শিরোনাম
এডভোকেট-এম. এন মোস্তফা নূর | ০৬:৩২ পিএম, ২০২১-০৪-১০
আইনের আওতায় দাঁড়িয়ে আপনি যখন কথা তুলবেন আপনাকেই আগে আইন মান্য করণের আওতায় থাকতে হবে। আপনি ধুলা পরিমাণও আইন লংঘন
করে আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। আইন আপনাকে সেই অধিকার এবং ক্ষমতা দেয়নি। আপনি সরকারে বসে অথবা সরকারের
পক্ষে কাজ করছেন এই দোহায় দিয়ে আপনার মতো করে অনেক কিছুই বা সবকিছুই, যা আপনি চাইছেন সব কিছুই করে ফেলতে পারেন। কিন্তু আপনার
অবশ্যই মনে রাখা প্রয়োজন যে, আপনি কি কি করছেন তার দায় রাষ্ট্র বহন করবে না। আজ যদিও রাষ্ট্র আপনাকে সুবিধা দিচ্ছে বা আপনি সুবিধার
অপব্যবহার করছেন বা আপনার স্বেচ্ছারচারিতার কারণে করে যাচ্ছেন তাতে আপনার কিছুই মনে হচ্ছে না। এই ধরনের অবস্থাকে অনেকটা একটা
রাষ্ট্রের অসহায়ত্ব বা আরো সুন্দর ভাবে বললে রাষ্ট্রের সহ্য ক্ষমতা বলা যায়। আপনি রাষ্ট্রকে চাপিয়ে দিচ্ছেন আপনার হেঁয়ালীপনার দায় কিন্তু
রাষ্ট্র এটার বিহীত অবশ্যই করবে। নইলে ইতিহাস মিথ্যা হয়ে যাবে। মনে রাখা দরকার যে ইতিহাস এ যাবৎ মিথ্যা প্রমাণিত হয়নি। আইন: আইন প্রণয়ন, আইনের প্রয়োগ এবং সমাজ বাস্তবতায় অন্ধকারের সীমানায় দাঁড়ানো অনাথ সংগ্রামী মধ্যবয়সী বাংলাদেশ! এমনি একটি বাংলাদেশকে কল্পনা করে একটি ভাষা এবং আঞ্চলিক জাতীয়তাবাদী চরিত্র তৈরী হয়নি। এই ভাষা এবং আঞ্চলিক জাতীয়তাবাদী চরিত্রের নামই হলো বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। আজ আমাদের স্বদেশ প্রেম কুষ্ঠরোগীর মতো অসহায় হয়ে পড়েছে পরকীয়ায় আসক্তির চাপে। এমনিতেই রাজনীতির সমগ্রতাকে আবিষ্ট করেছে ক্ষমতার মোহ এবং অপরসীম বিত্ত-বৈভবের লোভ। অপরদিকে সেই রাজনীতির পক্ষে বিপক্ষে সর্বত্রই চলছে ষড়যন্ত্র এবং অনাস্থার চাষাবাদ। আজ পুরো জাতির জন্যে একটি ক্রান্তিকাল নেমে এসেছে। আমাদের দেশ-রাষ্ট্রটার সমস্যার গভীরে প্রোথিত আছে বিদ্বেষ বিভাজনের দুষ্টবীজ। অন্যের জমিতে বেড়ে ওঠা বিষবৃক্ষের ছায়া নেমে আসছে উর্বর সবুজ স্বাধীন ব-দ্বীপের শরীরে। অন্যের সীমায় গজানো কাঁটাগুল্মের শিকড়-বাকড়ে চুষে নিচ্ছে আমাদের মাটির সক্ষমতা। অথচ আমাদের সাহসী, শিক্ষিত চিন্তাশীল বন্ধুগণের কেউ কেউ বলেন- আইন নাকি কাউকে ধরে! আসলেই কি আইন কাউকে ধরে ? আইন কি কাউকে ধরতে বলেছে? নাকি আমার বন্ধুগণ পথ হারিয়েছেন ? তাহলে শিক্ষিত, বুদ্ধিমান লোকেরা এসব কি বলেন ! আইন কি ধরে ? মানে কি ? আইন আসলে কাউকে ভয় দেখাবার জন্যেও নয়। আইন কাউকে ধরে মেরে ফেলবার জন্যেও নয়। আইন কাউকে ষড়যন্ত্রের কবলে ফেলে দিতে তৈরী করা হয় না। যদিও অসংখ্য কালোআইন আছে। কালোআইনেরও একটি চরিত্র থাকে। কিন্তু আইন বলতে কথা। আইন প্রণয়নকারী ও আইন প্রয়োগকারীদের চরিত্রে দোষ থাকলে ভয়ঙ্কর ধরণের অপপ্রয়োগ ঘটে আইনের এই কথাটি সঠিক। আইন সবার জন্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করতে জনগণকে আস্থায় রাখে। আইন সমতা বিধান করে। ষড়যন্ত্রের সাথে আইনের সম্পর্ক নেই বরং আইন যদি তার জন্যে তৈরী রাস্তায় চলতে পারে তাহলে আইন সকল প্রকারের ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দেয়। সর্বোপরি আইনের দরজায় সবাই প্রবেশ করতে পারে। সবাই নিরাপদ এবং সমানভাবে মর্যাদার সাথে গমনা-গমন করতে পারতে হবে নইলে সেটা আইনসিদ্ধ পদ্ধতির কোনো কাজ হবে না। উল্টো বেআইনী হয়ে যাবে। আইনের উৎস হলো সাধারণ জ্ঞান প্রসূত সরল ভাবনায় সময়ের
প্রয়োজনানুপাতে মানুষের কল্যাণ বিবেচনায় প্রণীত বিধি-বিধান। আইনের উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্য সার্বজনীন এবং শাশ্বত:।
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার দুর্গম দজর এলাকায় বিষপান করে মধুমিতা চাকমা (৪০) উর্ধ্ব এক নারী আত্মহ...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : ব্রিঃ জেঃ হাসান মোঃ শামসুদ্দীন (অবঃ) মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘাত চলছে। ম...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : মো. কামাল উদ্দিন : ভাষা বিজ্ঞানি ড. মুহাম্মদ এনামুল হকের ভাষায়, ‘বঙ্গবন্ধু বিগত দু’হাজার বছরের ...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : আবুল খায়ের বাবু : ৭ ই অক্টোবর ২০২৩-এ হামাসের বিস্ময়কর আক্রমণের পর ইজরাইলের প্রতিশোধ আক্রমণে্র তি...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : মেরিনার আবু ফাতাহ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনঃ কেন পালন করা হয় শবে বরাত? কবে থেকে পালন করা হয় পবিত্র এই ...বিস্তারিত
আমাদের বাংলা ডেস্ক : : মেরিনার আবু ফাতাহ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনঃ আপনি কি ডিপ্লোমা বা গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী প্রকৌশলী? ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited