শিরোনাম
সংবাদদাতা, রাবি : | ০৩:১৯ পিএম, ২০২০-০৯-২০
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কমিশনে প্রাপ্ত বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে সম্প্রতি একটি কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার কাছ থেকে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছিল ইউজিসি। লিখিতভাবে সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা দেয়া অসম্ভব দাবি করে এ বিষয়ে ইউজিসিকে উন্মুক্ত শুনানি আয়োজনের আহ্বান জানান তিনি। তার এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইউজিসি শুনানি আয়োজন করলেও এখন অন্য কথা বলছেন রাবি উপাচার্য। বর্তমানে তদন্ত কমিটির এখতিয়ার নিয়েই প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, উত্থাপিত অভিযোগের লিখিত জবাবে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেয়া অসম্ভব দাবি করে নিজে থেকেই ইউজিসিকে উন্মুক্ত শুনানির আহ্বান জানিয়েছিলেন রাবি উপাচার্য। তার সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে শুনানির আয়োজন করে তাতে অংশ নেয়ার জন্য রাবি উপাচার্যকে চিঠি দেয় ইউজিসি। জবাবে শুনানিকে স্বাগত জানিয়ে এর তারিখ পুনর্নির্ধারণের জন্য ইউজিসিকে অনুরোধও করেছিলেন তিনি। এরপর তার প্রস্তাবিত তারিখ অনুযায়ী ১৯ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন পুনর্নির্ধারণ করা হলে ইউজিসিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আরেকটি চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শুনানির দিন ঘনিয়ে এলে সুর বদলাতে শুরু করেন অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। বুধবার অনেকটা স্ববিরোধী অবস্থান নিয়েই ইউজিসির তদন্ত কমিটিকে কর্তৃত্ববিহীন আখ্যা দিয়ে এর কার্যক্রম বন্ধের জন্য ইউজিসি চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন তিনি।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগমকে আহ্বায়ক ও আরেক সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে সদস্য করে এ কমিটি গঠন করেছিল কমিশন। এরপর স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে রাবি উপাচার্যের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয় ইউজিসির ওই কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ককে পাঁচ পৃষ্ঠার একটি জবাব দেন তিনি।
চিঠিতে অনিয়মের অভিযোগগুলোকে অসত্য দাবি করে রাবি উপাচার্য বলেন, অভিযোগ করা খুব সহজ কাজ। তা প্রমাণ করার দায়িত্ব অভিযোগকারীর। এসব অভিযোগের লিখিত জবাব পড়ে সবকিছু পরিষ্কারভাবে অনুধাবন করা সম্ভবপর নাও হতে পারে, কারণ অনেক বিষয় এতে ব্যাখ্যা করা যায় না। সে কারণে আদালতেও বাদী-বিবাদীর উপস্থিতিতে তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি হয়। বর্তমান ক্ষেত্রেও বাদী-বিবাদীর উপস্থিতিতে উন্মুক্ত শুনানি হওয়া সমীচীন, যার আয়োজক হতে পারে ইউজিসি। বাদী তথা অভিযোগকারীদের উন্মুক্ত শুনানির জন্য আমি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। শুনানিতে ইউজিসি চেয়ারম্যানকেও উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করছি।
এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ইউজিসি শুনানির আয়োজন করলে তা স্বাগত জানিয়ে শুনানির তারিখ পুনর্নির্ধারণের জন্য ইউজিসিকে অনুরোধ করেন তিনি। এরপর এ শুনানির দিন পুনর্নির্ধারণ করা হয় তার প্রস্তাবিত দিনে, ১৯ সেপ্টেম্বর। বর্তমানে সুর পাল্টে ইউজিসির তদন্ত কমিটির বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন রাবি উপাচার্য।
বুধবার ইউজিসির চেয়ারম্যানকে দেয়া চিঠিতে রাবি উপাচার্য দাবি করেন, ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী উপাচার্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের কোনো ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে দেয়া হয়নি। আইন অনুযায়ী তদন্ত কমিটির সদস্যদের মর্যাদা উপাচার্যের মর্যাদার এক ধাপ ওপরে হওয়া বাঞ্ছনীয়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে ইউজিসির একজন সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও উপাচার্যের পদমর্যাদার সমমর্যাদাসম্পন্ন ইউজিসির দুজন সদস্য নিয়ে কমিটি গঠিত হয়েছে। যা শুধু বেআইনিই নয়, বরং এর মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাও খর্ব করা হয়েছে।
যদিও ইউজিসি বলছে, ১৯৭৩ অধ্যাদেশের ক্ষমতাবলেই তারা বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের তদন্ত করছে। কমিশন বলছে, অধ্যাদেশের ৫-এর আই ধারা অনুযায়ী, আইন ও সরকার প্রদত্ত কাজে কমিশন তাদের ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবে। সে ক্ষমতাবলেই ইউজিসির রাবি উপাচার্যের অনিয়ম তদন্ত করছে। এছাড়া ইউজিসি বলছে, সিনিয়র সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তা তদন্ত কমিটিতে নেই।
এ প্রসঙ্গে ইউজিসির একজন সদস্য নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বলেন, আইনে প্রদত্ত ক্ষমতা ও সরকারের নির্দেশনার আলোকেই এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর আগেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে সরকারের নির্দেশনার আলোকে ইউজিসি তদন্ত নিয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। আর তদন্ত কমিটির সদস্য সংখ্যা দুজন। দুজনই ইউজিসির সদস্য। একজন সিনিয়র সহকারী পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা তদন্ত নয়, শুধু সাচিবিক দায়িত্ব পালন করছেন। ইউজিসি তদারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কারো পক্ষ-বিপক্ষ নিতে পারে না। সবার সঙ্গে কথা বলে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।
এ বিষয়ে বিশদভাবে জানতে রাবি উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য কবি মহসিন হোসাইন আর নেই। রোববার সকালে নিজ বাসভবনে অসুস্থতা অনুভব...বিস্তারিত
সাজেদা হক : : সাধারণ গ্রাহকদের স্বপ্নকে পুঁজি করে গড়ে ওঠা আর্থিক পরিসেবা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর বিরুদ্ধে দফায় ...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : উপজেলা নির্বাচনে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বল...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার(আই...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : ডেঙ্গুতে নিজের মাকে হারিয়েছেন বলে জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ডেঙ্গু ...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : বাগেরহাট প্রতিনিধি বাগেরহাটে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন আবাসি...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited