়ে গেছেন,অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, সেই কথাও অনুষ্ঠানে বলেন তাদের মেয়ে শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “তার নিজের জীবনের চাওয়া পাওয়া ছিল না। একজন নারী হিসেবে স্বামীর কাছে যে কোনো দাবি, সেটাও ছিল না। বরং সম্পূর্ণ সংসারের দায়িত্ব আমার মা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। “আমাদেরকে, অর্থাৎ তার ছেলেমেয়েদের মানুষ করা থেকে শুরু করে যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জেলে থাকতেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে ছাত্রলীগ- সমস্ত দলের কার্যক্রম দেখা, আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলা- সব কিছু কিন্তু তিনি করতেন। পর্দার আড়ালে থেকে তিনি করেছেন। কখনো তিনি কোনো প্রচার চাননি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকে আমরা যেই স্বাধীনতা অর্জন করেছি, তার পেছনে আমার মা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের অনেক অবদান রয়েছে এবং অনেক সময় অনেক সিদ্ধান্ত তিনি দিয়েছিলেন, যা আমাদের স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করেছিল। জাতির পিতা তাকে যথেষ্ট সম্মান দিতেন এবং তার মতামতকে গুরুত্ব দিতেন। “কাজেই যে কোনো একটা অর্জনের পেছনে একজন নারীর যে অবদান থাকে, সেটাই সব থেকে বড় কথা। তাই আমাদের এই সমাজকে যদি আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে সব থেকে বড় প্রয়োজন যে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলে এক হয়ে কাঁধে কাধ মিলিয়ে চলতে হবে।” ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনাও এ অনুষ্ঠানে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ঘাতকের দল যখন আমার মাকে গুলি করে হত্যা করে, তার আগে বলেছিল, আপনি আমাদের সাথে চলেন। আমার মা কিন্তু তাদের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাননি, তাদের কাছে আকুতি করেননি এবং তাদের সাথে যেতেও চাননি। একটা কথাই বলেছিলেন, যে ‘উনাকে যেভাবে মেরে হত্যা করেছ, আমাকেও মারো। তোমাদের সাথে আমি কোথাও যাব না’।” জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যে থেমে গিয়েছিল এবং বাংলাদেশ তার সকল সম্ভাবনা যে হারিয়ে ফেলেছিল, সে কথাও বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তখন আবার দেশের নারী উন্নয়ন ঘটে, নারী মুক্তি ঘটে, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা শুরু হয়।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। কারণ আমরা নারী, পুরুষ নির্বিশেষে সকলে মিলেই ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলে আমরা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই মাতৃভূমিকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।”
নিজস্ব প্রতিবেদক : এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : যৌথ অভিযানের কারণে বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় ৩০ জনের তালিকা ধরে তদন্ত শুরু করেছে ঢাকা মেট্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তবে তাপপ্রবাহও অব্যাহত থাকবে। মঙ্গলবার (২৩ ...বিস্তারিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে হাসান (২৬) নামে এক বাংল...বিস্তারিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : চট্টগ্রামে কাজির দেউড়ীতে দৈনিক আমাদের বাংলা ও আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক আমাদের চট্টগ্রামের সম্পা...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited